আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিজ্ঞান ছাড়া কুরান অসম্পুর্ণ তবে কুরান বিনে বিজ্ঞান পরিপূর্ণ!

থিংক সিম্পল।

একজন বিশ্বাসীর সাথে কথা বলছিলাম। আলোচনার এক পর্যায়ে তিনি বললেন যে বিজ্ঞানের জ্ঞান ছাড়া কুরানের অনেক আয়াত অসম্পুর্ণ, অর্থাৎ বোঝা যায় না। এই কথায় আমি আর চক্ষু বন্ধ করে রাখতে পারলাম না। তার সাথে একমত হলাম যে আসলেই, কুরানের সাহায্য ছাড়া বিজ্ঞান পরিপুর্ণ তবে বিজ্ঞান বিনে কুরান অসম্পূর্ণ! আসলেই তাই… ৬১০ খ্রীষ্টাব্দে কুরান নাযিল হওয়া শুরু হবার পর থেকে কুরানে বিজ্ঞানের নানা জ্ঞানের কথা বলা হলেও মানুষ তা বুঝেনি।

কুরান সে জ্ঞানের কথা বলেও মানুষের জ্ঞানে পরিবর্তন আনতে পারেনি। যদিও আল্লা- খোদা, ফেরেশতা, শয়তান, দেবতা, ইত্যাদির বিষয়ে তাদের জ্ঞানে কুরান কিছুটা পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছিল। তারা কখনই ফেরেশতার অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেনি। বরং বিজ্ঞান আজকে ফেরেশতাদের অস্তিত্বকে হুমকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। আর তাই, আজকে এই ফেরেশতা হয়ে গিয়েছে আল্লার ভাল জানার বিষয়।

তারপরেও দেখা যাক কুরানে ১৪০০ বছর আগে দেয়া জ্ঞান বিজ্ঞানের কল্যানে কিভাবে মানুষ বুঝতে পারল তা দেখে নেই। পৃথিবী গোলাকারঃ কুরানে আল্লাহ তায়ালা পৃথিবীকে খাট, কার্পেট, সহ আরো অনেক সমতল বস্তুর সাথে তুলনা করেছেন। সেই সময়কার মানুষের মাঝে সমতল পৃথিবীর ধারনা ছিল। তাই তারা আল্লাহর এই কুদরত নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেনি। কিন্তু বিজ্ঞান কুরানের প্রায় এক হাজার বছর পর পৃথিবীর আকৃতি সংক্রান্ত ধারনা একেবারে বদলে দিল।

যার ফলে কুরানের বক্তব্য নিয়ে ১৯৭০ (ধারনা করে নিয়েছি, কারণ কুরানে বিজ্ঞানের বক্তব্য আছে তা বেশীদিন আগে চালু হয়নি) সালের পর মানুষ সন্দেহ করা শুরু করল। ফলে শব্দ বিজ্ঞানীরা অনেক খেটে খুটে ৭৯:৩০ এর সাথে মিলাতে **চেষ্টা** করলেন এবং বিজ্ঞানের কল্যানে আয়াতের মর্মার্থ বুঝতে পারলেন। বিগ ব্যাং: নবীর যুগের কাফেরদের আল্লা জিজ্ঞাসা করছেন, অবিশ্বাসীরা কি দেখেনা যে আকাশ ও পৃথিবী একসাথে ছিল? মাগার অবিশ্বাসীরা আল্লাহর এই বক্তব্য বুঝতেই পারল না। তাই তারা অবিশ্বাসীই থেকে গেল। কারণ তারাতো জানত না যে বিগ ব্যং বলে একটা কিছু ঘটেছে।

যদিও বিগ ব্যাং এর কোন বর্ণনায় কোন কিছু কোন কিছু থেকে পৃথক হবার কথা পড়িনি। তার পরেও বিজ্ঞানের কল্যানে আজকের যুগের নাদান নাস্তিকেরা বুঝতে না পারলেও ঈমানদ্বারেরা এই আয়াতের আসল অর্থ বুঝতে পারল। আকাশ ও পৃথিবীর সৃষ্টি ছয়দিনঃ মক্কার জাহেলরা কাফেরেরা বাইবেলের কাছ থেকে জেনেছিল পৃথিবীর বয়স ছয় হাজার বছর। কুরান থেকে মানুষ জানল যে পৃথিবীকে নাকি ছয়দিনে সৃষ্টি করা হয়েছে। সারা আরবের কোন জাহেল কাফের এইটা নিয়া প্রশ্ন তুলে নাই।

বাগরা বাজাইলো বিজ্ঞান। কি এক রেডিও এক্টিভ ডিকে আবিস্কার করে তারা বলল পৃথিবীর বয়স হাজার না, কোটি বছরের গণনা করতে হবে, আর পৃথিবী সৃষ্টি হতে ছয়দিন নয়, মানুষের বসবাস উপযোগী হতে কয়েক কোটি বছর লেগে গিয়েছে। যেখানে আল্লাহ পাক কুন বললেই হয়ে যায় সব কিছই, যে কারণে আল্লার নবীর বিরোধী কট্টর কাফের সাহাবীরা (যারা নবীকে দেখেছেন আর কি) সময় নিয়া কোন প্রশ্ন করে নাই। সেখানে বিজ্ঞানের অনুসারী নাস্তিকেরা লাফালাফি শুরু কইরা দিসে! কিন্তু আল্লার নবী এবং তার সাহাবীরা কুরানের এই আয়াতের মর্ম না বুঝলেও আজকের যুগের মুসলিমেরা বিজ্ঞানের কল্যানে বুঝছেন যে এই ছয়দিন আসলে অনেক দ্বীর্ঘ সময়। কত দ্বীর্ঘ তাহা শুধু বিজ্ঞানের মাধ্যমেই জানা সম্ভব হবে।

কারণ কুরানে উল্লেখিত সময়ও গ্যাঞ্জাম সৃষ্টি করতেসে। আবার দেখেন বিজ্ঞান এখনো যা আবিস্কার করতে পারে নাই, তার ব্যাপারে আল্লাই ভাল জানেন। কারণ কুরান পরেও বুঝা যাচ্ছে না আসলে কুরানে কি বলা আছে। যেমনঃ ফেরেশতাদের ডানাঃ আগের যুগের মানুষেরা ডানার ব্যবহার দেখে খুব স্বাভাবিক ভাবেই মেনে নিয়েছিল যে যা কিছু আকাশে উড়ে, তার ডানা থাকতে হবে। কিন্তু বায়ুমন্ডলের বাইরে ডানার কোন কাজ না থাকায় অবিশ্বাসী মুর্খ কাফেরেরা আল্লাহর এই মহান কুদরতের কথা বুঝতে পারছেন না।

আরে…এইটাতো আল্লাই ভাল জানেন। সাত আসমান ও সাত জমিনঃ আসমানতো পৃথিবীর ছাদ স্বরুপ, তবে পিলার নাই। কেন জানি সেই ছাদের খোজ বিজ্ঞানীরা পাইলেন না। রকেট দিয়া তারা আকাশে চইলা গেলেন, তবে বামুন বউ যেমন কলসীর তলা খুইজা পায় না, তেমনি বিজ্ঞানীদের আকাশ খুইজা না পাওয়া নিয়া কুরনের অনুসারীরা বেজায় খুশি। দেখলাতো, আকাশে উড়বার পারলেও আকাশ আছে কি নাই এইটা তোমরা কইতে পারবা না।

আর তাছাড়া আকাশে অনেক দরজা আর প্রহরী নিয়োগ করা আছে, সেই সাথে আছে তারা মানে স্টার, যা শয়তানের প্রতি ছুইরা মারা হয়। অতএব আকাশের নাগালতো পাইবাই না। এমনকি সাত জমিনও কি তা জানতে পারবা না। যেহেতু কিছু অপরাধের শাস্তি হিসেবে সাত জমিনের নিচে গাইথা দেয়া হইবে, সেহেতু সাত জমিন বলতে জমিনের সাতটা স্তর মনে করা হইলেও বিজ্ঞানীরা মনে হয় সেরাম কিছু খুইজা পায় নাই। তাই এই সকল ব্যাপারে বিজ্ঞানের সর্বশেষ আবিস্কারের উপর নির্ভর করতে হবে।

বিজ্ঞান যেদিনই আবিস্কার করবে, সেদিনই এই সকল অবুঝ, অসম্পূর্ণ জ্ঞান পরিপূর্ণ হইবে। যদিও বিজ্ঞান এইসব কিছু আবিস্কারের পিছে লাইগা নাই। বিজ্ঞানীরা কারো নির্ভরতা ছাড়াই মানুষের কল্যানে নানা কিছু আবিস্কার করিয়া যাচ্ছে এবং বিজ্ঞানের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করে চলেছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.