প্রাচীনকাল থেকেই নারীর চুলের নানা উপমা দিয়েছেন কবি-সাহিত্যিকরা। তাঁরা চীনের জি কুইপিংয়ের চুল দেখলে কী বলতেন? তাঁর চুল যে অনেক লম্বা! মেপে দেখা গেল, এমন দীঘল কেশ বিশ্বের আর কোনো নারীর নেই। লম্বায় প্রায় সাড়ে ১৮ ফুট!
লম্বা চুলের শখ অনেক চীনা নারীরই আছে। পাঁচ থেকে ছয় ফুট লম্বা চুলের অধিকারীর সংখ্যাও সেখানে অনেক। তাই রেকর্ডধারীর বাস যে সেখানেই হবে, তা তো জানা কথা।
গুয়াংজি প্রদেশের জি কুইপিংয়ের চুলের দৈর্ঘ্য কাঁটায় কাঁটায় ১৮ দশমিক ৫৫ ফুট। গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে উঠেছে তাঁর নাম। ১৯৭৩ সালে বয়স যখন ১৩, তখন থেকেই চুল বড় করতে শুরু করেন তিনি। ২০০৪ সালেই নাম উঠে যায় রেকর্ডের খাতায়। চুল এত লম্বা হওয়ার পরেও তা যথেষ্ট সুন্দর ও পরিষ্কার রেখেছেন জি কুইপিং।
জানালেন, এত লম্বা চুলের যত্ন নিতে অনেক সময় চলে যায়। এর জন্য রীতিমতো সহকারীর প্রয়োজন পড়ে। ৩০ বছর ধরে বাড়ছে তাঁর চুল। আর তাই হাঁটাচলার সময়ও এতটা দিন বেশ ঝামেলা পোহাতে হয়েছে কুইপিংকে। কিন্তু রেকর্ডের কাছে তো তা নস্যি।
এখন রাস্তায় বের হলে তাঁর চুল বয়ে বেড়ায় এক সহকারী!
তবে নারীরই যে এত লম্বা চুল হতে পারে না তা নয়, পুরুষদেরও চুল লম্বা হতে পারে এবং তা নারীর লম্বা চুলকে রীতিমতো পেছনে ফেলেছেন ভিয়েতনামের বাসিন্দা ট্র্যান ভান হে। তাঁর চুলের দৈর্ঘ্য ২০ ফুট সাত ইঞ্চি। চুল বড় রাখার পেছনে এ ব্যক্তির একটি পণ ছিল। তাঁর ধারণা ছিল, তিনি চুল কাটা বন্ধ রাখলেই তাঁর প্রথম সন্তান সুস্থ থাকবে। সেই চিন্তা থেকেই ৭৩ বছর বয়সী ট্র্যান চুল কাটেন না ৪২ বছর ধরে।
আগামী মাসের গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের নতুন সংস্করণে সবচেয়ে লম্বা চুলের পুরুষ হিসেবে নাম লেখাতে যাচ্ছেন ট্র্যান ভান হে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।