আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমি মানসিক কুষ্ঠরোগী

দুঃস্বপ্ন দেখি পৃথিবী থমকে গেছে, চোখ খোলার আগে ভাবি- জেগে যেন দেখি সব আগের মতোই আছে।

কেন জানি এখন কোন কিছুতেই আর মন খারাপ হয়না; বড়জোর কিছুক্ষণের জন্য একটু রাগ লাগে - মেজাজ বিগড়ে থাকে এই। কিন্তু কোন কিছুতেই মন খারাপ হয়না। কুষ্ঠ রোগীর যেমন ক্ষতস্থানে সুই ফোটালেও কোন বোধ কাজ করেনা, অনেকটা সেই রকম অবস্থা। মাঝে মধ্যে খুব জানতে ইচ্ছা করে আদৌ বেঁচে আছিতো! একের পর এক ব্যর্থতা আর প্রতারণার শিকার হয়ে পায়ের নিচ থেকে ধীরে ধীরে মাটি সরে গিয়েছে।

একবারে শুরুতে বুঝতে না পারলেও যখন সরে যাচ্ছিল তখন বুঝতে পারছিলাম ঠিকই। কিন্তু ততোদিনে রাস্তা অনেক সরু হয়ে এসেছে উপরন্তু তখন একটা বিশ্বাস কাজ করত পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে গেলেও হয়তো চুড়ান্ত বিপর্যয় হওয়ার আগে উড়তে শিখে যাবো। বুঝতে পারিনি যত দূর পাল্লার বিহঙ্গই হোকনা কেন মাটির বুকে তাকে ফিরে আসতেই হয়; হায়! হাজার ফিট উঁচু যে বৃক্ষের মগডালে বসে সে মাটিকে উপেক্ষা করে বৃথা আস্ফালনে মত্ত থাকে, মাটি ছাড়া সেই বৃক্ষের অস্তিত্বই যে অবাস্তব। প্রাণপন চেষ্টায় সেই মাটির ভিত রক্ষা করাই যে একমাত্র সম্ভাব্য উপায় ছিল তা বুঝতে যে বড্ড দেরী হয়ে গেল। এখন সবকূল হারিয়ে উদভ্রান্তের মতো খালি ছুটছি।

ভালো কিছু হলে আনন্দিত হইনা, খারাপ কিছু হলে কষ্ট পাইনা। নিজের সমস্যার জন্য অন্যকে দায়ী করা ঠিকনা এটা বুঝি কিন্তু না করেও পারছিনা। এই লোকগুলোর স্বভাব চরিত্রের সাথে একটি বিশেষ প্রজাতির নেংটি ইঁদুরের চরিত্রগত মিল খুঁজে পাই; যে নেংটি ইঁদুর তার গর্তের মধ্যে বসে তার গর্তের সীমানাকেই বিশ্বব্রহ্মান্ডের পরিধী জ্ঞান করে নিজেকে ইহলোকের সর্বোত্তম প্রাণী বিবেচনা করে খেয়ে না খেয়ে একা একা গুন গুন করে নিজের কাল্পনিক গুনগান করতে করতে দিন অতিবাহিত করে। মজার বিষয় হলো এদের কামড়ে/সংস্পর্শে মানুষের প্লেগ হয়না; মানুষের মধ্যে ওদের স্বভাবগত রেপ্লিকা সৃষ্টি হয় অথবা আমার মতো মানসিক কুষ্ঠরোগ হয়।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.