আমি সবার মত পরিবেশ দূষন নিয়ে চিন্তা করিনা। চিন্তা করিনা পরমানু অস্ত্র বিস্তার নিয়ে, চিন্তা করিনা পারমানবিক বিস্ফোরন নিয়ে, আপনারা হয়তো অনেকে জানেন বর্তমান বিশ্বে যে পরিমান পারমানবিক অস্ত্র আসছে তা দিয়ে এই রকম দুই, চারটি পৃথিবী ধ্বংস করে দেওয়া সম্ভব।
আমি চিন্তিত মানসিক দূষণ নিয়ে, পরিবেশ দূষণের একমাত্র কারণ মানসিক দূষণ । যে ব্যক্তি বিশ্বাস ঘাতক, দুর্নীতি পরায়ণ, ছলনাময়ী, মুখে অমৃত অন্তরে গরল, মিথ্যাবাদী,খুন,ধর্ষনের সাথে জড়িত। সেই ব্যক্তি মানসিক দূষণের স্বীকার।
মানসিক দূষণের লক্ষ্য । যথাঃ-
১. যৌনতার দিকে ঝুঁকে পড়া।
২. আমি এবং আমার কথা বেশী বলা।
৩. ধর্মীয় বিধি নিষেধ মেনে না চলা।
৪. পরিবার থেকে দূরে সরে যাওয়া।
৫. স্বার্থ হাসিলের জন্য ভালো ব্যবহার করা।
৬. ১৮ বছর নিচে ব্যাত্তিগত ফোন ব্যবহার কার
আমি চিন্তিত মানসিক দূষণ নিয়ে। মনের বিকল্গতা নিয়ে, অবশ অঙ্গ নিয়ে, যদি এই একটি দূষণ বন্ধ করা যায় তাহলে পরিবেশ দূষণ অটোমেটিক বন্ধ হয়ে যাবে।
অথচ মানসিক দূষণ রোধে কোন জনসচেনতা কার্যক্রম নেই। মহাবিশ্বের শ্রেষ্ঠ প্রাণীটি মনের বিকল্প রোধে উপায় খুঁজে বের করতে হবে।
আমি চিন্তা করি দিন দিন মানুষ যেভাবে ধর্মীয় অনুশাসন থেকে দুরে সরে যাচ্ছে , এভাবে অগ্রসর হতে থাকলে আমাদের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে। আমাদের পৃথিবীতে যেমনি বাড়ছে দারিদ্রতা , তেমনি বাড়ছে কোটিপতি। আগে মানুষ মারা যেত রোগাক্রান্ত হয়ে, হিংস্র প্রাণির আক্রমনে। এখন মানুষ মারা যায় মানুষের হাতে। বন-জঙ্গলে হিংস্র প্রাণী কমে যাচ্ছে, অন্য দিকে বাড়ছে হিংস্র মানুষ।
মানুষ এখন খাদ্যের জন্য সবুজ উদ্ভিদের চেয়ে পশু পাখির মাংস অনেক বেশি গ্রহণ করছে। আমি বিশ্বাস করি যে পশুর মাংশ খেয়ে তারাও হিংস্র হয়ে ওঠে আরো বেশি। আমি জানি হিংস্র পশু গুলো কোথায় থাকে। আরো জানি তারা কখন আক্রমন করে। আমি আরো জানি তাদের কাছ বাঁচার কৌশল।
কিন্তু হিংস্র মানুষ কোথায় থাকে, কখন আক্রমন করে আমি জানিনা, জানিনা তাদের কাছ থেকে বাঁচার কৌশল।
মানুষের হিংস্রতা এত বিশাল যে, তাঁর সীমা রেখা নির্দিষ্ট করা যায় না। যায়না তারে ছাড়া কোন কল্পনা করা। আমি এ ভেবে আরো আতঙ্কিত যে, আমিও তাদের মত।
আমি এও জানি পৃথিবীতে ভালো মানুষের অভাব নেই।
স্বীকার করি যে, ভালো মানুষ ছাড়া পৃথিবী টিকে থাকত না। কিন্তু যে হারে খুন, ধর্ষণ, দারিদ্রতা, মরণাস্ত্র বাড়ছে, তাতে আমি নিশ্চিত ভালো মানুষের হার দিন দিন কমছে।
পৃথিবীর সকল দেশের উচিৎ মানসিক দূষন রোধে সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা। মানসিক দূষন কমলে খুন, ধর্ষণ, দারিদ্রতা, মরণাস্ত্র কমে যাবে। সাথে সাথে কমবে পরিবেশ দূষন।
কমবে রোগের প্রকোপ।
মানসিক দূষনের ফলে পৃথিবীর যে ক্ষতি হয়েছে, অন্য সব কারনে তত ক্ষতি হয়নি। আসুন, মানসিক দূষন রোধে পরিবার ও প্রকৃতি থেকে শিক্ষা গ্রহণ করি। মেনে চলি ধর্মীয় অনুশাসন।
আমি মানুষ দেখতে ভালবাসি
তাই তোমাদের পানে চেয়ে থাকি............................
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।