সব বিষয়ে জানতে ও শিখতে আগ্রহী একজন উদার মনের মানুষ।
টেনশনের মূল হচ্ছে অজানা ভয় বা আশঙ্কার উৎস, যার ফলে মনে জন্মলাভ করে অস্বস্তিকর বা নেতিবাচক অনুভূতি। কিছু উদাহরণ দেয়া যায় যেগুলো টেনশন সৃষ্টি করে। যেমন ডিভোর্স, জেল-জরিমানা, আহত বা অসুস্থ হওয়া, বেকারত্ব বা চাকরি চলে যাওয়া, গর্ভধারণ, বিবাহ, আর্থিক ক্ষতি ইত্যাদি। টেনশন মূলত দুশ্চিন্তারই রকমফের।
যে কোন দুশ্চিন্তা পারিপার্শ্বিকতার উপর নির্ভর করে। দুশ্চিন্তার উৎস হলো দ্বন্দ্ব। এই দ্বন্দ্ব তার মনের ভেতরে এক ধরনের চাপ সৃষ্টি করে। এই চাপ তখন টানটান এক অবস্থার সৃষ্টি করে। টেনশন অনেকসময় খুব গভীর অবচেতনের স্তর থেকে উৎপাদিত হয়।
ক্রমে সেই টেনশন গভীর এক দুশ্চিন্তায় পরিণত হয়। মাথা, ঘাড়, কাঁধ বা বুকে ব্যথা, বুক ধরফর করা, বুকে চাপ অনুভব করা, ঘন ঘন প্রশ্রাব হওয়া, মেয়েদের মাসিকের গন্ডগোল, হাট-পা কাঁপা ইত্যাদি ভেতরের গভীর টেনশনের বাইরের রূপ। অনেক গবেষক বলেন, সামান্য টেনশন থাকা নাকি ভাল, তবে সেটি অবশ্যই ইতিবাচক হতে হবে। যেমন স্কুল-কলেজের পরীক্ষার আগে সামান্য টেনশন ছাত্রদেরকে পড়াশুনায় মনোযোগী হতে সাহায্য করে।
টেনশন হলে কী করবেন
খুব গভীর অবচেতনের দ্বন্দ্ব থেকে উৎপাদিত টেনশন যা দুশ্চিন্তায় পরিণত হয় এবং প্রায় সারাক্ষণ আপনাকে অন্যমনষ্ক করে রাখে সেটা ছাড়া অধিকাংশ টেনশন নিয়ে টেনশন করার কোন প্রয়োজন নেই।
যে কারণে টেনশন তার যুক্তিসঙ্গত সমাধান বের করার চেষ্টা করুন। নিজের মন ও শরীরকে নমনীয় করার চেষ্টা করুন। ব্যায়াম, ইয়োগা, প্রার্থনা, ডাক্তারের পরামর্শ, টেনশন কমাবার সামান্য ওষুধ দিয়েই অধিকাংশ টেনশন কমানো যায়।
পুরানো পোস্ট:
১। মানসিক রোগের কারণ
২।
মানসিক রোগের পূর্ব লক্ষণ
৩। মানসিক রোগের উপসর্গ
৪। মানসিক রোগের অন্যান্য উপসর্গ
৫। মানসিক সুস্থ লোককে কিভাবে চেনা যায়
৬। মানসিক রোগের শ্রেণীবিভাগ
৭।
মানসিক রোগ/সমস্যা : অবাস্তব ভয় বা ফোবিয়া
৮। মানসিক রোগ/সমস্যা : অনিয়ন্ত্রিত ক্রোধ
তথ্যসুত্র:
মানসিক রোগ অজানা অধ্যায় - ডাঃ সজল আশরাফ
মনের সুখ-অসুখ - ডঃ শিবেন সাহা
মনের বিকার ও প্রতিকার - ধীরেন্দ্রনাথ নন্দী
ইন্টারনেট
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।