ব্যাপারটি এখনও পুরোপুরি নিশ্চিত নয়। তবে বহু বৈজ্ঞানিক আশাবাদী যে এক নতুন মৌল কণার আবিষ্কার প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে।
আমেরিকার ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের বাটাভিয়ায় ফার্মিল্যাব পরিচালিত টেভাট্রন অবস্থিত। LHC'র আগে এটাই ছিলো সবচে শক্তিশালী ত্বরণ যন্ত্র। ২০০৮ এর এক পরীক্ষায় প্রথম ব্যাপারটি ধরা পড়ে।
তবে সাম্প্রতিক এক পরীক্ষার পর বৈজ্ঞানিকেরা ধারণা করছেন যে এ যাবৎ অনাবিষ্কৃত এক নতুন মৌল কণার সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। তাহলে অবশ্য পদার্থবিদ্যায় বেশ বড় পরিবর্তন আসবে।
এখন পর্যন্ত চারটি মৌলিক বলের অস্তিত্ত্ব স্বীকৃত, ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফোর্স, গ্র্যাভিটি, উইক এবং স্ট্রং নিউক্লিয়ার ফোর্স। এ কণার অস্তিত্ত্ব প্রমাণ হলে "Technicolor" থিওরীর মাধ্যমে নতুন মৌলিক বলের সন্ধান প্রমাণিত হবে।
টেভাট্রন প্রোটন এবং অ্যান্টি-প্রোটন এর কলিশান ঘটায়।
এর শক্তি অবশ্য LHC'র চেয়ে বেশ কম। এর CDF(Collider Detector at Fermilab) ডিটেক্টরে পাওয়া তথ্যে বেশ ব্যাপক গরমিল পাওয়া যাচ্ছে। সংঘর্ষের ফলে W বোসন এবং এক ধরণের jet পাওয়া যায়।
এই jet গুলো অন্য মৌল কণার সমষ্টি। বিশেষতঃ Top quark নির্গমনের ফলে বহু মৌল কণার আবির্ভাব ঘটে।
৪৫০ বিলিয়ান ইলেক্ট্রন ভোল্টের ওপর এনার্জি লেভেলে ৪৫% টপ কোয়ার্ক, প্রোটন বীম বরাবর রওনা হয়, যেখানে মাত্র ৯% এর যাওয়ার কথা। তথ্যের এ বিষয়টি গবেষকদের কাছে এক ধরণের bump। এই বিষয়টির নিশ্চয়তার ওপরই নির্ভর করছে এর সত্যতা। মোটামুটিভাবে প্রতি ১০০০ ভাগে ১ ভাগ সম্ভাবনা রয়েছে এটা ভুল হবার। যদি এক মিলিয়ান ভাগে এক ভাগ পর্যন্ত যাওয়া যায়, তবেই সবাই এটার সত্যতা মেনে নেবেন।
অনেকে আবার বলছেন এই ভারী মৌল কণাটি টেভাট্রনের পরীক্ষায় পাওয়া যাবেনা। সুতরাং আরও শক্তিশালী কলিশান এনার্জির পরীক্ষা করতে সক্ষম LHC কে কাজে লাগানো হোক॥
বিগ ব্যাংয়ের পর কিভাবে ভর সম্পন্ন মৌল কণার উৎপত্তি হয় তার বহুল প্রচলিত তত্ত্বের মূলে রয়েছে Higgs Boson। এটাও অবশ্য এখনও আবিষ্কৃত হয়নি। এছাড়াও অন্য কিছু তত্ত্বও রয়েছে। নতুন এ কণার আবিষ্কার সে ধরণের থিওরীর ভিত শক্ত করবে।
টেভাট্রনের গতি পথে CDF ছাড়াও D0 নামের আরেকটি ডিটেক্টর রয়েছে। সেখানের পরীক্ষার পর মোটামুটি এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ বছরই সেপ্টেম্বর মাসে শেষ সংঘর্ষের পর টেভাট্রন বন্ধ হয়ে যাবার কথা। তার আগে এটাই হয়তো ছিলো তার শেষ চমক।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।