আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মহিলা আওয়ামী লীগে ঠাণ্ডা লড়াই

i am ............

সম্ভাব্য কাউন্সিলকে ঘিরে মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে চলছে ঠাণ্ডা লড়াই। সারা দেশে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পরই কাউন্সিলের তারিখ চূড়ান্ত হতে পারে সংগঠনটির। কাউন্সিলের কারণে চাঙ্গা হয়ে উঠছে ঝিমিয়ে পড়া সংগঠনটি। সংগঠনের অলস নেত্রীরা শীর্ষপদ পেতে শুরু করেছেন লবিং-গ্রুপিং। আওয়ামী লীগের শীর্ষনেতাদের কাছে ধরনা দিচ্ছেন তারা।

সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদে সম্ভাব্য বেশকজন নেত্রীর মধ্যে শুরু হয়েছে প্রতিযোগিতা। তাদের দ্বন্দ্ব এখন চরমে। দলীয় কর্মসূচিতে একজন আরেকজনের বিরোধিতা করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। মহিলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ কাউন্সিল হয় ২০০৩ সালের ১২ জুলাই। এরপর কাউন্সিল এবং বর্ধিতসভার কোনোটিই হয়নি।

মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরা আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদিকার দায়িত্ব পেয়েছেন। শূন্যপদে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পিনু খানকে। সূত্রমতে, ইন্দিরা চেয়েছিলেন নিজের পছন্দের কাউকে সাধারণ সম্পাদক পদে বসাতে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ইন্দিরার সে আশায় গুড়েবালি হয়েছে। তবে ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরার সমর্থিত নেতা-কর্মীরা সাংগঠনিকভাবে পিনু খানকে সহযোগিতা করছেন না বলে অভিযোগ রয়েছে।

বর্তমানে মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে রয়েছেন আশরাফুন্নেছা মোশারফ। তবে এ পদে সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন সংগঠনের সহসভাপতি সাফিয়া খাতুন এমপি এবং সাংগঠনিক সম্পাদক আসমা জেরিন ঝুমু এমপি। সাধারণ সম্পাদকের পদে রয়েছেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক পিনু খান। এ পদে সম্ভাব্য প্রার্থী রয়েছেন সাংগঠনিক সম্পাদক নাসিমা মন্টু, মোরশেদা লিপি, মাহমুদা বেগম ও প্রচার সম্পাদক রোকসানা বেগম। এ ব্যাপারে মহিলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক পিনু খান জানান, সংগঠনের প্রতি যে অঙ্গীকার তা সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করছি।

সংগঠনকে গতিশীল করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। তিনি বলেন, ইউপি নির্বাচনের পরে কাউন্সিলের বিষয়ে নেত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সাংগঠনিক সম্পাদক নাসিমা মন্টু বলেন, দীর্ঘ ৩৬ বছর ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে আছি। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের পদ দাবি করতেই পারি। মাহমুদা বেগম বলেন, সংগঠনের জন্য কাজ করছি।

যেখানে যে অবস্থায়ই থাকি কাজ করে যাব। চাওয়া-পাওয়া থাকতেই পারে। তিনি বলেন, নেত্রী নির্দেশ দিলেই কাউন্সিল হবে।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।