মানুষ পরাজিত হতে পারে কিন্তু কখনো ধ্বংস হয় না। - আর্নষ্ট হেমিংওয়ে
ইদানিং বাসে মহিলা সিট আদায় করে নেবার জন্য নারীরা বেশ সচেতন। এবং পেছনে সিট খালি থাকলে কেউ শখ করে মহিলা সিটে বসে না।
তারপরও কিছু ভদ্রলোক শখ করেই হোক বা পুরুষত্ব ফলাবার জন্যই হোক, মহিলা সিট দখল করে থাকে এবং বাসের অফিস গামী বা ফেরত কর্মজীবি নারীদের তর্কে সাথে লিপ্ত হয়। এতে মনে হয় তারা একটা কুৎসিত মানসিক তৃপ্তি পায়।
মহিলা সিট থাকা সত্বেও, সে সকর সিট পর্যাপ্ত না থাকায় অনেকেই দাড়িয়ে যেতে হয়। এবং বাসের ভীড়ে অপ্রস্তুতকর অবস্থায় পড়তে হয়। আমি যখন মেট্রোলিংকে করে ভার্সিটি যেতাম। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আমি বিব্রতকর অবস্থায় পরতাম। সকাল বেলা মিরপুর থেকে ছেড়ে আসতো আর আমি বাসে চরতাম সোবহানবাগে।
বাসের গেট আর সামনের অংশে ভীড় করে থাকতো ইডেন কলেজের মেয়েরা। অনেক মেয়েরাই তাদের শরীরের সাথে শরীর টাচ লাগলে দুটো কথা শুনায় দিতো।
যাইহোক, ভীড়ের বাসে মেয়েদের শরীরের সাথে সব স্পর্শই যে কামুক না এইটা অনন্ত নারীরা বুঝবেন। এবং মেয়েরা বাসের যে অংশে দাড়ায় সে অংশে যে বাসের সামনের অংশ এবং গেটের কাছাকাছি, তো বাসের পেছনের দিকে যেতে হলে ভীড় ঠেলে যেতে হয় এবং এতে একটু/ভালোই টাচ লাগা স্বাভাবিক। আর বাসে অধিকাংশ মেয়েদের ব্যালেন্স খুব খারাপ আর ড্রাইভারাও যে ব্রেক মারে, তাতে ব্যালেন্স রাখাটাও সমস্যা।
তাই আমার মনে হয় বাসে চলাচলের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ, বিষেষ করে অফিস আওয়ারে উভয়ের প্রতি উভয়কে একটু হেল্পফুল হওয়া দরকার। আর কোন ছেলে যদি আপনাকে সিট ছেড়ে দেয়, তাকে অন্তত একবার ধন্যবাদ দিন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।