আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কেনিয়ার ভুক্তভোগীদের মামলাযুক্তরাজ্যকে 'ঔপনিবেশিক নির্যাতনের' নথি প্রকাশের নির্দেশ আদালতের



কেনিয়ার ভুক্তভোগীদের মামলাযুক্তরাজ্যকে 'ঔপনিবেশিক নির্যাতনের' নথি প্রকাশের নির্দেশ আদালতের কালের কণ্ঠ ডেস্ক ঔপনিবেশিক আমলের স্পর্শকাতর হাজার হাজার দলিলদস্তাবেজ প্রকাশ করতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য সরকার। ওই আমলে কেনিয়ার স্বাধীনতার জন্য লড়াই করা কিকুয়ু বিদ্রোহীদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে যুক্তরাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করেন চার ভুক্তভোগী। এ মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই কয়েক দশক ধরে সরকারের কাছে গোপন থাকা দলিলদস্তাবেজ প্রকাশ করার ঘোষণা দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কিকুয়ুদের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত সরকারকে তৎকালীন দলিলদস্তাবেজ খুঁজে দেখার নির্দেশ দেন। তবে সরকার প্রথমদিকে এ ব্যাপারে নিজেদের কাছে তথ্য থাকার কথা অস্বীকার করে।

কিন্তু গত বছর অঙ্ফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসবিদ ডেভিড অ্যান্ডারসনের হাতে আসা ৩০০টি ফাইল আদালতে দাখিল করে বাদীপক্ষ। সেগুলো ১৯৬৩ সালে কেনিয়ার স্বাধীনতা লাভের কিছু সময় আগের, আর তা সবই কেনিয়া থেকে ব্রিটেনে পাঠানো হয়েছিল। এ পর্যায়ে চলতি বছরের গোড়ার দিকে আবারও এ-সংক্রান্ত তথ্যউপাত্ত খুঁজে দেখার জন্য ব্রিটিশ সরকারকে নির্দেশ দেন আদালত। গত মঙ্গলবার ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, 'মাউ মাউ মামলা-সংক্রান্ত অনেক তথ্য পাওয়া গেছে। সেগুলো জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে।

' অভিযোগ রয়েছে, গত শতাব্দীর পঞ্চাশের দশকে কেনিয়ার স্বাধীনতার লক্ষ্যে শুরু হওয়া মাউ মাউ যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী কিকুয়ুদের বিনাবিচারে আটক রেখে অকথ্য নির্যাতন চালাত ব্রিটিশ সেনাবাহিনী। যথেচ্ছভাবে হত্যা, যৌন নির্যাতন, জোরপূর্বক কাজ করানো, খোজা (নপুংসকরণ) করে দেওয়াসহ শারীরিক নির্যাতন করা হতো স্বাধীনতাকামী কিকুয়ুদের। ব্রিটিশ সেনাদের নিয়ন্ত্রিত ক্যাম্পে আটক ও অত্যাচারিত কেনিয়দের মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার দাদাও ছিলেন। সে সময় জারি করা তথাকথিত 'জরুরি অবস্থায়' সেনাপরিচালিত ভয়াবহ 'ডিটেনশন ক্যাম্প' থেকে বেঁচে যাওয়া চার কেনিয় নাগরিক ক্ষতিপূরণ চেয়ে এ মামলা করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার তাঁদের পক্ষের আইনজীবীরা হাইকোর্টে এ ব্যাপারে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করবেন।

ব্রিটিশ ফরেন অ্যান্ড কমনওয়েলথ অফিসের (এফসিও) কাছে কয়েক দশক ধরে গোপন থাকা এ দলিলদস্তাবেজ প্রকাশ হলে বাদীপক্ষের আবেদন আরো জোরালো হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের দাবি, স্বাধীনতার আগ মুহূর্তে হাজার হাজার কেনিয়কে 'নিয়ম করে' নির্যাতনের অভিযোগ এত দিন সরকার অস্বীকার করলেও এখন তারা ব্যাপক প্রশ্নের মুখে পড়বে। প্রসঙ্গত, ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে ১৯৬৩ সালের ১২ ডিসেম্বর স্বাধীনতা লাভ করে কেনিয়া। এর আগে পূর্ব আফ্রিকার এ ভূখণ্ডটিকে স্বাধীনতার জন্য লড়াই করতে হয়েছে এক দশকেরও বেশি সময়। গত শতাব্দীর পঞ্চাশের দশকে সেই স্বাধীনতা সংগ্রামে মুক্তিকামী কিকুয়ুদের দমন করতে সহিংস আচরণ করে ব্রিটিশ সেনাবাহিনী।

সূত্র : এপি, গার্ডিয়ান।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.