যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় পবিত্র কোরআন শরীফ পুড়িয়ে যে ধর্মযাজক মুসলিম বিশ্বে বিক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে দিয়েছিল সেই পিটার জোনসকে রোববার প্রকাশ্যে দেখা গেছে। এ খবর প্রকাশ করেছে দি মিয়ামি হেরাল্ড।
গতকাল ফ্লোরিডার গেইন্সভিলের ডোভ ওয়ার্ল্ড আউটরিচ সেন্টোরের সামনে উপস্থিত হয়ে একটি মিউজিক স্ট্যান্ডে জোনস তার বন্দুক ও বাইবেল রাখে এবং দম্ভভরে বলে, কোরআন পোড়ানোর কারণে মুসলিম জাহানে যে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে এবং যে সহিংসতা ঘটেছে তার জন্য সে নিজেকে দোষী মনে করছে না। পরে গীর্জায় গিয়ে সমবেত প্রার্থনাকারীদের উদ্দেশ্যে সে যিশু খিস্ট, মাটিন লুথার কিং-এর প্রসঙ্গ তুলে বলেন, এরাও তাদের জীবনে প্রচণ্ড ঝুঁকি নিয়েছিলেন। সে কারণে সেও এই কাজ করতে অনুপ্রাণিত হয়েছে ।
সে বলে, যুক্তরাষ্ট্রে যখন প্রথম মানবাধিকার আন্দোলন শুরু হয়েছিল তখন অসংখ্য মানুষ নিহত হয়েছিল , তখন কি মার্টিং কিং ভুল করেছিলেন? এ সময় সেখানে অবস্থানরত সমবেত প্রার্থনাকারীরা 'না' শব্দ উচ্চারণ করে জোনসের বক্তব্যের প্রতিধ্বনী করে। তবে সাংবাদিক সহ ২০ জন নীরব থাকেন।
উল্লেখ্য ফ্লোরিডায় একটি গীর্জায় ধর্মযাজক পিটার জোনসের উপস্থিতিতে পবিত্র কোরআন শরীফ পোড়ানোর ঘটনায় গত শুক্রবার আফগানিস্তানে জুম্মার নামাজের পর হাজার হাজার মুসল্লি জাতিসংঘ কার্যালয়ে হামলা চালায়। হামলায় ৭ জাতিসংঘ কর্মী নিহত হয়। এতে ৫ মুসল্লিও নিহত এবং অসংখ্য আহত হয়।
গত বছর ১১ সেপ্টেম্বর টুইন টাওয়ার ধ্বংসের বার্ষিকীতে পিটার জোনস কোরআন শরীফ পোড়ানোর ঘোষণা দেয়ায় মুসলিম জাহানে আগুন জ্বলে ওঠে। প্রচণ্ড বিক্ষোভ ও প্রতিবাদের মুখে নালায়েক পিটার জোনস এই দুষ্কর্ম পরিত্যাগে বাধ্য হয়।
Click This Link
আপনাদের মতামত কাম্য.....................
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।