ক্ষমতার দর্পে আওয়ামীলীগ জিয়াকে নিয়ে যা ইচ্ছে তাই করে যাচ্ছে। জিয়াকে নানা ধরনের মরনোত্তর উপাধীতে ভূষিত করেই তারা ক্ষান্ত নয়। একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ গঠনে তার যত অবদান ছিল সব থেকে তার নাম মুছে দেয়ার জোর প্রচেষ্টা চলছে। একজন তো অতি উৎসাহী হয়ে তাকে সেক্টর কমান্ডারের পদ থেকেও খারিজ করে দিয়েছেন। যুদ্ধাপরাধীদের সাথে তার প্রতিষ্ঠিত দলের বর্তমানের সখ্য বিবেচনায় এনে হয়তো কোন একদিন বিজ্ঞ আদালতের এক রায়ে তাকে ঘোষনা করা হবে 'মরনোত্তর রাজাকার' হিসেবে!
আওয়ামীলীগ তাদের এবারের ক্ষমতারোহনকে চিরদিনের ক্ষমতারোহন ভাবছে।
বিরোধী সকল শিবিরকেই তারা তটস্থ রাখছে। যারা বিরোধী ছিলনা, কিংবা রাজনীতি নিয়ে যাদের ততটা মাথা ব্যথা ছিলনা তাদেরকেও খোঁচাতে ছাড়ছেনা। দলীয় ক্যাডার থেকে শুরু করে শীর্ষপর্যায়ের নেতা সবাই যেমন নারীবাজী, টেন্ডারবাজী, সন্ত্রাসবাজী, দুর্ণীতিবাজীতে লিপ্ত থাকছে তেমনি ভিন্নমত দলনে রাখছে কার্যকর ভূমিকা। গোটা দেশ আজ তাদের মরণ কামড়ে বিপর্যস্থ, দিশেহারা। তবু কেউ কিছু করতে পরছেনা।
ভারতকে নানাবিধ সুবিধা দেবার বিনিময়ে চিরস্থায়ী ক্ষমতারোহনের নিশ্চয়তা তারা পেয়েছে। এদেশের সেনাবাহিনীকেও ভারতের মদদে পায়ের তলায় রাখার ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করেছে। সুতরাং আর বাধা কোথায়? এবার যা ইচ্ছা তা করতে পারে। এর প্রমানও তারা দিয়েছে। দলীয় লোকদের আইনের উর্ধ্বে তুলে ধরার জন্য ইতোমধ্যেই তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা অধিকাংশ মামলা প্রত্যাহার করেছে।
প্রেসিডেন্ট যেমন খুনের আসামীকে মাফ করে দিয়ে নজীর স্থাপন করেছেন তেমনি দলীয় ক্যাডারদের খুনের লাইসেন্স প্রদানের চিন্তা ভাবনা তারা করছে।
সুতরাং দেখা যাচ্ছে বিএনপির কোন আশাই আর অবশিষ্ট নাই।
কিন্তু না, পর্দার আড়ালে বিএনপিও চেলে যাচ্ছে দাবার জটিল-কুটিল চাল। চীনের পর সৌদি আরব সফর। আমেরিকা-রাশিয়া-ইস্রাঈল কোনটাই এবার বাদ দিবেনা বিএনপি।
সঙ্গে আছে দেশের ফুঁসতে থাকা ভুখা-নাঙ্গা-নির্যাতিত মানুষ। বিএনপি এবার আওয়ামীলীগকে পাঁচ বছরের আগেই ক্ষমতা থেকে নামানোর ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। প্রয়োজনে রক্তের যমুনায় গোসল করে ক্ষমতায় যাবে, তবু আওয়ামীলীগকে মেয়াদ শেষ করতে দিবেনা।
ক্ষমতায় গিয়ে কি কি করবে তারও একটা রূপরেখা ইতোমধ্যেই তারা তৈরী করে ফেলেছে। আওয়ামীলীগের বলার মত একটা জিনিসই আছে সেটা হলো বঙ্গবন্ধুর দল এটি।
সুতরাং বিএনপি এবার ক্ষমতায় গিয়েই প্রথম যে কাজটি করবে তাহলো শেখ মুজিবকে জাতীয় গাদ্দার উপাধী প্রদান এবং মরনোত্তর কুশপুত্তলিকাদাহ। আদালতের রায়ে সিরাজ শিকদারকে বানানো হবে জাতীয় মুক্তির অবিসংবাদিত নেতা আর মুজিবকে বানানো হবে নয়া মীরজাফর। নিন্দুকরা একে তাহের হত্যার আওয়ামী বিচারের প্রতিশোধ হিসেবে ভাবতে পারে জেনেও বিএনপি এ কাজটি করবে।
ভাবছেন আওয়ামীলীগ সহ দেশের আপামর জনগণ এই রায়ের বিরোধীতা করবে ? বিএনপি সে জন্য প্রস্তুত। তারা ঘরে ঘরে অস্ত্র সরবরাহ করবে।
দলের প্রত্যেক প্রাথমিক সদস্য পদের জন্য কমপক্ষে দশটি খুনের অভিজ্ঞতা আছে এমন লোকদের অগ্রাধিকার দিবে। এতে দেশের জনসংখ্যা যেমন কমবে জিনিসপত্রের দামও কমবে, একই সাথে বিরোধী লোকও কমবে। বিএনপি এক ঢিলে শত পাখি মারার এই পদ্ধতিটিকেই আপাতত অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
নির্বাচনের রাতেই রাজনৈতিক সহিংসতায় মারা যাবে আওয়ামীলীগের অধিকাংশ নেতা। বিএনপির নেতা-কর্মীদের নামে এই ঘটনায় খুনের মামলা হবে।
কুচ পরোয়া নেহি, বিএনপি সবাইকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষনা করবে। দেশের ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মোছার পর এদেশের ইতিহাস থেকে আওয়ামীলীগের নামও তারা মুছে দিবে। যদি কোন বই বা পত্রিকায় 'আওয়ামীলীগ' শব্দটি থাকে সেটাকে নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হবে। যদি কারো স্মৃতিতে এই নামটি থাকে তাহলে থেরাপি দিয়ে তা ইরেজ করা হবে।
ভারত এসময় কিছু করতে যাবেনা।
কারণ ততদিনে বিনা শুল্কে ট্রানজিটসহ দেশের সকল গ্যাস ক্ষেত্রের ইজারা পেয়ে যাবে ভারত। বাংলাদেশে সেনাঘাটি স্থাপনের অনুমতি পেয়ে যাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর ইস্রাইল এবং রাশিয়ার কাছ থেকে কেনা শুরু করবে হাল ফ্যাশনের সমরাস্ত্র। সৌদী আরব থেকে কিনবে অধিক মূল্যে তেল। সুতরাং বিএনপি আর কোনদিন ক্ষমতা থেকে নামবেনা।
কারণ, বিদেশী প্রভুরা এটা কল্পনাও করতে পারবেনা যে,তাদের চেয়ে বেশি সুবিধা আর কেউ দিতে পারবে।
(একটি কিরো প্রডাকশন)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।