বাংলার কৃষক (১)
মিশকালো আকাশে শিস দেয় বৃষ্টি। নিশি যায় ক্লান্তির আমেজে। বিষন্ন বর্ষায় ব্যকুল ব্যথা। টনটন করে বুক হাহাকার হিন্দোল। মেঘেরা ঝরিছে যেন বাসাভাঙা ভেঙুল।
ওদাওদা শ্যাওলায় ঘিনঘিনে দিনকাল। ঘুম ঘুম সুগন্ধি সারা রাত ছিলো বুকে। বিবিরে জড়িয়ে জুড়াই জনমের ব্যথা। নিদ্রানিমগ্ন নিশি কাটে উষ্ণ মাটির পক্ষপুটে। বিহান বেলা কেটে গেলো মেঘার বিলাপে।
সারা গ্রাম ঢেকে আছে সবুজ গিলাপে। কানকো ঠেলে মাছ চলে যায় ব্জ্র থরথর। স্রোত পেয়ে যায় ধারার খরায় পালায় জীবন পেতে। পোয়াতি মাছ গর্ভ ফেলে স্বচ্ছ নয়া জলে। পেট নিয়ে যে মাছ ঘুরেছে।
ব্জ্রনির্ঘোষে প্রাণস্ফীত পেট ফেটে প্রাণ ছড়ায় সবখানে। রেণু রেণু প্রাণ অরণী ফুটে ফুটে যায় চলে যায়। দেখেছি আজ মেঘের কলরবে।
আমি চাষা চাষে নামি প্রাণের গৌরবে। পান্তা আমার গ্রীষ্মকালে, বরষায় গরম ভাত।
জমিতে যাই। না গেলে কী পেতাম আমি এতো প্রাণের সাক্ষাৎ! পোকার লিঙ্গ চিনি আমি কর্ষণ বিজ্ঞানে। ধানের গোছায় স্বরবৃত্ত ফুঁসে উঠে জ্বলে। পংক্তি করে লাগাই ফসল মাত্রাবৃত্তে বাড়ে। গোছা গোছা ধানের ক্ষেতে পতঙ্গ উল্লাস।
বসে উড়ে ধানেই বসবাস।
বাংলার কৃষক (২)
কল কল করে উঠে প্রাণ। সম্ভাবনাময় তারায় দেখেছি বিরল প্রাণ। জগদীশ সম্ভাবনায় কোথাও কড়ুল-কুঁই- পাতার উত্থান। কোথাও পাতার উপর অশ্রু-আকুল চোখ ভেজা পাখিটির।
এখন প্রজননকাল। কালো বিড়ালের মতো চুপিচুপি মেঘ এসেছিলো। কবোষ্ণকলায় উদ্বিগ্ন প্রাণের উষ্ণতায় সুপ্রতিষ্ঠিত সুঠাম ডানায় ঢেকেছিলো ছানা। আশ্রয় আর কিছু নাই। শুধু আছে ডানা।
অপর বৃক্ষে ছিলো খোড়ল। স্বপ্নে দেখেছে সেখানে সাপের ফণা। সব আড়াল উড়ে গেলে বাস্তুনীড় বসতির বিপন্ন দশায় শক্তিসংস্থিত স্থাপনা। আড়াল উন্মুলিত বসে থাকি জাগরণ কালে।
লেলিহান দিন
আহা! অলাতচক্রদন্ড বাহুর ঘুর্ণনে, আগুনউতালা এই চারচোখা চুলা
অনাদরে কেটে যায় আগুনের কাল, ক্ষরণক্কুব্ধ এই সময়-মানুষের বিজয়
দেখে যাবো।
ইচ্ছাপত্রে লিখে যাবো, অনেক বাসনা ছিলো শহীদ হবার
এমন লেলিহান দিন, তণুকাষ্ঠে জ্বালিয়েছি কালের আগুন। ।
পায়ে তার রিঙ
আজ কোন পাখি নাই, শকুন ও বাজ (১) আছে। লিবিয়ার আকাশে শিকারি বাজ।
পায়ে তার রিঙ।
সাগর থেকে আসে টর্পেডো, টাইফুন… ওরা মাটি ভয় পায়
আমাদেরও আছে রূপসী বাজ, ইংলিশ রোড থেকে সে উড়ে গেছে বিরান আকালে
কোন এক নাগরের কাছে। যে ঈগল বেঁধেছে খোঁপা সে আছে নীরবে বসে।
উড্ডীন বাজের রূপ দেখো নাই, দেখে যাও আমাদের দেশে আছে।
১) শিকারি এই পাখির স্থানীয় নাম সাপখেকো বাজ, তিলাবাজ, খোঁপা ইগল ইত্যাদি। উড়লেই এদের শরীরের সৌন্দর্য খোলে।
বসে থাকলে সাদামাটা লাগে। তীক্ষ দৃষ্টিশক্তি আর শিকার দক্ষতা আছে।
দম
আমার এখনো দম যায় নাই। শকুনটা বসে আছে ঠোঁট বাকিয়ে। বিমানের মতো উড়াল দেয়, আবার বসে, আনন্দে।
লিবিয়া এখন মধুসূদনের লঙ্কাপুরী। আমি ভূমধ্যসাগরের নীল (২) । নিলিনীর ইশকে মাতোয়ারা আমি। ঠিক মধ্যমুকুলে বসে মধুপত্রিকায় নীলপুষ্পকবিতায় তোমাকে আমার বুকের ভেতর রেখেছি। আমি ভূমধ্যসাগরের বুকে তোমারই পোষা হাঁস।
আমার প্রাণ যায় যায়। এখনো ডানায় ভেসে আছি।
২) ৪৪০-৪৯০ ন্যনোমিটার তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলোকরশ্মি চোখে আপতিত হলে যে রঙ দর্শনের অনুভূতি জন্মায়, তাই হলো নীল। নীল একটি মৌলিক রঙ। নীলের নানা অভিপ্রকাশ আছে- নিলিনী, রঞ্জনী, গ্রামিনিয়া, কালোকেশী, নীলপুষ্প, মধুপত্রিকা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।