যদিও তুমি ধ্রুবতারা তবুও আমি দিশেহারা
ওই যে ওইখানটাতে, হীজল দিঘীর পাড়ে,
নকশি ঘাসের মাঠ শুয়ে আছে।
বুড়ো থুড়থুড়ে বটগাছ টা এখনো মরেনি।
বেচে থাকে আর, প্রজাপতি অথবা শুয়ো পোকা পেলেই
গল্প জুড়ে দেয়। বহূ সখের সখ্যতা।
সেই দিনটির গল্প যেইদিন অষ্টমির চাঁদ
তার দিকে তাকিয়ে সোজা হাসি হেসেছিল।
আর সেই গল্প টা, ঠিক গল্প না, একে অনেকটা
বুদ্ধিজৈবিক আলোচনা বলা চলে।
ওই যে একটা মেয়ে, চুলে বেনি করে আসে,
বসে থাকে আর আপন মনে বিড় বিড় করে।
কাদেনা, মেয়েটি কিন্তু কখনোই কাদেনা।
তার কথা শুনে বুড়ো বটের পাতা পাতায়
কাচা পাকা বিষ্ময়।
বলে কি! কি ভয়ঙ্কর!
চিন্তায় বয়েসি বটের পাতা ঝরে জায়।
ফ্যাকাসে হয়ে যায় প্রজাপতিদের ডানা গুলিও।
ও মেয়ে বলে কি! ওর কি শিকড় নেই?
এতই কি সহজ শিকড় উপড়ে ফেলা!?
শুয়োপোকারা এখনো ছোট তাই কিছুই বোঝেনা।
শো শো শব্দে গান করে পশ্চিমের বাতাসের দল।
আর অজথাই মেঘেদের গুড়ূম গাড়ুম ও ভালো লাগে শুয়োপোকাদের।
অবচেতন চিন্তা তাদের।
কতই না সুন্দর এই বেচে থাকা!
সে এক জোনাক জ্বলা রাতের কথা।
চাঁদ তখন ছুটিতে গেছে, অন্য কোন বনালয়ে।
আকাষে কৃষন পক্ষের বিষন্নতা।
জোনাকিদের দল খুব গর্বিত।
ধার করা চাঁদের কনা গায়ে ঘুরে বেড়ায়।
আর জ্বলে আর নিভে। অন্ধকারে আলো আর আধার।
সেই রাতে, নিস্তব্ধ ঝিঝি পোকা।
ঝুলন্ত মৃত্যুর গন্ধে ঘুম ভেঙ্গে যায় বৃদ্ধ বটের।
প্রজাপতিরা, ভয়ে চোখ মেলে না,
এই প্রথম তারা জানলো চোখ বুজেও কাঁদা যায়।
আর শুয়োপোকারা তখনও অনেক ছোট।
সঙ্গীহিন এক শালিক, একা একা, এক পায়ে
ঘুমানোর চেষ্টা করে।
যেন মাছের মাংস খেয়ে বেচে থাকা
সধবা সাদা বক সাজার চেষ্টা।
মায়া মায়া চোখে চেয়ে থাকে একটা দাড় কাক।
যে কিনা আজ বিকেলেও
ছিনিয়ে এনেছে মায়ের কোল থেকে
কুড়িদিনের এক মুরগির ছাউ।
ঠুকরে ঠিকরে খেয়েছে স্বছ চোখ আর কলিজা।
ঠিক যেইখানটাতে থাকে ভালোবাসা।
এমন করেই ধিরে ধিরে ঘাস হেসে উঠে
স্বচ্ছ শীশীরের সাথে।
যদিও আজ অন্য দিন তবুও তারা হাসে।
ঘোমটা সরিয়ে জেগে উঠে লজ্জিত সূর্য।
রাঙ্গা আভায় যেন এক অদ্ভুত নরম দর্শন।
যদিও নকশি ঘাসের মাঠে আজ অন্য দিন.........
খাকি পোষাকিরা এসে তুলে নিয়ে যায় ঝুলন্ত মৃত্যু।
গা ঘিন ঘিন করতে থাকে বুড়ো বটের।
দুঃখে আর ঘেন্নায়।
শুয়োপোকারা এখনো নবোলোক।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।