sorry vai
সরু গলির বাক ঘুরতেই একটা দ্রুতগামী রিক্সাকে সাইড দিতে গিয়ে কুনুইটা পাশের পুরোনো দেয়ালে ঠেকল। সাথে সাথেই ঝুম করে একদলা প্লাস্টার খসে পড়লো। বয়েসী চশমার মোটা কাচের ওপাশ থেকে সাদা ভুরুময় চোখজোড়া অমনি কেমন শুন্যতা ভরে তাকালো প্লাস্টার খসা দেয়ালের দিকে। একটা তৃষ্ণার্ত কাক গগনবিদারী আর্তনাদে উড়ে গেল দূরের ছাদ থেকে। কুনুইটা মুছতে মুছতে বাক পেরিয়ে মূল রাস্তার দিকে হাটা দিলো সে।
বোশেখের দুপুরে আখের রসের বেশ কাটতি। ঢক করে গিলে ফেলতে ইচ্ছে হলো কয়েক গ্লাস। দু'পা এগিয়ে পা দুটো কি ভেবে ফিরে এলো। চোয়াল শক্ত করে একটা ঢোক গিলে তৃষ্ণাটাকে যেন তাড়িয়ে দিল গলার কাছ খেকে। তারপর টানা পদযাত্রা লম্বা সরণী ধরে।
মধ্যশহরে, মধ্যদুপুরে, সভ্যতার মধ্যাণ্হে এক বেখাপ্পা অশ্বথ নির্লজ্জের মতো দাড়িয়ে আছে সদর রাস্তার গা ঘেষে। একটা ছোট্ট গোল ছায়া তৈরী করে যেন ঘোষনা দিচ্ছে এটুকো জমি আমার, এটুকোতে কারো অধিকার নেই। তবু জনৈক কোন নাপিত একটা ভাঙা আয়না ঝুলিয়ে কোন কালে ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর মত ব্যাবসা গেড়ে অশ্বথের অধিকার হরণ করবার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছিল। পারেনি যে ফেলে যাওয়া তৈজসই তার অকাট্য প্রমাণ। ফাকা পেয়ে বৃদ্ধ বেশ স্বস্তিতে আপন উপনিবেশ পত্তনের আশায় অশ্বথের ছায়ায় হাতের সংবাদপত্রটা বিছিয়ে আয়েশ করে গেড়ে বসলো।
একবার উর্ধ্বদেশে তাকিয়ে দেখে নিল অশ্বথটাকে। বেশ বয়েস হয়েছে। হঠাৎ কোথা থেকে ফু দেবার শব্দ কানে এলো। ফিরে তাকাতে চোখে পড়লো অশ্বথের অপর পাশে এক জোড়া সাদা কেটস পরা দুটো পা। পেন্সিল কাটার থেকে খোসা এসে উড়ে পড়ছে কেটসের উপর।
আরেকটু মাথা বাড়াতেই স্পষ্ট হলো অবয়বটা। এক জোয়ান ছোকরা স্কেচ আকছে বসে বসে। দেখে মনে হয় আর্ট কলেজের ছাত্র। আগ্রহ নিয়ে উঠে দাড়াল বৃদ্ধ। তারপর পেছন থেকে দাড়িয়ে একাগ্রচিত্তে ছেলেটার আকাআকি দেখতে ধরলো।
ছেলেটার ক্যানভাসে তখন একটা ছেড়া শার্ট। ছেড়া ফুটোটার ফাকে কিছু একটা বসানোর চিন্তায় মগ্ন সে। বুড়ো কিছুক্ষণ দেখে শেষমেষ বলেই বসলো, ফুটোটাতে একটা ছুটন্ত ঘোড়া বসিয়ে দিলেই তো পারো। ছেলেটা গভীর ভাবনা থেকে হঠাৎ ছিটকে পেছন ফিরে।
বৃদ্ধকে ভালভাবে দেখে নিয়ে জানতে চায়, 'কেন? ছুটন্ত ঘোড়া কেন?' বৃদ্ধ মুচকি হেসে বলে, 'ঘোড়াটা ফুটা দিয়ে দেখাতে পারো অনেক দূরে চলে গেছে দূরন্ত গতিতে।
দেখনা, কেমন একেছ শার্টের বুকের অংশটাই নেই। সব ছিড়ে বেরিয়ে যেতে চাইছে দূরন্ত স্বপ্ন। স্বপ্ন যখন লাগামহারা হয় তখন তো অভাবেই ছিড়ে ফুড়েই নিয়ে যায়, তাইনা?' ছেলেটা বড় পুলক বোধ করে। উচ্ছসিত হয়ে পেন্সিলটা ছুতে যায় ক্যানভাসে। বৃদ্ধ শিল্পির পাশে রাখা রুটি কলার দিকে তাকিয়ে বলে, 'রুটি কলা খেয়েই কি দিনটা কাটিয়ে দেবে?' শিল্পি ক্যানভাসের দিকে তাকিয়েই বলে, 'হুম'।
---- আমি কি একটা রুটি খেতে পারি?
---- পারেন।
বৃদ্ধ শিল্পির পাশে বসে পাশে রাখা বোতল থেকে একটু পানি মুখে দিয়ে একটা রুটি চিবাতে থাকে। শিল্পি বলে, 'চাইলে কলাও নিতে পারেন একটা। ' বৃদ্ধ কলা নেয়। আচ্ছা, আকাআকি তো ভালই করো, ভাড়া খাটো না? শিল্পি বলে, 'হুম, খাটি'।
বৃদ্ধ উচ্ছসিত হয়ে বলে, তাহলে এবার এই ছবিটা রাখো। এটা পরে করা যাবে। বাকি বেলা আমার ভাড়া খাটো, পয়সা যা চাও পেয়ে যাবে।
শিল্পি একইভাবে পেন্সিল চালাতে চালাতে বলে, কি আকতে হবে? বৃদ্ধ উত্তর দেয়, একটা যন্ত্রণার ছবি একে দিতে হবে। এবার শিল্পি ফিরে তাকায় বুড়োর দিকে।
ক্যানভাস থেকে ছেড়া শার্টের ছবিটা সরিয়ে নতুন কাগজ বসিয়ে প্রস্তুত হয়ে বুড়োর দিকে বসে বলে, আরেকটু ডিটেইলে গেলে সুবিধে হয়।
বুড়ো: যন্ত্রণা, একটা যন্ত্রণার ছবি।
শিল্পি: কিসের যন্ত্রনা?
বুড়ো: মানুষ হয়ে জন্মাবার যন্ত্রণা।
শিল্পি: যন্ত্রণার রঙ কি?
বুড়ো: মগজের রঙের মত হলেই হবে।
শিল্পি সাথে থাকা সব রঙ খুলে বসে।
কয়টা রং মিশিয়ে একটা ধূসর রঙ বানিয়ে একটা আচড় বুলায় ক্যানভাসে। বুড়ো সাথে সাথে বলে,
'না না, অমন না, তুমি মধ্যরাতে দূর থেকে ভেসে আসা কোন অপরিচিত কন্ঠের কান্না শুনেছ? তখন মগজ যেভাবে ফুপিয়ে উঠে অমন আচড় আকো। সাথে একটা ঘুণপোকা আকো। ঘুণপোকার পরীর মত ডানা থাকবে। সে নেচে নেচে মগজ খাবে।
'
শিল্পি এবার অন্য রঙ মেলায়। একটা ঘুণ পোকা আকতে থাকে। বুড়ো মাঝপথে বাধা দেয়,
ঘুনের গায়ে একটা নদীর রঙ দিতে পারবে? ঘুনের শরীরটাই একটা নদী। অথবা নদীটাই একটা ঘুণ। জলেরও তৃষ্ণা পায়, সেই তৃষ্ণার রঙ দাও না একটা।
একটা ছোট্ট বা মাঝারী বাকা আচড়।
বৃদ্ধের কথাগুলো ক্রমশও তপ্ত শহরের দুপুর গিলে খেতে থাকে। শিল্পি আর বুড়ো মিলে ক্যানভাসে একটা যন্ত্রণার ছবি আকার জন্য এই মধ্যদুপুুরে ব্যাকুল হয়ে পড়ে। ক্যানভাস একসময় রঙে রঙে ভরে যায়। বৃদ্ধ টান দিয়ে ছিড়ে নেয় ছবিটা।
'নাহ, তুমি পারবেনা। কেউ পারেনা, কেউ না। পিকাসো না, ভিঞ্চি না, কেউ না। ' শিল্পি বিহবলভাবে তাকিয়ে থাকে বুড়োর দিকে।
'তোমার পেমেন্ট নিয়ে ভেবোনা।
বিরক্তও হয়োনা। যন্ত্রনা থাক, তুমি, তুমি আমাকে একটা বেদনার ছবি একে দাও। ' শিল্পি নতুন ক্যানভাস খোলে।
'হলদে পাতার কিনারে লেগে থাকা বেদনা দেখেছ না? ওরকম। তবে সেটা একান্তই মানবিক।
মানবের ক্রমশ ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া বোধ আর সুন্দরের বেদনা আকো। একটা চিরহরিৎ ভাবনার পাশে একটা হলদে বন আকো। '
শিল্পি অন্য রঙে আচড় কাটে নতুন ক্যানভাসে। একটা সবুজের আচড়ের শেষ মাথায় একটু হলদে আভা। বৃদ্ধ চেচিয়ে উঠে,
'দাড়াও দাড়াও, ঠিক অমন না।
বেদনারা অমন হয়না। বেদনারা হাসের ছানার মত হয়? না না, বেদনারা শৈশবের স্কুলে যাবার পথে ভোরের কুয়াশার সাথে মায়ের খড়ির চুলার ধোয়ার মিশেল একটা রঙের মতো হয়। অনেকটা বোবা মানুষের ঠোটের রঙের মতো নি:শ্চুপ। তুলিটা অমন করে লাগাও, দেখবে বেদনা দাড়িয়ে গেছে সাই সাই করে ক্যানভাসের আগা মাথায়। '
শিল্পি প্রচন্ড দ্বিধায় তুলি ঘষা দেয়।
একটা ধোয়াটে আভা দেবার প্রচেষ্টা। একটা ঠোটের অবয়ব মিশে গেছে সে ধোয়ায়। এমন সময় বৃদ্ধ বলে,
'অমনটা না রে, অমনটা না। ধোয়াটায় মায়ের হাতের ঘ্রাণ আর কুয়াশার টপটপে শব্দ থাকবে। আর ধোয়াটা এমনভাবে বেকে যাবে যে দেখে মনে হবে সন্ধ্যেবেলার কোন নি:স্বঙ্গ নারিকেলের ডাল।
'
কথাগুলো মিলিয়ে যেতে থাকে ঝিম ধরা রোদের আগুনে। অনেক্ষণ ধরে যুদ্ধ চলে একটা বেদনা আকার। ক্যানভাস ভরে যায়। শিল্পির হাত থেকে তুলি খসে পড়ে। কপালের ঘাম মুচে নেয় সে।
বুড়ো বকে চলে,
'বেদনা তো দেখনি অমন করে, কি করে আকবে বল? দোষ তোমার নয়, দোষ সময়ের। সময় যাকে যা দেয়না সে তা চেনেনা। তোমার তেষ্টা পেয়েছে না? তেষ্টাটা তো আকতে পারবে। আচ্ছা, অতো জটিলতায় যাবার দরকার নেই, ঝটপট একটা তেষ্টা একে দিয়ে ঘরে ফিরে যাও। ' এমন সময় একটা আইসক্রিম বিক্রেতা যাচ্ছিল পাশ দিয়ে।
শিল্পি ডাক দেয় আইসক্রিমওলাকে,
'দুটো কুলফি দাও। ' বিলটাও মিটিয়ে দেয় নিজেই। বুড়ো কুলফি দুটো হাতে নিয়ে পাউরুটির কাগজের উপর রেখে বলে,
'আমরা তেষ্টার ছবিটা শেষ করার পর এই কুলফি খাবো। তেষ্টা মিটে গেলে তো আকাটা আর হবেনা। ' শিল্পি মুচকি হেসে তুলি ধরে বলে, 'ডিটেইল বলুন'।
'একটা হা করা মুখ। মানুষের কিংবা জানোয়ারের। না, বৃক্ষেরও হতে পারে। অথবা মাটির। একটা ইটের ভাটার চিমনি ঢুকে যাক বিশাল মুখে।
' শিল্পি আচড় কাটে একটা বাদামী দাগের। কিছু কালো ছোপ দেয় পাশে, যেন বিশাল গহব্বর। বুড়ো থামিয়ে দেয়,
'দাড়াও, দাড়াও। কিশোরীর চোখের মত একটা দিঘি, একগোছা ঝুটি করা চুল চুবিয়ে দাও সে দিঘিতে। একটা লাল মলাটের বই ছুড়ে মারো কালো গহব্বরে।
দিঘিটা খাইয়ে দিওনা মুখটাকে। কেবল ধরে রাখো সামনে। চিমনিটা থেকে কিছু বেগুনী বেলুন উড়ে আসুক না সাই সাই করে.....'
আইসক্রিম গলে পানি হয়ে যায়। বৃদ্ধ হাত বাড়িয়ে হেসে ফেলে গলন্ত আইসক্রিমের দিকে তাকিয়ে। শিল্পি ভাবলেশহীন চোখে তাকিয়ে বৃদ্ধের দিকে।
বৃদ্ধ খানেকটা অপরাধীর মত বলে,
'গলে গেলো। '
'এবার কি আকতে হবে বলুন। '
'অসব তেষ্টা, যন্ত্রণা, বেদনা তোমার দ্বারা হবেনা। কেউ পারেনা, জানো, কেউ পারেনা। এর থেকে একটা ভুল একে দাও।
দাও আমাকে দাও, আমি দেখিয়ে দেই। পাচ মিনিট লাগবে। তারপর চলে যাব। আর বিরক্ত করবোনা। সত্যি বলছি।
'
বলে তুলিটা নিয়ে কাপা কাপা হাতে কি সব এলোমেলো আচড় কাটে। শেষমেষ একটা খামচি দিয়ে ছিড়ে ফেলে কাগজটা।
'হবেনা, এভাবে হয়না। পারবেনা। তোমরা পারবেনা।
' পকেট থেকে কয়টা নোট বের করে দিয়ে বলে, 'যাও ঘরে যাও। ' শিল্পি মুচকি হেসে বলে, 'টাকাটা রাখুন। আমি এখনও অাপনার ছবিটা একে দিতে পারিনি। কাল খুব ভোরে ঠিক এখানটায় আসবেন। আপনার ছবিটা আপনি পেয়ে যাবেন।
' বুড়ো তাচ্ছিল্য করে বলে, 'বাদ দাও তো। ঐ ষাঢ়টাকে লাই দিওনা বুক পকেট ফুটো করবার। এটা জেদ, এটা মধ্যাহ্ণের তীব্র দহনের হাসফাস। যাও ঘরে যাও। '
শিল্পি ব্যাগ গোছাতে থাকে নিশ্চুপভাবে।
বুড়ো বকবক করেই চলে। গোছানো শেষে শিল্পি হাটা দেয় আর বলে যায়, 'কাল খুব ভোরে ঠিক এখানটায় দেখা হবে। ' বলে চলে যায় পেছন না ফিরেই। বুড়ো উল্টো পথে হাটা দেয়।
***************
রাতের ফাকা রাস্তায় উদ্ভ্রান্তের মতো হেটে চলে শিল্পি।
কানে বুড়োর চিত্রকলার বিবরণ ভাসতে থাকে। বুড়োর কন্ঠস্বর পিছু ছাড়েনা তাকে। একটা ল্যাম্পপোষ্টের নীচে একলা বসে বিড়বিড় করতে থাকে শিল্পি একাকী। কিছুক্ষনের মধ্যে একটা ছায়া এসে দাড়ায়।
'রঙ চা খান মামা, ট্যাকা লাগবো না।
বিড়িও খান যে কয়ডা লাগে। তয় একটা আব্দার আছিল ভাইগনার। যদি আমার একখান ফটো আইকা দিতেন.....'
শিল্পি ফিরে তাকায় চা'ওলার দিকে। নির্মল হাসিমাখা মুখটা টানে তাকে। একটা লাল চা এগিয়ে দেয় চা'অলা।
চায়ে ছোট্ট চুমুক দিয়ে তুলি ধরে সে। চা'অলা পোজ দেয় ফ্লাস্কে হাত রেখে।
আরো পরে।
ফাকা রাস্তা। শিল্পি একা হাটছে সিগারেটের ধোয়া গোল করে ছাড়তে ছাড়তে।
একটা পাগল ছুটে আসে শিল্পির দিকে। সামনে দাগিয়ে বিড়বিড় করে বলে, 'তুমি আমার, আমি তুমার, চিরদিন চিরদিন.....' বলেই দৌড়ে চলে যায়।
আরো পরে।
দূর থেকে কলকল নারীর হাসি।
কটকটে লিপস্টিক পরা গণিকারা কলকল কন্ঠে ডাকে, লাগাবি নি রে ছ্যারা? শিল্পি তাকাতে তাকাতে হেটে চলে যায়।
আরো পরে।
একটা রিক্সাওলা নিরব রাতে একটা উদাস করা গান গাইতে গাইতে ফাকা পথ ধরে সাই করে খালি রিক্সা নিয়ে চলে যায়।
আরো পরে।
একটা চিরবিদায় স্টোরের সামনের মৃদু আলোতে বিছিয়ে নেয় শিল্পি তার ক্যানভাস। দোকানি কাফনের কাপড়, গোলাপজল, আতর, লোবান সমেত কঠিন মুখে অপেক্ষা করে কোন মানুষের মৃত্যুর।
একটা মৃত্যু মানে একটা খদ্দের বৃদ্ধি পাওয়া।
শিল্পি দোকানের মৃদু আলোতেই একাগ্রে একে চলে কি সব।
আরো পরে।
ফজরের আজান ভেসে আসে। চিরবিদায় স্টোরের দোকানী আগরবাতি জ্বালিয়ে নামাজে দাড়ায়।
শিল্পি ব্যাগ গুছিয়ে হাটা দেয়।
*******
ভোরের আলোয় মুখোমুখি বুড়ো আর চিত্রকর। চিত্রকর একটা চিত্রকর্ম বাড়িয়ে দেয় বুড়োর দিকে। বুড়ো হাতে নিয়ে চোখ বুলায় ওতে। সেখানে অজস্র মানুষের মুখের ছবি।
যুবক, বৃদ্ধ, ছেলে, মেয়ে, সাদা, কালো, বেটে, দীঘল, ভাল, মন্দ। বৃদ্ধ একটা মুচকি হাসি হাসে।
********
একটা ব্যাস্ত রাস্তা। বুড়োর হাতে চিত্রকর্ম। অজস্র মানুষের ভীড়ে সে মিশে যেতে থাকে।
ক্ষণে ক্ষণে মানুষের মুখের দিকে বিস্ময় নিয়ে তাকায়।
যেন তার সব ছবি আজ একই পটে আকা হয়ে গেছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।