মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে তাদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার সময় পুলিশ লাঠিপেটা করে বলে ছাত্রদলের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন সালাম মিঠু অভিযোগ করেন।
এ সময় ছাত্রদলের এক কর্মীকে পুলিশ আটক করে বলেও জানান তিনি।
তবে ছাত্রলীগ নেতাদের দাবি, ছাত্রদলের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিপেটা করে। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ সম্পৃক্ত নয়।
মিঠু বলেন, পুলিশের লাঠিপেটায় তিনি নিজেসহ সংগঠনের আলাউদ্দিন মহসিন, মাইনুদ্দিন কাওসার, মো. আবদুল কাইয়ুম, মিজানুর রহমান চৌধুরী ও মাঈনুদ্দিন সুমন আহত হন।
আহতরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা নিয়েছে বলেও জানান তিনি।
সাইফুদ্দিন সালাম মিঠু বলেন, “বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের অনুমতি নিতে আমরা উপাচার্যের কার্যালয়ে যাই। ”
উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি না পেয়ে মিছিল করে ফিরছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, “বিবিএ অনুষদ ঘুরে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সামনে পৌঁছালে ছাত্রলীগের কয়েকজন মিছিলে হামলা চালায়। তারা আমাদের ব্যানারও কেড়ে নেয়। ”
“এ সময় পুলিশ আমাদের ওপর লাঠিপেটা করে সংগঠনের কর্মী আবিদুর রহমান আবিদকে ধরে নিয়ে যায়।
”
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিপেটা করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ লাঠিপেটা করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মামুনুল হক বলেন, ছাত্রদলের অন্তর্কোন্দলের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। সেটা ধামাচাপা দিতেই ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হচ্ছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।