জীবনধারার ছাপ চেতনাকে গড়ে, চেতনার ছাপ জীবনধারাকে নয়
অনেকদিন লিখি না। ফেসবুকে একটা লেখা দেখে আজ ভাবলাম ওটা অনুবাদ করে ছেড়ে দেই। চোখে কেন যেন জল চলে এলো।
হায়! আমরা কি কোন একটি দিন কিছু শিখতে পারবো না জাতিগতভাবে?
এবারের ভূমিকম্পে জাপান কী শেখালো বিশ্ববাসীকে?
১) শান্ত থাকা
বুক-চাপড়ানো বা তীব্র শোকের কোন প্রকাশই দেখা যায় নি। দুঃখও যেন উন্নীত হয়েছে ঊর্দ্ধলোকে।
২) আত্মসম্মানবোধ
জল বা বাজেমালের জন্যে শৃঙ্খলাময় সারি। একটাও কর্কশ শব্দ বা ক্রুদ্ধ ভঙ্গি নয়।
৩) যোগ্যতা
উদাহরণ, অনন্য সব স্থপতিরা। দালানগুলো কেঁপেছে, কিন্তু পড়ে যায় নি একটাও।
৪) দয়া
এই মুহূর্তে যা লাগবে, লোকেরা কিনেছে ঠিক সেটাই, যাতে সবাই কিছু না কিছু পায়।
৫) শৃঙ্খলা
দোকানে কোন লুটপাট হয় নি। রাস্তায় নেই হর্নের আওয়াজ বা ওভারটেকিং। শুধুই বোঝাপড়া।
৬) আত্মত্যাগ
পারমাণবিক চুল্লিতে সমুদ্রের জল সেঁচার জন্যে পঞ্চাশ জন কর্মী রয়ে গেলেন। তাঁদের প্রত্যুপকার কিভাবে সম্ভব?
৭) কোমলতা
রেস্টুরেন্টে কমেছে দাম।
অরক্ষিত একটা এটিএম পড়ে আছে একা। সবলেরা হাত বাড়িয়েছে দুর্বলের দিকে।
৮) প্রশিক্ষণ
বৃদ্ধ এবং শিশু, সবাই জানতো ঠিক কী করতে হবে। এবং, ঠিক সেটাই তারা করেছে।
৯) গণমাধ্যম
খণ্ডখবরগুলোয় অসাধারণ নিয়ন্ত্রণ।
কোন আজেবাজে সংবাদদাতা নয়। স্রেফ শান্ত সংবাদ।
১০) বিবেক
যখন কোন দোকানে বিদ্যুৎ চলে গেছে, লোকেরা হাতের জিনিসগুলো নামিয়ে রেখেছে তাকে আর দ্রুত করেছে স্থানত্যাগ।
জাপানের চাইতে অনেক কম বিপর্যয়েও আমরা কি পারতাম এমন সৌম্য এবং মানবিক গুণগুলো দেখাতে? পারতাম না।
আমরা সভ্য হবো কখন? এর জন্যে কি কোন জাতীয় সম্পদ প্রয়োজন হয়?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।