আমি এখন আছি তবে থাকবো কিনা জানি না। "কবি'র কবিতা সে তো পাঠকেরই ঋণ। "
যে নারী'র নাড়ী হয়ে
ঠাঁইপেলাম এ ধরায়,হাত ধরে নিশ্বাস নিলাম
আকাশ-প্রশস্থ কোলে,বুক ফাটা চিৎকারে,
সে আমার মা।
টান টান বুকে ডাকা 'মা'
'আঁচল বুলিয়ে দে মা'
উনুনের ধারে সদাজাগ্রত আনন্দময়ী।
শব্দডিঙ্গা ডুবন্ত, দেদীপ্যমান আদর সাগরে
শত কষ্টে ও আগলে রাখে প্রাণধন
আমার মা,
সুবিধা মাফিক কলমের কালিতে, যাকে রাঙানো যায় না,
আমার গত ,আজকে ও আগামী'র গতিতে,
আছে আমার মা ।
যে নারী'র বুকের মাটি খেয়ে
শক্ত হয়ে দাঁড়ালাম,শত শহীদের অমূল্য রক্তান্জলীসিক্ত আমার এ মন্দির বেদী
আমার দেশমাতৃকা..আমার সাধনাস্থান
আমার দু:খ সুখের চাক্ষুস আধার
ঘুর্ননশীল এ পৃথিবীর, ঐ অম্বরভেদী চিম্ময়ে
লাল-সবুজে আঁকা এক বিস্ময়।
যে নারী, আদরীনী,একচোখা, দু:খ বোঝানোর আশ্রয়
সামান্য আবদারে...উপহারে চোখের জল ঝড়ে
দুয়ারে দাঁড়িয়ে থাকা দু:খ কে ঠেলে, নিজের সুখ উজারি
পাগলি......সে আর কেউ নয়....সে আমার বোন।
যে নারী'র বুকের ভালোবাসা কাঙ্খিত,
যার আপোসরফা চোখে বিস্মিত সবসময়
যার প্রতিটা নিশ্বাস,শুভ উক্তি.অশুভ নাশে,
আমার সত্তায়,আমার চিন্তায়,চেতনায় আরোধ্য প্রতীমা,
আমার অর্ধাঙ্গিনী,আমার চাওয়া-পাওয়ার অংশীদারিত্বের এ জীবনে
সে এক, প্রতি প্রহর গুনে চলা গুননীয়ক,
আমার মুখস্থ কবিতার লাইন,
আমার হৃদপিন্ড রক্ষিনী,
যে আমায় শেখালো "ভালোবাসা , সে এক বিস্ময় !"
অবিছেদ্দ্য,অবিছেদ্দ্য হোক সে যতই ছেড়া শুকনা পাতা
জরাজীর্ণ কোন আবাস,মরুভূমি
নীলাম্বরী, নির্মোহ সভ্যতার চাদর গায়ে
বনছায়ে,আনন্দ-বেদনার বাতাস বয়ে
যে নির্বিকার,জটাধারী সন্ন্যাসীনী
আদি মাতা,জমিনের ভেজা সবুজ ঘাস,
আমার, 'আমি', তোমার 'তুমি'
যাতে মিলে মিশে একাকার.,
অবিছেদ্দ্য,অবিছেদ্দ্য.....এক অটুট বন্ধন,
এক সূত্রে গাঁথা......
সব কিছু নিয়ে , একাই এক....সে আমার প্রকৃতি,
আমার, আমাদের ,আগত অনাগতের পরম 'মা'।
উপযোগ: আজ নারী দিবসের শতবর্ষ, স্বাগত জানালাম এ বিশ্ব কে, সবাইকে, সব নারী মন্ডলীকে..প্রণম্য হে নারীকুল.......।
বি: দ্র: বানান ভুল আমার সহজাত, উত্তোরণের উপায় জানা নাই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।