আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাউন্ডুলে কবিরাজ

তোমাদের পাগল বন্ধু

দেখবো না তোর আষাঢ় ঘন হুতুম প্যাঁচার মুখ। সূর্যি বাবু আড়াল হলেও হাসিস এতটুক। হাসেন যারা বলেন তাঁরা - " হাসলে বলি শোন ভূতের মত মুখটি হলেও ভালই থাকে মন।" কৃষ্ঞপদী রাতের মত থাকিস যদি বৈ, হাস্যরসের গামলা ভরা বন্ধু পাবো কৈ? না হাসিলে হয় যে মনে ভেউ দেখানো তেজ, হাসলে তখন যায় যে দেখা বাদঁর রাজার লেজ! একটা ছড়া পইড়া আমার মাথায় তাহার বাজ? বাকি গুলা পড়লে তখন চুল ছিড়িতেন আজ! আপন মনে কাব্য লেখেন - থোরাই কারো কেয়ার, যদি বলি কাব্য পঁচা - মারতে ছোটেন চেয়ার! মাঝে মাঝে সাজেন তিনি পাড়ার দাদা ভাই পাড়ার সকল বোনের তাহার সিকিউরিটি চাই! দুই লেপেতে ঘুমান তিনি, বালিশ ওপর ঠ্যাং, সকাল বেলা উইঠা বলেন চাদর ছিঁড়া ক্যান? রহস্যটা বড়ই ঘোলা - আপন মনে ভাবেন, সূত্র খোঁজার প্রয়োজনে খাটের তলায় যাবেন। যে ছিঁড়েছে চাদর তাহার রক্ষে যে আর নাই, "হাড্ডি তাহার ভাইঙ্গা দেবো সামনে যদি পাই!" জামার হাতা গোটান তিনি ধরবে বলে তাকে, জামার হাতা গায়েব! "শালা কেঁটেছে কোন ফাঁকে?" অবাক হয়ে ভাবেন তিনি - "কত্ত বড় সাহস! আমার উপর পল্টি মারে- কোন সে রাবণ ঘোষ?" বুকের পাটা থাকলে পরে আয় বেরিয়ে বাছা ধন, এক বনেতে সিংহ আমি, নামটা আমার লিটিল জন!" হঠাৎ দেখেন খাটের তলায় লেজ দেখা যায় কার, "স্বর্প নাকি?" ঘাম ছুটিল, "নাইরে আমি আর!" লাফিয়ে ওঠেন টেবিল ওপর- গলা ছেড়ে হাঁক, "ঘাট মেনেছি শিবজী বাবু, তোমার ডরে আমি কাবু এবার না হয় ছাড়লি ঠাকুর, জানটা তবু থাক!" তাহার ডাকে পাড়া কাঁপে, বাঁচানোতে ছাড়, হঠাৎ দেখি এগিয়ে এলো হুলো বেড়াল তার। বেড়াল তাহার দৌড়ে গিয়ে ঢুকলো খাটের তল, অবাক কবি দেখেন চেয়ে ইঁদুর জাতির ঢল! ইঁদুর বাবার ন্যাজ দেখিয়া ভেবেছিলেন সাপ! হাফ ছাড়িয়া ফুটল মুখে "স্বস্তি" বাবুর ছাপ। ভাবেন বসে টেবিল পরে- কাব্য লিখে ইদুঁর জাতির করবো এমন সাইজ, কাব্য লেখায় বঙ্গ দেশে আনবো নোবেল প্রাইজ! এই হোলোগে কবি বাবু, কাব্য লেখাই কাজ, হোমিওপ্যাথি না চিনিলেও কহেন কবিরাজ! মজার মানুষ সন্দ নাহি, পথটা চলেন ভুলে, তাই তো আদর করে ডাকি "বন্ধু বাউন্ডুলে"!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।