বাঁধার দেয়াল ভেঙ্গে মোরা এগোবোই এক ছোট গ্রামের গল্প দিয়ে শুরু করা যাক। একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ গ্রামে যা যা থাকা দরকার গ্রামটিতে তার সবই আছে। তারপরও সেখানে ঝগড়া লেগেই থাকে। ছোট ছেলেটি পাশের বাসার পিচ্চির সাথে, তার বড় বোন ঝগড়া করে বান্ধবীর সাথে। চাচা জমি নিয়ে ঝগড়া করেন তার ছোট ভাইয়ের সাথে।
মোট কথা সবাই কোন না কোনভাবে ঝগড়ায় জড়িত।
ঝগড়া কোন ভাবেই থামানো যাচ্ছে না।
এই সমস্যা সমাধানের জন্য পাড়ার জ্ঞানীরা এক সাথে বসলেন। সেই সভাতে গ্রামের প্রভাবশালী দুই পরিবারের কর্তারাও অংশগ্রহন করলেন। সিদ্ধান্ত হল যে, ঝগড়া বন্ধ করার জন্য একটি কমিটি হবে।
সেই কমিটিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ ৩০ জন সদস্য থাকবেন। সব কিছু ঠিকভাবেই এগোচ্ছিল গোল বাঁধল সভাপতি পদ নিয়ে। প্রভাবশালী পরিবারের দুই কর্তা সভাপতি হতে ইচ্ছুক। প্রথমে তর্ক তারপর হাতাহাতি। সবশেষে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এক পরিবারের লোকজন অন্য পরিবারের উপর ঝাপিয়ে পড়ল।
৪০-৫০ জন আহত হল।
ঝগড়া বন্ধ করতে গিয়ে গ্রামটিতে সংঘতিত হল সবচেয়ে বড় সঙ্ঘাত এবং সেই সঙ্ঘাত বছরের পর বছর চলবে এটাই স্বাভাবিক।
আমাদের দেশটাকে কেউ যদি গল্পের গ্রামের সাথে তুলনা করেন আমি কিছু মনে করব না। আমাদের সরকার দুর্নীতিগ্রস্থ মন্ত্রীকে বাঁচাতে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর কপালে বারটা বাজান। আন্দোলন দমনের নামে নিরীহ বেসরকারি শিক্ষকদের উপর পুলিশ লেলিয়ে দেন।
বিষাক্ত পেপার স্প্রে ব্যবহার করে শিক্ষকদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে তামাশা করেন। নানা কেলেংকারিতে বিপর্যস্ত হয়েও নির্লজ্জের মত গলা ফাটিয়ে শব্দ দূষণ করেন। বিরোধী দল বিএনপি তো আরও একধাপ এগিয়ে। ১৭৫৭ সালের মীর জাফরের ভুত তাদের কাঁধে সওয়ার হয়েছে।
আরেকটি ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে বাংলাদেশে আনার জন্য মাননীয় বিরোধী দলীয় নেত্রী বেছে নিয়েছেন নামী পশ্চিমা সংবাদ মাধ্যমকে। ক্ষমতায় আসা নিয়ে কি নির্লজ্জ পদক্ষেপ!
কি লজ্জা! কি লজ্জা!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।