জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আচরণবিধি ভঙ্গের কারণে কোনো প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের নিজস্ব ক্ষমতাকে অর্থহীন বলেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিব উদ্দীন আহমেদ। প্রার্থিতা বাতিলসংক্রান্ত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ৯১ই ধারা বাতিলের পক্ষে সাফাই গেয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।
২০০৮ সালে এই ধারাটি আরপিওতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এর ফলে নির্বাচনের চিরাচরিত দৃশ্যপট বদলে যায়। কারণ, এই বিধির ফলে হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দেওয়া কমেছে।
সভা-সমাবেশ ও মাইকের ব্যবহার, তোরণ নির্মাণ, দেয়াললিখন, রঙিন পোস্টার ও বিলবোর্ড সাঁটানো বন্ধ হয়েছে। কমেছে নির্বাচনের দৃশ্যমান ব্যয়। ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের নাজেহাল, নির্বাচনী প্রচারণায় ধর্মের ব্যবহার, কালোটাকা ছড়ানো, যানবাহনের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার, চাঁদা, অনুদান গ্রহণ ইত্যাদি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফলে নির্বাচনী সংঘর্ষের মতো রক্তক্ষয়ী ঘটনাও কমে এসেছিল। কারণ, আরপিওর এই ধারা প্রয়োগ করে নির্বাচন কমিশন যেকোনো বেয়াড়া প্রার্থীকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দিতে পারত।
এই ধারাটি বাতিল হলে নির্বাচন কমিশন আর কারও প্রার্থিতা বাতিল করতে পারবে না। ফলে আচরণবিধি মানানোর ক্ষেত্রে কমিশন কার্যত কর্তৃত্ব হারাবে। ফলে নির্বাচনে চিরাচরিত বিশৃঙ্খলা আবার ফিরে আসার আশঙ্কা দেখা দেবে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।