আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রচলিত ছড়া

এটা আমার জন্য অনেক সুখকর যে, আমি এখন ব্লগ ও ফেইসবুক থেকে নিজেকে আসক্তিমুক্ত রাখতে পারছি। পরিবার ও পেশাগত জীবনের কর্মব্যস্ততা অনেক আনন্দের। ... ব্লগে মনোযোগ দিতে পারছি না; লিখবার ধৈর্য্য নেই, পড়তে বিরক্ত লাগে।

১. পিতৃভূম কে লিখেছে কে লিখেছে এই চিঠিটা কার? এমন সাহস কার হয়েছে লিখতে ‘ভিটা ছাড়?’ আমরা করি গেরস্থালি নিজের জমি চাষ নিজের ঘরে কামলা খাটি নিজের ক্রীতদাস বাপদাদাদের এই ভিটেতে চৌদ্দ পুরুষ খাঁটি সামনে দাঁড়াও, বৈরী তোমার বুকের উপর হাঁটি ৩০ অক্টোবর ২০০৯ রাত ১২:০৫ ২. থলের বেড়াল এবার আমার থলের বেড়াল বেরিয়ে গেলো বুঝি কোথায় গেলো, কোথায় গেলো কোণাকাঞ্চি খুঁজি কেউ জানালো, গাঁয়ের হাঁটে ঘুরছে সারাবেলা কেউ জানালো, উদোম মাঠে জমিয়েছে খুব খেলা নাচতে বেজায় শখ নাকি তার কিন্তু ব্যাপার হলো উঠোনটা যে বাঁকা ভীষণ নাচবে কোথায়, বলো! এমনি অনেক তামাশা সে দেখায় ভারি রোজ আমার সাধের থলের বেড়াল কোথায় করি খোঁজ! ২ নভেম্বর ২০০৯ রাত ৮:১৭ ৩. সফদার ডাক্তার হোসনে আরার একটা অতি প্রিয় ছড়া ‘সফদার ডাক্তার’, যা বাল্যকালে আমাদের পাঠ্যসূচিতে ছিল; খুব মজা পেতাম ছড়াটি পড়ে; এবার নিচের ছড়াটি পড়ুন আর স্মৃতির সাথে মিলিয়ে নিন সফদার ডাক্তার মাথা ভরা চুল তার খিদে পেলে ভাত খায় গিলিয়া ছিঁড়ে গেলে কী উপায় এই ভয়ে রাস্তায় হাঁটে জুতা বগলেতে তুলিয়া প্রিয় তার টকশো, মহিষের মাংস অটবির ছিমছাম খাটিয়া সাঁচা কথা কয় সে, কারণটা এই যে খায় নাকি ফ্রুটিকা সে চাটিয়া সফদার ডাক্তার ইয়া বোঁচা নাক তার শুলে শুধু দেখা যায় ভুঁড়ি খান কিপটে সে আদৌ নয়, এই তার সদা ভয়- ঘরে বুঝি এলো কোনো মেজবান ৩০ নভেম্বর ২০০৯ রাত ২:৫১ ৪. মনের বয়স বয়স কেবল বেড়েই চলে- মন বোঝে না ওসব ছুঁতো! মন মজে রয় রঙ্গরসে মন কখনো হয় কি বুড়ো? ৪ মার্চ ২০১০ রাত ১:৫১ ৫. সবচেয়ে স্বাদের বয়স আমার তিন কুড়ি তিন খাই সন্দেশ, মণ্ডামিঠাই বাউকুল আর মিষ্টি তেঁতুল এরচে’ স্বাদের আর কিছু নাই ৪ মার্চ ২০১০ রাত ১:৫৬ ৬. মেয়েকপালে ছেলে ছেলের কপাল মন্দ কপাল জোটে না তার মেয়ে এ দুঃখে তার দিন কাটে হায় খেয়ে, বা না খেয়ে সুন্দরীদের চুলের খোঁপায় দেয় বারে বার হানা একটা-দুটো জোটেও যদি খুঁড়ো, না হয় কানা ৪ মার্চ ২০১০ বিকাল ৫:৩০ ৭. রুমানা বৈশাখীকে কীরে, কেমন আছিস? আর যে খবর নিলি না? এমন স্বার্থপর কেউ হয়? বল্ তো কে আমি? পারলে বন্ধ হবে দুষ্টামি তোকে দেবো এক কেজি দই সেলামি। বল্ তাহলে : কে আমি? মার্চ ২০০৭ ৮. কুহকিনী একদা প্রেম ছিল তুফানে ও ঘরের শিকড়ে এখন সে কুহকিনী, জানি না কোথায়, কী করে অক্টোবর ২০০৮ ৯. বীনাবাঈয়ের টাসকি খাওয়া একটা তুড়িতে ধরা খায় টাসকি এবার বল্ না, আর তুই চাস কী! কম কি দেখেছিস ঘুঘুর ফাঁদটাঁদ ওসবে থুথুয় গুরুর যমচাঁদ ভালো রে বীনাবাঈ ভালো তো সব্বাই আড়ালে আবডালে কে দেখে খাই খাই! ঘাড় তো মটকেছি, বেদনা পাস কি? একটা তুড়িতে খাবি তুই টাসকি টাসকি টাসকি টাসকি টাসকি! ৯ নভেম্বর ২০০৮ ১০. একজন খাদকের কথা দেখুন তার কী করুণ হাসি খায় সে নিত্য পোলাও খাসি হঠাৎ যদিবা খিদে চলে আসে সেই তরাসে ঘুমায় না সে! ৩০ জানুয়ারি ২০০৯ ১১. ব্যাক-আপ এখন ব্যাক-আপ কম্পুতে রাখি আর এখনও স্ত্রীর হাতেই খাইদাই উদয়াস্ত কাজে ব্যস্ত থাকি হাঁটতে হাঁটতে একটু ঘুমাই।

৫ মার্চ ২০০৯ ১২. অপ্সরার পুতুল হাত খসে দাঁড়ালো পুতুল; চোখ হলো, ভুরু হলো, হলো তার একগোছা চুল। আহারে কাঠের চামচ, ফুটন্ত সালুন-জলে পুড়িবে না আর; কী দারুণ মানিয়েছে একসারি অপ্সরা ও পরীর মাঝার। ১৬ মার্চ ২০০৯ ১৩. আসুন, একটা গান গাই আসুন একটা গান গাই আমার গরুর দুঃখ নাই তাই আকাশে পা তুলে লাফাই আসুন একটা গান গাই হাতি ইঁদুরের গর্ত খোঁজে তেলাপোকার লাথির ভয়ে বাঘ ও সিংহ ছুটে পালায় খেকশেয়ালের চড় খেয়ে কী যমানা দেখছি রে ভাই আসুন একটা গান গাই লাগাম ছেড়ে কথা বলে আগাম গালি খাচ্ছে লোকে মায়াকান্নায় চোখ শুকিয়ে এখন পানি নাই যে চোখে কী যমানা দেখছি রে ভাই আসুন একটা গান গাই এখন অনেক রাত হয়েছে চলুন তবে বাত্তি নিভাই সে কাজ আমি করবো এখন আপনারা যা করেন সবাই যেমন মানুষ তেমন ভাবে এই দুনিয়ার নিয়ম এটাই আসুন একটা গান গাই ১১ মে ২০০৯ ১৪. পরকীয়া নারী আরেক জনরে সুখের জীবন দিতে আমারে সে গেলো গো কান্দাইয়া আমার ডাগর ডাগর চক্ষু দুইটা ঘোলা হইল তার পন্থে চাইয়া ৬ আগস্ট ২০০৯ ১৫. আজ কোনো কবিতা হয় নি। অপ্সরার বেবি-এ্যালবাম দেখে, এবং তাতে সবশেষের লাইনগুলো পড়ে যা লিখেছিলাম সবই ভালো ছিল, খুব সাধারণ অথচ গভীর-অনন্য শুধু শেষের কয়েকটা পঙক্তির জন্য একফোঁটা বেদনা গেঁথে গেলো বক্ষ-কন্দরে এ দুঃখ-দুঃখ সুর কী করে সহিব, বলো নীল পাখি, একবার দেখে যাও- সঙ্গোপনে- কেমনে পুড়ে যায় ক্রন্দসী আঁখি। ২৯ আগস্ট ২০০৯ ১৬. দ্বিপদিনী কোন্ বয়েতি শেখালি তুই মেয়ে প্রেমের ঘাটে ঘোলের পানি খেয়ে? ১৩ অক্টোবর ২০০৯ দুপুর ২:১৯ ১৭. গোপনচারিণী আমার বাড়ি অবশেষে এলেন সদাশয়া! মেঘ না চেয়েই বৃষ্টি পেলাম এ আপনার দয়া।

জলের দেশে পরীর দেশে পদ্মলোচন হাসে গোপনে তার পায়ের চিহ্ন আমার চোখে ভাসে। ৪ মার্চ ২০১০ সন্ধ্যা ৬:১৬ ১৮. আমার খাবারদাবার, কাজকর্ম, ইত্যাদি, এবং বউছেলেমেয়ের কথা গাজরশশা খাই না, তবে ঘোড়ার মতো বুটচানা খাই বউ তেঁতুলের চাটনি দিলে বউয়ের কথাও যাই ভুলে ভাই সব্জি হলো ঘাসের মতোন ওসব বাপু গরুর খাবার বউ রাঁধিলে উচ্ছে ভাজি আমি একাই করি সাবাড় শরীর আমার শুকনো কাঠি জলপানে বিষ- এ ভাব দেখাই রুটিনমাফিক তিনবেলা তাই বউয়ের হাতের কানমলা খাই এখন যদি স্মরণ করান গোসল করার কেচ্ছা বলে ডুবসাঁতারে তলিয়ে যাবো আষাঢ় মাসের খালের জলে রোগবালাইয়ের কী আর বলি নীরোগ থাকাই বড্ড অসুখ তাই আপনার সোনার মুখে ফুলচন্দন পড়ুক পড়ুক এবং ধরুন হলিউডের চোখধাঁধানো রংবাহারি নয় আমাদের। ওসব কেবল অপ্সরীদের মানায় ভারি ভুলেও তুমি ভুল করো না আমায় কিছু বুদ্ধি দিতে সুযোগ মতো ডিম ফুটাবো তোমার পরামর্শটিতে সবশেষে ভাই একটি কথা করছি স্বীকার অকপটে আপনি খাসা লেখেন ছড়া মালুম হলো আজকে বটে ৪ মার্চ ২০১০ রাত ৮:০৫ ১৯. চিরসত্য আজকে তুমি জোয়ান আছো কাল কী হবে, জানো? বড়াই রেখে অবিনশ্বর সত্যটাকে মানো ৪ মার্চ ২০১০ রাত ৮:২০ ২০. ছন্দ-অছন্দ হায় হায় হায় হচ্ছে টা কী? ভাবছো আমায় কবি নাকি? কেমন করে স্রোতের মতো ছাড়ছো ছড়া অবিরত? এবার তুমি থামো নিচের তলায় যাবো এখন ডাকছে আমার বউ হাসছো কেন, বেবি? ছন্দে বেজায় অমিল পেয়ে? নাকি অন্য কিছু? এই দেখো না ছন্দ তোমার মিল-অমিলের লাউ আমি গেলাম নিচের তলায় তুমি কচু খাও ৪ মার্চ ২০১০ রাত ৯:৩৯ ২১. ফারিহানের কাণ্ডকীর্তি নিচের তলায় যেয়ে দেখি- ফারিহানের কাণ্ড এ কী! গোঁ ধরেছে মায়ের কাছে ফ্রিজের ভেতর যা যা আছে- চকবার জ্যুস পেপসি ফ্রুটো কোন-আইসক্রিম একটা-দুটো সবকিছু তার চাই- সবই আছে, কিন্তু আহা কোন্-আইসক্রিম নাই! ছোট্ট লাবিব পাগলা, জেদি নেয় না কিছুই মেনে- বলে, আমার কোন্-আইসক্রিম এক্ষুণি দাও এনে। হাটবাজারের দোকানবিতান আটটাতে যায় বন্ধ হয়ে কোথায় যে পাই কোন্-আইসক্রিম রাত বারোটার পর সময়ে। গাড়ি ডাকো, পোশাক পরো জলদি করো জলদি করো অমনি লাবিব লাফিয়ে ওঠে মুখে হাসির ঝিলিক ফোটে তারপরে কী হলো- হাটের সকল কোন্-আইসক্রিম ফুরিয়ে গেছে বেশ কিছুদিন অবশেষে কী আর করা, বলো- বাজার থেকে ফারিহানের বউটি কেনা হলো।

৪ মার্চ ২০১০ রাত ১১:৩৫ ২২. মজার খেলা তিন পাগলের জমছে মেলা খেলছে ওরা দারুণ খেলা সেই খেলাটি খেলতে গেলে ধপাস ধপাস ল্যাংটি খেলে নারীর মাথায় টাক হবে আর পুরুষ পাবে নারীর বাহার তখন কী যে হবে! দারুণ মজার মানুষগুলো হাসির কথায় উঠবে কেঁদে দুঃখ পেলে নাচবে সবে আনন্দ-উৎসবে। ৪ মার্চ ২০১০ রাত ১১:৪৯ ২৩. ভুল বোঝাবুঝি কোথাও একটু ভুল হয়ে গেছে তাই আমাদের ভুল বুঝেছেন ঝগড়াঝাটির কোনো কথা নয় কেবল কিছুটা ভাববিনিময় ছড়ায় ছড়ায় মনের কথাটি করিতেছি লেনদেন। সদাশয় মহাশয়- এবার আপনি নিশ্চয়ই বুঝেছেন। ৫ মার্চ ২০১০ সকাল ১০:০২ ২৪. ফারিহানের বিয়ে ঠিক ধরেছো ঠিক ধরেছো বাবুর ছিল খিদে পেটের খিদে সারে নাকো সুন্দরী বউ দিয়ে। আমরা কি আর অতো বুঝি সরল সাদাসিধে- পেটের জ্বালা না মিটিয়ে দিয়েছিলাম বিয়ে।

৫ মার্চ ২০১০ সকাল ১০:১২ ২৫. রাগ ইমন ছড়া লিখেছিলেন, প্রত্যুত্তুরে আপনার সাথে দেখি পুরোপুরি মিলে যায় ছড়া লিখিবার খেলা অদ্ভুত মজাদার নাওয়া-খাওয়া ভুলে গিয়ে এ খেলাটি খেলা যায় শুধু ভয়- বউ যদি তেড়ে আসে পেটাবার। ৫ মার্চ ২০১০ সকাল ১০:৩৪ ২৬ একজন সাহসী পুরুষের গল্প বউশাসিত পুরুষসমাজ বউয়ের ভয়ে ত্রস্ত বউয়ের ঠেলা সামাল দিতে সাহস লাগে মস্ত আমার বড় বুকের পাটা, সাহস দেখাই কম কম উল্টো বউয়ের মুগুর খেয়ে বন্ধ যদি হয় দম তোমরা এমন ভুল করো না লড়তে বউয়ের সঙ্গে এমন মধুর শিক্ষা পাবে, বুঝবে অঙ্গে অঙ্গে ৫ মার্চ ২০১০ রাত ১১:২৮ ২৭ এই যে ভীষণ ধাঁধায় দিলেন ফেলে- আপনি এবং আমি কি নই অভিন্ন এক ছেলে? তাইতো দেখি আপনি-আমি যাই লিখি না কেন- সব মিলে যায়- কথাগুলো একজনেরই যেন। ৫ মার্চ ২০১০ সকাল ১০:৫২ ২৮ সে আমারে প্রেম দেয় অবিরল স্রোতে আমি তারে বেঁধে রাখি সংবিধান মতে। ৫ মার্চ ২০১০ সকাল ১১:২৫ ২৯. ভাগ্যরেখা কুঁড়ের রাজা স্বপ্ন দেখে দেশের রাজা হবে- রাজত্ব কি গাছে ধরে? কে দেখেছে, কবে? একটা কিছু গেলেই হলো পেটের ভেতর দানা আমি কি হে অজর জীবন পাবো? - না না না না যে কটা দিন বাঁচতে পারি বাঁচার জন্য খেয়ে যেটুকু কাজ করতে পারি তাই ভালো সবচেয়ে পেটের দানা ফলবে হাতে, বীজ বুনেছো তাতে? হাতের ’পরে ভাগ্যরেখা নাও গড়ে নিজ হাতে ১৭ মার্চ ২০১০ সন্ধ্যা ৬:০৮ ৩০. মজার খাদক এমন খাদক কোথাও খুঁজে পাবেন নাকো আপা পোলাওকোর্মা খান না তিনি, প্রিয় তার দই-মাঠা তিনি খান ভালো খেজুর গুঁড়ের পাটিসাপটা ও ভাঁপা নাসিকা ডুবিয়ে তিনবেলা খান আঁটার রুটি ও পাঠা এতো এতো খেয়ে পরাণ ভরে না, আরও কিছু খেতে চান কোথা পাবো ছাই, সাবাড় হয়েছে দুনিয়ার মেনু সবই সাধ হয় যদি দেখিতে তাহারে, আমারে একটু জানান এমএমএস করে পাঠিয়ে দেবো পাসপোর্ট সাইজ ছবি ১৭ মার্চ ২০১০ ভোর ৬:২৯ ৩১. ধূরন্ধর মেয়েপুরুষ আচ্ছা আপু, দুষ্টু লোকে তোমায় কেন ‘বোন’ ভাবে? এমন আজব সম্বোধনের বিচার হবে কোন্ ভাবে? আমরা পুরুষ নারীর কাছেই টইটুম্বুর রস খুঁজি তোমার তেমন ইচ্ছে ভারি, ধরছো নারীর রূপ বুঝি! রাগ করো না, রাগ করো না, লক্ষ্মীমণি ভাই, কী বোন আমরা এমন অনেকেই ধূরন্ধর ও অসজ্জন। ১৭ মার্চ ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪০ ৩২. তোমার ইচ্ছে আমার এখন ইচ্ছে করে নদীর ধারে বসতে তোমার দেয়া কঠিনতম অঙ্কগুলো কষতে।

আমার আরও ইচ্ছে করে নদীর ঢেউয়ে নাবতে কাঁথার তলে পিদিম জ্বেলে তোমার কথা ভাবতে। এমন কতো ইচ্ছে আমার নদীর জলে ভাসছে তাতে তোমার কত্তোটুকু যাচ্ছে, কিম্ব আসছে! ১৭ মার্চ ২০১০ রাত ৮:০০ ৩৩. মেয়েদের এককলা কেমনতরো বললে কথা জমবে বুকের অস্থিরতা এসব তোমার জানা আমার কেবল ইচ্ছে করে তোমার কোমল নাকটি ধরে আদর করে দুইগালেতে চড় মারি দুই খানা হাসছো যে খুব বড়! উলটো না হয় তুমিই আমায় মারো এমনতরো! নারীর হাতের নরম চড়ে জানো তুমি, কী আছে সুখ? জানবে তুমি কেমন করে তুমি তো আর নও হে পুরুষ! ১৭ মার্চ ২০১০ রাত ১০:০৭ ৩৪. ঘুর্ণন মাথার উপর লাটিম ঘোরে মাটির উপর পা মনের ভেতর ঘুরছে সেজন যাকে পেলাম না ২০ মার্চ ২০১০ বিকাল ৫:৪৯ ৩৫. প্রেমিকচরিত্র আপনি মানুষ দারুণ ভালো ‘না’ বলেন না কাউকে মূল প্রেমিকা রিজার্ভ রেখে খেয়ে বেড়ান ফাউকে ২৩ মার্চ ২০১০ সকাল ১১:২০ ৩৬. মন খারাপের ঘরে মন খারাপের ঘরে ছিল মনপবনের বাস একটি শণের কুটির ছিল মরা নদীর ধারে একটি হরিণ বনের ভিতর কাঁদতো বারো মাস একটি কথাই আমার শুধু বলার ছিল তারে তোমরা বোঝো দুঃখবিলাস শুকনো মাঠের খড় আমার ভিতর গুমরে ওঠে চৈত্রদিনের ঝড় ২৫ মার্চ ২০১০ রাত ১২:৪৪ ৩৭. ছড়ার মিল-অমিল খাওয়ার মাঝে নাওয়ার মাঝে হাওয়ার মাঝে গাওয়ার মাঝে সবকিছু্তে সবখানেতে মিল-অমিলের ছন্দ থাকে এই কথা কেউ বলতে গেলেই সবাই তাকে মন্দ ডাকে। ৩১ মার্চ ২০১০ রাত ১০:২৪ ৩৮. আজগুবি ছড়া গুঁড়ে চিনি দুধে দধি ঘোলে মাখন মেখে একটুখানি দেখুন চেখে কী ভয়ানক স্বাদ ঘোড়ার উপর বসুন চেপে কিংবা হাতির পিঠে এরপরে দিন পদ্মা পাড়ি ডিঙিতে পাল তুলে শীতের রাতে গোসল করুন পুকুরজলে নেমে উদোম গায়ে শুয়ে ঘরে দিন এসিটা ছেড়ে বালু দিয়ে ঘর বানালে পাবেন বালির ঘর কলাগাছের তক্তা দিয়ে খাট বানাবেন তবে বইপুস্তক পড়তে গেলে চাপ বেড়ে যায় ব্রেনে এরচে ভালো বইগুলো সব খান গুলিয়ে জলে আপনি কি ভাই শিল্পী মানুষ? কেমন গানের হাত? নাচের আগে গলাখানি নেবেন যেন সেধে ঘুম না এলে কী কাজ করেন? দেখুন টেরাই করে সিনেমাতে ঢুকলে কেমন ঘুম আসে নাক ডেকে এসব যদি করতে পারেন, বলবে গাঁয়ের লোকে এমনতরো বীর বাহাদুর কেউ দেখে নি আগে না পারিলে কী আর করা, একটি মুগুর তুলে মনের সুখে, কিংবা দুখে করুন মাথা গুঁড়ো ৫ এপ্রিল ২০১০ রাত ১০:৪৯ ৩৯. ম্যাডাম সুরঞ্জনা মুগ্ধ হলাম দারুণ মজার এই ছড়াটি পড়ে ভালোই হলো, ছড়ার লেখক পেলাম আরেক জনা ছড়ার খেলা চলছে হেথায় বেশ কিছুদিন ধরে আপনাকে খুব মিস করেছি ম্যাডাম সুরঞ্জনা! ৫ এপ্রিল ২০১০ রাত ১১:১২ ৪০ কবে তোমায় দেখেছিলাম মুখটি গেছি ভুলে বুকের ভেতর নামটি তবু রেখেছিলাম তুলে আবার যদি দেখা মেলে আমার সবুজ গাঁয় সবুজ শাড়ি পরো তুমি আলতা দিও পায় দিঘির পাড়ে এসো সখি ইচ্ছে যদি জাগে সেই কথাটি বলবো তবে বলি নি যা আগে ২৭ এপ্রিল ২০১০ রাত ১২:৩৯ ৪১. পদের বচন তোমার আমার সবার আছে পদের বাহাদুরি পদের উপর চাপ বেড়ে যায় বাড়লে পেটের ভুঁড়ি অসাবধানে পথ চলে কেউ পদে হোঁচট খেলে ব্যথায় কাতর হয় কি কভু অন্য বাড়ির ছেলে? আমার পদে জোর কমেছে, চলার শক্তি নাই গাধার পদে বল বেড়েছে, লাফাচ্ছে সে তাই পদের কাব্য পড়ে বুঝি পদের হচ্ছে লোভ পদ হারিয়ে কালুর ব্যাটা ঝাড়ছে মনের ক্ষোভ আমরা যদিও পদের মালিক, কিন্তু জেনো ভাই ন্যাংড়া-খুঁড়োর ভাঙ্গা পদের এক কড়ি দাম নাই একটা খুশির খবর আছে, জানতে পেলাম সবে আমার নাকি পদের ওজন একটু ভারী হবে। মেপে দেখি পদের ওজন তিরিশ কেজি মোটে মধ্যখানে যায় চেগিয়ে দেহের ভারের চোটে ২২ মার্চ ২০১০ রাত ১২:১৫ ৪২ আয় ছেলেরা আয় মেয়েরা আমার ঘরে আয় খেজুর রসের খির রেঁধেছে সোনামণি মায় আরও আছে পাটিসাপটা ভিজনে পিঠে, খই নারিকেলের মোয়া আছে গোয়ালাদের দই মা যে আমার বসে আছে পিঠেপাকলা বেড়ে আয়রে আমার বন্ধু সুজন সব ভুলে, সব ছেড়ে ২৭ এপ্রিল ২০১০ রাত ১:০৭ ৪৩ আমার আছে হাসনাহেনার গন্ধমাতাল রাতি সঙ্গী হলে দেবো তোমায় নিটোল মাতামাতি ২৮ এপ্রিল ২০১০ রাত ১০:৫৭ ৪৪ মেঘ বলেছে যাবো যাবো মাথলা মাথায় ধান শুকাবো বোশেখ মাসে এসো, তোমায় মেঘ নামানোর গান শুনাবো ১ মে ২০১০ রাত ১:৫০ ৪৫ দাদুর ছড়ি লম্বা ছড়ি আমার ছড়ি বাট্টু তোমার ছড়ি ভাঙা ছড়ি মাঝখানেতে গিট্টু ১ মে ২০১০ রাত ১:৫৫ ৪৬ সেই মেয়েটির খোঁপার ভাঁজে জীবন নামে রোজ পর জীবনে একটুখানি আমার নিও খোঁজ ১ মে ২০১০ রাত ২:০৭ ৪৭ মা কি জানেন, তাঁর ছেলেটা এমনি করে করে একদিন এক পরীর ফাঁদে গেছে ধরা পড়ে? ১ মে ২০১০ রাত ২:১৮ ৪৮ পঙ্খিরাজের পাখায় করে ভর একদিন এক যাবো পরীর দেশে চাও কি হতে আমার সহচর মেঘের দেশে যেতে ভেসে ভেসে? ১ মে ২০১০ রাত ২:২৯ ৪৯ কেমন তুমি ছড়ার রাজা খাও কলা আর ছোলাভাজা আমার প্রিয় রয়না মাছ ভরদুপুরের কদম গাছ ১ মে ২০১০ রাত ১২:৪৪ ৫০ বাঙালি মেয়েরা লেখাপড়া করে একটা চলনসই স্বামী পাবে বলে অনেক আগে এই কথাটা বাসি হয়ে গেছে এখন তারা শিক্ষা নিয়ে পুরুষের সমান তালে চলে। ৬ মে ২০১০ সকাল ৮:০১ ৫১ একদা এক জঙ্গলের ধারে এক কানাবগী গাধাকে থাপ্পড় মারে ফৌজদারি আদালতে মামলা হলে রায় হয় কানাবগী ফাঁস নেবে গলে তারপর কেটে গেছে বহু বহু দিন এই কাহিনীরও আর নেই কোনো চিন ২২ জুন ২০১০ বিকাল ৫:২২ ৫২ সবাই দেখি ছড়া লিখে ব্লগ ফেলেছে ভরে আমার ছড়া ডিম পেড়েছে পূবের পাকঘরে পাকের ঘরে কেটা? মোল্লা বাড়ির বেটা? ঘরে তোমার নতুন বউ পানতি তার নাম তোমার বউয়ের নানীর দেশে আমার নানার গ্রাম ২৮ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:০২ পানতি (পানোতি)> যে পান খায়; এটা একটা আঞ্চলিক শব্দ পানতি (পান্‌তি)> পানবিক্রেতা



এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।