লিবিয়ায় সোমবার রাতে যৌথ বাহিনীর তৃতীয় দফা হামলায় বহু সংখ্যক বেসামরিক মানুষ হতাহত হয়েছে। এ দাবি করেছে লিবিয়া সরকার। এদিকে লিবিয়ায় হামলা চালানোর সময় একটি মার্কিন যুদ্ধ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে।
Click This Link
মার্কিন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঐ বিমানের দুই বৈমানিককে উদ্ধার করা হয়েছে। যুক্তরাজ্যের ডেইলি টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার রাতে লিবিয়ায় একটি মার্কিন এফ-১৫ই যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র কেন্নেথ ফিডলার বিবিসিকে বলেন, শত্রুপক্ষের গোলার আঘাতে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে-এমন কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।
মার্কিন সেনাবাহিনীর আফ্রিকা কমান্ডের মুখপাত্র ভিন্সি ক্রাউলি রয়টার্সকে বলেন, বিমানটি শত্রুপক্ষের গোলার আঘাতে নয়, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিধ্বস্ত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিবিসির ত্রিপোলি প্রতিনিধি অ্যালান লিটল বলেন, সোমবার রাতেও বিমান বিধ্বংসী গোলায় জ্বলে ওঠে ত্রিপোলির আকাশ।
রাতেও রাজধানী ত্রিপোলিতে কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফির বাব আল-আজিজিয়া কম্পাউন্ডের কাছে বিস্ফোরণ ও বিমান বিধ্বংসী গোলার শব্দ শোনা গেছে। আগের রাতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ওই কম্পাউন্ডের একটি ভবন বিধ্বস্ত হয়।
লিবিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলা হয়েছে, রাজধানী শত্রুদের বোমা হামলার শিকার হয়েছে এবং বেশ কয়েকটি স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
“এসব হামলাকে লিবিয়ার জনগণ ভয় পাচ্ছে না”, বলা হয় ওই প্রতিবেদনে।
লিবিয়া সরকারের মুখপাত্র মুসা ইব্রাহিম এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন,
সোমবারের বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বহু সংখ্যক সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছে, বিশেষ করে সির্তের বেসামরিক বিমান বন্দরে হামলায় এসব মানুষ হতাহত হয়। বিদ্রোহীদের হটিয়ে সরকার মিসরাতা শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
এদিকে গাদ্দাফিকে লক্ষ্য করে রোববার রাতে তার কম্পাউন্ডে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করা হয়নি বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স।
যুক্তরাজ্যের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান স্যার ডেভিড রিচার্ডস সোমবার বলেছেন, গাদ্দাফি ‘সত্যিকার অর্থে’ হামলার লক্ষ্য ছিলেন না। ”
যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস অ্যাডমিরাল বিল গোর্টনি বলেন, “এ বিষয়টিতে আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, তিনি আমাদের হামলার লক্ষ্যের তালিকায় নেই। তবে হামলা চালানোর সময় তিনি যদি কোনো বিমান প্রতিরক্ষা স্থাপনা পরিদর্শন করেন তাহলে সেখানে তার অবস্থান সম্পর্কে আমরা নাও জানতে পারি। তবে এখন আমরা তার বাসভবনে হামলা করছি না। ”
অপর এক খবরে বলা হয়, লিবিয়া হামলায় ফ্রান্স, ব্রিটেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরও কয়েকটি দেশ যোগ দিয়েছে।
মূলত দেশটিতে নো ফ্লাই জোন আরোপে আন্তর্জাতিক প্রচারণা আরও জোরদার করতে দেশগুলো অংশ নেয় বলে জানা যায়। তবে তাদের ভিন্ন উদ্দেশ্য আছে বলে বিশ্লেষকরা মত প্রকাশ করেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।