জন্মের পর থেকেই প্রত্রিকা খুললেই দেখছি যৌতুকের কারনে নারী হত্যা। সরকার যায় সরকার আসে, কিন্তু কোন সরকারই এই ব্যাপারে আন্তরিক বলে মনে হয় না। ইদানীং যৌতুকের কারনে নারী হত্যা যেন মহামারীতে রুপ নিয়েছে।
বিবাহ একটি সভ্য পক্রিয়া। পৃথিবী সভ্য হতে শুরু করেছিল এই সামাজিক বিবাহ প্রথার প্রচলনের ম্যধোমে।
বিবাহের মাধ্যেমে একটি নারী তার পরিচিত শৈশব কৈশ্যর এবং তার পরিবার সমাজ সংসার ছেড়ে আসতে হয়। অনেক বেশি ত্যাগ তাকে স্বিকার করতে হয়। নতুন পরিবেশে নারীরা স্বভাবতই ভিষন অসহয় বোধ করে। সে চায় নির্ভরতা। সে চায় ভালোবাসা।
নানা কারনে দাম্পত্য জীবনে কলহ আসতে পারে। তার সমাধান ও হয়। তবে কিছু পুরুষ আছে যাদের কনফিডেন্ট নেই। যারা পরিশ্রম করতে চায় না। তারা সর্টর্কাট পথে বড়লোক হতে চায়।
এরাই সাধারনত শশুর বাড়ীর দিক ললুপ দৃষ্টি দেয়। নিলর্জ এইসব পুরূষরা যৌতুক চায়। নানা ভাবে তারা ¯ী¿র উপর অত্যাচার করতে শুরু করে। ভালোবাসাহীন এক অদ্ভুদ দাম্পত্য সম্পর্ক তখন ঐ পরিবারে সৃষ্টি হয়।
লোভী বিবেকহীন ঐসব পুরুষদের ধারাবাহীক অত্যচারের কারনে কেউ কেউ নিরুপায় হয়ে আত্রহত্যা করে।
কাউকে বা স্বামী নামধারী ঐসব পশুদের হাতে প্রান দিতে হয়।
তাই বাবা-মা সহ অভিবাবকদের উচিত মেয়ে বিয়ে দেবার পূর্বে পাত্রের আয় রোজগার স্বভাব চরিত্র এবং পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড সম্পর্কে ভালোকরে খোজ নেয়া। তাড়াহুরা পরিহার করে যথেষ্ট খোজ খবর নিয়ে তারপর বিয়ে দেওয়া। যত ভালো আর উচ্চ বংশেরই হোক না কেন যারা যৌতুক বা উপটৈাকন চায় তাদের শুরুতেই পরিহার করা উচিত। অর্থ লেনদেন ব্যবসা বানিজ্যে মানায় বিবাহের মত পবিত্র সম্পর্কতে নয়।
মনে রাখা উচিত ভালো পুরুষরা কখনো অন্যর সম্পতীর দিকে তাকায়না।
সমাজে এখনও অনেক ব্যাকডেটেড চিন্তা ভাবনা রয়ে গেছে যেমন এখনো অনেক বাবাÑমায়েরাই কন্যা সন্তান জন্ম নেবার পরই ভাবতে শুরু করেন যে এর বিয়েতে অনেক টাকা খরচ হবে। তাই কন্যা সন্তান জন্ম নেবার পর থেকেই অমূলক একটা বোঝা তাদের কাধে চাপিয়ে দেওয়া হয়। টাকা সঞ্চয় করতে শুরু করেন। সবারী উচিৎ এইসব ফালতু চিন্তা ভাবনা পরিহার করে কন্যা সন্তানকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে নিজের পায়ে যাতে দাড়াতে পারে সেই ব্যবস্থা করা।
স্বর্নিভর নারীকে কারো দয়ায় চলতে হবেনা। তাই যৌতুক দেবার চিন্তা বাদ দিয়ে ঐ টাকায় আপনার কন্যা সন্তানকে স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলুন।
গায়ে পেশি শক্তি বেশি বলে যুগযুগ ধরে অসহয় নারীর উপর ঝাপিয়ে পড়ার প্রবনতাকে রুখতে হলে দরকার আইনের সঠিক প্রয়োগ। ভাবতে কষ্ট হয় যে দেশের প্রধানমন্ত্রি একজন নারী, স্বরাষ্টমন্তি ও পররাষ্টমন্ত্রি একজন নারী তারপরও নারীদের যদি এভাবে গনহারে দিনের পর দিন প্রান দিয়ে যেতে হয় এরচেয়ে দুঃখজনক আর আছেকি? আশা করছি সরকার আরো কঠোর হবে। সমাজ থেকে এই ক্যানসারে রুপ নেওয়া ব্যাধি মুক্ত করবেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।