বুধবার ম্যানিংয়ের অপরাধের দণ্ড ঘোষণার কথা রয়েছে।
তবে সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগ থেকে তিনি মুক্তি পেয়েছেন। ম্যানিং রাষ্ট্রের শত্রুকে সাহায্য করেননি বলে অভিযোগের শুনানিতে জানিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের একটি সেনাআদালতের বিচারক কর্নেল ডেনিস লিন্ড ম্যানিংকে ওই অভিযোগে নির্দোষ বলে ঘোষণা করেন।
পাঁচ মিনিটের এই শুনানির সময় সামরিক পোশাক পরে আদালতে উপস্থিত ম্যানিং খুব বেশি প্রতিক্রিয়া দেখাননি।
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি গোপন গোয়েন্দা তথ্য ফাঁস করার দায়ে তার বিরুদ্ধে আনা গোয়েন্দাগিরির পাঁচটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এগুলোর মধ্যে সৈনিকের শপথভঙ্গের অভিযোগও রয়েছে।
ম্যানিংয়ের ফাঁস করা গোপনতথ্যের ওই ভাণ্ডারের মধ্যে যুদ্ধক্ষেত্রের ভিডিও ও কূটনৈতিক বার্তা রয়েছে। এসব তথ্য জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের গোপনতথ্য ফাঁসকারী ওয়েবসাইট উইকিলিকসে প্রকাশিত হলে বিশ্বজুড়ে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়। আর রাতারাতি পরিচিতি পায় উইকিলিকস।
বিচারে এতগুলো অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করাকে “বাড়াবাড়ি” বলে মন্তব্য করেছেন ম্যানিংয়ের সমর্থকরা।
এক বছরেরও বেশি সময় ধরে লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে আশ্রয় নিয়ে থাকা অ্যাসাঞ্জ বলেছেন, “এটি অদূরদর্শী সিদ্ধান্ত, এ বিচার সহ্য করা উচিত না, রায় অবশ্যই পুনর্বিবেচিত হওয়া দরকার। ব্রাডলি ম্যানিংয়ের এই লাঞ্ছনায় সারা বিশ্বে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়বে। ”
তিন বছর আগে গ্রেপ্তার হওয়ার সময় ম্যানিং ইরাকের রাজধানী বাগদাদে প্রথম পর্যায়ের গোয়েন্দা বিশ্লেষক হিসেবে কাজ করতেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।