অনেকের চোখেই মার্কিন সামরিক বাহিনীর সাবেক সদস্য ব্র্যাডলি ম্যানিং একজন বীর। নিজের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে সত্য প্রকাশ করেছেন তিনি। কিন্তু নিঃসঙ্গ এই সৈনিকের অতীত জীবনের প্রতিকূলতা অনেকের কাছেই অজানা।
স্বদেশের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তি ও তথ্য চুরির অপরাধে ম্যানিংয়ের ৩৫ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। ২১ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের ফোর্ট মিডে এক সামরিক আদালতে এ রায় ঘোষণা করা হয়।
সাড়াজাগানো ওয়েবসাইট উইকিলিকসকে লাখ লাখ গোপন নথি সরবরাহের অভিযোগে সামরিক আদালতে বিচার হয় ম্যানিংয়ের। ২৫ বছর বয়স্ক ম্যানিং এই অভিযোগ স্বীকার করে কয়েক দিন আগে আদালতে দুঃখ প্রকাশও করেছেন। ব্র্যাডলি ম্যানিংয়ের পক্ষে-বিপক্ষে অনেকেই অবস্থান নিয়েছেন। অনেক মতে, যুক্তরাষ্ট্রের গোপন নথি ফাঁস করে সঠিক কাজই করেছেন ম্যানিং।
দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকার প্রতিবেদনে জানানো হয়, সামরিক আদালতে শুনানির সময় ম্যানিংয়ের জীবনের অনেক বেদনাময় অধ্যায় উঠে এসেছে।
অবহেলা, একাকিত্ব, পারিবারিক কলহ, লিঙ্গ সমস্যাসহ নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে বেড়ে উঠেছেন ম্যানিং।
ম্যানিংয়ের আইনজীবীরা আদালতে দাবি করেন, জন্মের আগে থেকে ম্যানিংয়ের প্রতিকূল জীবনের শুরু। ম্যানিংয়ের মা-বাবা ছিলেন মদ্যপ। গর্ভে থাকা অবস্থায়ও তাঁর মা প্রচুর মদ পান করতেন। এর নেতিবাচক প্রভাব নবজাতক ম্যানিংয়ের স্বাস্থ্যের ওপর পড়ে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।