২১ অগাস্ট যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক আদালতের রায়ে ম্যানিংকে ৩৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। সাজা ঘোষণার পর তিনি নিজেকে একজন নারী দাবি করে নতুন নাম নিয়েছেন চেলসি ম্যানিং।
ম্যানিংয়ের ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটে দেয়া এক বিবৃতিতে জানা যায়, মঙ্গলবার আইনজীবী ডেভিড কমবস ম্যানিংয়ের হয়ে ক্ষমা চেয়ে একটি আবেদন করেছেন।
বিচার বিভাগের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে লেখা এক চিঠিতে কমবস বলেন, “আমি আপনার কাছে ম্যানিংয়ের বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করার এবং একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ নেয়ার আবেদন জানাচ্ছি। আমি তার কারাদণ্ডের মেয়াদ কমিয়ে দেয়ার বা তাকে সম্পূর্ণ ক্ষমা করার আবেদন করছি।
“
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বিষয়টি সমর্থন করে যে চিঠি দিয়েছে সেটাও আবেদনপত্রের সংঙ্গে সংযোজন করা হয়েছে।
এদিকে হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ম্যানিংয়ের ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন অন্যসব আবেদনের মতোই বিবেচনা করা হবে।
তবে লিবার্টি অ্যান্ড ন্যাশনাল সিকিউরিটি প্রোগ্রামের কো-ডিরেক্টর এলিজাবেথ ওটেইন জানান, ওবামা প্রশাসনের ক্ষমা প্রার্থনা আবেদন মঞ্জুর করার সম্ভাবনা খুবই কম।
“আর বর্তমান পরিস্থিতিতে যদি ক্ষমা মঞ্জুর করা হয় তবে তাতে তাদের চরিত্রের বৈপরিত্যই প্রকাশ পাবে। “
ওবামা প্রশাসন ক্ষমা প্রার্থনার ১৪৯৬টি আবেদনের মধ্যে মাত্র ২.৬ শতাংশ মঞ্জুর করে।
যেখানে তার আগের দুই প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ এবং বিল ক্লিন্টন যথাক্রমে ৭.৫ এবং ৫টির মধ্যে একটি আবেদন মঞ্জুর করতেন।
২৫ বছর বয়সী ম্যানিং যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর একজন ‘প্রাইভেট ফার্স্ট ক্লাস’। ২০১০ সালে ইরাকে দায়িত্ব পালনের সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ৭ লাখেরও বেশি গোপননথি, যুদ্ধক্ষেত্রের ভিডিও ও কূটনৈতিক বার্তা উইকিলিকসের কাছে তুলে দেন।
কারাদণ্ডাদেশ ঘোষণার একদিনের মাথায় এক বিবৃতিতে ম্যানিং নিজেকে নারী দাবি করেন এবং বাকি জীবন চেলসি ম্যানিং নাম নিয়ে পার করে যেতে চান বলে জানান।
কারাগারে হরমোন চিকিৎসাও চান তিনি।
নিজের ভেতরে মেয়েলিভাব ছোটবেলা থেকেই নাকি অনুভব করতেন ম্যানিং।
এখন থেকে নতুন নাম চেলসি ধরে ডাকতে এবং সর্বনাম হিসেবে স্ত্রী বাচক শব্দ ব্যবহার করতে সবাইকে অনুরোধ জানান চেলসি, যিনি এতদিন ছিলেন ব্র্যাডলি ম্যানিং।
যদিও ক্ষমা প্রার্থনার আবেদনে তিনি ব্র্যাডলি ম্যানিং নামে সাক্ষর করেছেন এবং কমবস তাকে ব্র্যাডলি এবং সর্বনাম হিসেবে পুরুষ বাচক শব্দ ব্যবহার করেছেন।
ম্যানিংয়ের কাছ থেকে পাওয়া নথিপত্র জুলিয়ান অ্যাস্যাঞ্জ তার ওয়েবসাইট উইকিলিকসে প্রকাশ করলে সারাবিশ্বে তোলপাড় ওঠে, অস্বস্তিতে পড়তে হয় ওয়াশিংটনকে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।