২০০৪ সালে বই মেলা থেকে বাড়ি ফেরার পথে হামলার শিকার হন হুমায়ুন আজাদ। মৃত্যুকে পরাজিত করে ফিরে আসেন স্বাভাবিক জীবনে। কিন্তু মুত্যু এবং হামলাকারীদের সৃষ্ট ক্ষত তাঁকে বাঁচতে দেয়নি । আগস্টের ১২, ২০০৪ সালে জার্মানিতে মারা যান তিনি। তিনি মরে গেলেও বহাল তবিয়তেই আছে, হামলাকারীরা।
বিচার হয়নি একজনেরও।
২০১২ সালে পুলিশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করলেও প্রকৃত হামলাকারী কারা তা বুঝে উঠতে পারেনি। জেএমবির উপর দোষ চাপিয়ে নিজেদের কাজ সম্পন্ন করেছেন আমাদের দেশের পুলিশ প্রশাসন।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, কেন পুলিশ ৯ বছরেও খুজে বের করতে পারলো না তার খুনিদের। কেন এখনই বিচার হলো না হামলাকারীদের।
হুমায়ুন আজাদ, কেবল একজন ব্যক্তি না, তিনি বাংলা সাহিত্যের প্রবাদ পুরুষ। তার হত্যাকারীদের যদি ৯ বছরেও গ্রেফতার করা বা সাজার আওতায় আনা না যায়, তাহলে সাধারণ মানুষের হত্যা কারীদের নামে মামলা করাই বৃথা।
কেন, এমন হচ্ছে, কেন বিচার হচ্ছে না, হত্যাকারীদের। কেন মত প্রকাশের জন্য মৃত্যুর ঝুকি নিয়ে চলতে হচ্ছে বিবেকবান মানুষদের। কেন দাউদ হায়দারকে এখনও পরবাসে বাস করতে হচ্ছে?? কেন থাবা বাবাকে জীবন দিতে হল??
এভাবে আর কতদিন চলবে?? এর কি কোন সমাধানই নেই??
নাকি, হুমায়ুন আজাদের কথাই শেষ পর্যন্ত ঠিক হবে, সব কিছুই নষ্টদের অধিকারে যাবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।