আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের স্মরনীয় দিন!!!



নিজের চোখকে বিশ্বাস হচ্ছেনা। এও সম্ভব। বাংলাদেশ এখন মোটামুটি ভাল দল। তাই বলে দক্ষিন অফ্রিকাকে এভাবে হারাতে পারবে!! স্বপ্ন আর বাস্তবতা কি তবে একই সরলরেখায় দিগন্তবিস্তৃত? আরেকটি মাহেন্দ্র বিজয়ের আনন্দে আজ আলোড়িত সারা দেশ্। এত কষ্ট, যন্ত্রনা আর দ্রব্যমূণ্যের চরম উর্ধ্বগতির মাঝেও মানুয়ের এই অনুপম আনন্দ সাকিব-বাহিনী ছাড়া আর কেউ কোন দিন দিতে পারবে না।

তামিম গত কিছুদিন রান করব করব করে আউট হয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি তার ভাল ইনিংস টা যে তুলে রেখেছিলেন দেশকে সংকট থেকে উদ্ধার করর জন্য। তার ব্যাটের উইলোবাজীতে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল স্টেইন, মরকেল আর হালের ইমরান তাহিরের ক্ষেপনাস্ত্র গুলো। ব্যটিং এ তামিম এর ১১২ বলে ১৩৫ (১৫ চার ও ৫ ছক্কা) আর নাফিস (৩৩ রান ৪৫ বল), সাকিব (৪৮ রান ৪৫বল) এবং শেষে সুহাসের (৩৫রান ১৩বল) ঝড়ো রানে ২৭৮ রানের লড়াকু স্কোর গড়ে। আজও নিস্প্রভ ছিলেন মুশফিক।

প্রচলিত একটা কথা আছে, morning shows the day. But the brave Bangal tigers make it false. দিনের দ্বিতীয় বলে ইমরুলের কট বিহাইন্ড অথবা ৩য় ওভারে জুনায়েদের রানআউট পারেনি টাইগারদের গর্জন থামাতে। তারপর শুধু তামিম নামা। চোখ জুড়ানো, মন ভোলানো ক্রিকেট। আর অনেকদিন পর নাফিস যেন শাহরিয়ার হয়ে ফিরলেন। ফলাফল ১৬৫ রানের দুরন্ত এক পার্টনারশীপ।

যার জন্য খরচ মাত্র ১৫২ বল। তারপর আবার ছোট একটা টর্নেডো। ১১ বলে ৩ ব্যাটসম্যানের মরন দেখছে সাকিব। তারপর সাকিব আর সুহাসের জুটি শেষ পর্যন্ত দলকে যুদ্ধ করার মত একটা রান দাড় করালেন। স্টেইন নিলেন ৩ টি, ইমরান তাহির ৩টি আর মরকেল ১টি।

ব্যটিং এর আশা জাগানিয়া পারফরম্যান্সের পর কেমন যেন দোটানা শুরু হল। তবে কি বাংলাদেশ আবারও???? সত্যি কি সম্ভব?? ঘোর কাটাতে বেশি সময় লাগল না। দীর্ঘদিন রান খরায় ভোগা স্মিথ এর স্লগে মাত্র ১৩ ওভারে ১০০ পুরন করে আফ্রিকা। ঘোর থেকে বাস্তবতা আর মন ভাঙতে শুরু কবে। তারপর রাজ্জাকের সারাজীবন গল্প করার মত ১৭ তম ওভার।

আফ্রিকা তখন ১১৯/০। ওভার যখন শেষ তখন আফ্রিকা ১১৯/২। স্মিথ ৮৫ (৬৪ বল) বলকে আকাশের ঠিকানায় পাঠাতে চেয়ে মুশফিকের গ্লাভসে আর ক্যালিস ১ (২বল) রাজ্জাকের দুরন্ত রিটার্ন ক্যাচে ফিরে গেলে স্পিন ব্যাটালিয়ন চেপে ধরে চোকার্সদের। দুই ওভার পরে সাকিবের বলে আমলা ক্লিন বোল্ড হলে আবারও অশার আলো দেখতে শুরু করে সবাই। আফ্রিকা ১২৩/৩।

পরের ওভারে রাজ্জাকের ট্রেডমার্ক আর্মার ভিলিয়ার্সের প্যাড এ লাগলে সমগ্র দেশের সব মানুষের সমস্বর আবেদন নাকচ করে দেন আম্পায়ার বিলি ডক্টরভ। সাকিবের রিভিউ আবেদন এ সবচেয়ে গুরুত্বপূয়র্ন সিদ্ধান্ত প্রদান করেন বিলি বাউডেন। বল মি্ডল স্টিক এ পিস করে প্যাড হয়েছে। ক্নিতু মনে হয়েছে য়ে বল গ্লাভস এ আগে লেগেছে। কিন্তু লাগেনি।

ভিলিয়ার্স ৩(৪বল) দলকে রেখে যখন প্যাভিলিয়নে ফেরেন তখন রান ১২৪/৪। তারপর ডুমিনি আর প্লেসিস বাংলাদেশের ধৈয়্যের পরীক্ষা নেন। ৩৫ ওভার শেষে ১৭৩/৪। প্লেসিস যেন ব্যাটটা সোজা করাই ভূলে গেছেন। ১৩ রান (৪৫ বল) আর দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ডুমিনি ৩৯( ৩৩ বল) ম্যাচটাকে কি যেন করে ফেলছিল।

সাকিব এর রং ডেলিভারি না বুঝে ডুমিনি পযেন্টে দাড়িয়ে থাকা নাইম কে যখন খুজে পেল তখন বায়লাদেশের উজ্জাপনরে ভঙ্গি বলছিল বাংলাদেশ মনেহয় আলোর দেখা পেয়েছে। ১৭৪/৫ থেকে ১৮৯/৬ বানিয়ে রুবেল তার প্রথম স্পেলের সর্টপিস বল দেয়ার পাপের প্রায়শ্চিত্ত করলেন বলে মনে হল। দশ ওভারে তখনও ১০৪ রান দরকার। জয় হাতের নাগালে মনে হচ্চিল। নিট রানরেটের হিসাব নিয়ে বসেছি।

কত রানে বা কত ওভারে জিতলে নিটরান রেট আরও বাড়বে। কিন্তু হঠাত প্লেসিস ঝড়। নাইমের এক ওভারে ২৫ রান নিয়ে ম্যাচের রং বদলাতে শুরু করেন। সাথে ভ্যান উইক। ৪৪ ওভার শেষে ২১৩/৫।

পরের ওভাবে রাজ্জাক তার শেষ ওভারের প্রথম দুই বল খুজে পান গ্যালারীতে। ২২৫/৫। পরের বল বাউন্ডরি। ২২৯/৫। ৩৩ বলে ৫০ রান।

খুব সম্ভব। কান্না আসসিল। মন মানছিল না। ৫নম্বর বলটা আবারও আর্মার এবং প্লেসিস বোল্ড। ২২৯/৬।

শফিউলের পরের ওভারে ভ্যান দুইটি বাউন্ডারী মেরে ২৩৯/৬। ২৪ বলে দরকার ৩৯। রাজ্জাকের পরের ওভারের প্রথম বলটা ভ্যান সম্ভবত ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ছয মারলেন। পরের বলে দুর্দান্ত চার। মিড উইকেট দিয়ে।

২২ বলে ২৯। কিন্তু চোকার্স আর অলওয়েজ চোকার্স। পরের বলে চুরি করে রান নিতে গিয়ে রান আউট প্লেসিস। ২১ বলে ২৯। বাকি তিন বলে ১ রানও দিলেন না রাজ্জাক।

১৮ বলে ২৯। রুবেল পরপর তিনটি ইয়র্কার এর পর দরকার ১৫ বলে ২৬। পরের বলে ক্লিন এল বি ডব্লিউ হন পিটারসেন। ১৪ বলে ২৬। পরের টা বাউন্সার।

পরের বলে সিঙ্গেল নিয়ে স্ট্রাইক নেন স্টেইন। শফিউলের প্রথম বলে ক্লিন বোল্ড স্টেইন। আফ্রিকা

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.