আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যুক্তরাষ্ট্রেও কি ধর্ম রাজনীতির হাতিয়ার হবে?



যুক্তরাষ্ট্রেও কি ধর্ম রাজনীতির হাতিয়ার হবে? ফকির ইলিয়াস ================================= খুব বেদনাদায়ক ঘটনা। মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের কংগ্রেসম্যান কিথ এলিসন কান্নায় ভেঙে পড়লেন। বললেন, মুসলমানরা এ দেশের সমাজ, অর্থ, বিকাশ, সংস্কৃতিতে অংশ নিচ্ছেন সার্বিকভাবে। না, তারা সবাই টেরোরিস্ট নন। এমন অপবাদ রহিত হওয়া দরকার।

তিনি বলেন- ‘যুক্তরাষ্ট্রের জন্য জীবন উৎসর্গ করেও মুসলমানরা অপবাদের শিকার হচ্ছে’। এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার ঘটনায় মুসলমান প্যারামেডিক মোহাম্মদ সালমান হামদানি অন্য আক্রান্তদের সাহায্য করতে গিয়ে তার জীবন উৎসর্গ করেন। এ কথা উল্লেখ করে কংগ্রেসম্যান উচ্চৈস্বরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, ধসে পড়া টুইন টাওয়ারে অন্যের জীবন বাঁচাতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করেন মোহাম্মদ সালমান। ২৩ বছর বয়স্ক এই বীর তরুণ ছিলেন প্রথম দলে, যারা টুইন টাওয়ারের উদ্ধার কাজে এগিয়ে এসেছিলেন।

নিউইয়র্কের কুইন্সের বাসিন্দা এই তরুণ আমাদের প্রেরণার উৎস। তারপরও কেউ কেউ তাকে অপবাদ দেয়ার চেষ্টা করেছে, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণে। শুনানি কক্ষে উপস্থিত সালমান হামদানির মাও এ সময় কাঁদতে শুরু করেন। ওই দৃশ্য যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে গুরুত্বের সঙ্গে সম্প্রচার করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত মুসলমানদের মনের কথা তার বক্তব্যে উঠে এসেছে বলে সংবাদ মাধ্যমে মন্তব্য করা হয়।

মিশিগান থেকে নির্বাচিত ডেমোক্রেট কংগ্রেসম্যান জন ভিনগেল তার বক্তব্যে বলেন, মুসলমানরাও আমেরিকার সম্মানজনক নাগরিক। মিসিসিপি থেকে নির্বাচিত ডেমোক্রেট কংগ্রেসম্যান বেনি থমসন বলেন, কংগ্রেসে এ ধরনের শুনানির পরিণাম হবে ভয়াবহ। এতে বহির্বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী প্রচারণা বেড়ে যাবে। কাউন্সিল অব ইসলামিক রিলেশনের নির্বাহী পরিচালক নিহাদ আওয়াদ বলেন, পিটার কিং ভীতি ছড়ানোর চেষ্টা করছেন। হোমল্যান্ড সিকিউরিটি কমিটির প্রধান হওয়ার যোগ্যতা পিটার কিংয়ের নেই বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

এসব বিরোধিতা উপেক্ষা করে শুনানি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন পিটার কিং। তিনি বলেন, রাজনৈতিক বিরোধিতার কারণে শুনানি গ্রহণ থেকে পেছানোর কোনো অবকাশ নেই। দুই. যুক্তরাষ্ট্র হোমল্যান্ড সিকিউরিটি কমিটি ‘মুসলমান ও জঙ্গিবাদ’ শীর্ষক একটি শুনানির আয়োজন করেছে সম্প্রতি। নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ড এলাকার প্রভাবশালী রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান পিটার কিং এই কমিটির চেয়ারম্যান। যুক্তরাষ্ট্রের অনেক প্রতিনিধিই এই শুনানির বিরোধিতা করছেন।

তারপরও তীব্র প্রতিবাদ উপেক্ষা করে মার্কিন কংগ্রেসে এই শুনানি হয়েছে। জঙ্গিবাদকে জড়িয়ে মুসলমানদের নিয়ে এ ধরনের শুনানির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের মুসলমানরা ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন শুরু করেছে। নাগরিক অধিকার ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই শুনানির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, যুক্তরাষ্ট্রেও ধর্ম কী তবে রাজনীতির হাতিয়ার হবে? না হলে, এমন নগ্নভাবে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি শুরু হয়েছে কেন? অথচ এটা কে না জানে, যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান সকল ধর্মের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে। অবশ্য হোয়াইট হাউস প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত মুসলমানদের ভূমিকার প্রশংসা করেছে।

ডেপুটি ন্যাশনাল সিকিউরিটি উপদেষ্টা ডেনিস ম্যাক ডোনাগ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যে সন্ত্রাস সমস্যার মোকাবেলা করছে মুসলিম আমেরিকানরা সে সন্ত্রাসের অংশীদার নয় বরং তারা এ সন্ত্রাস সমস্যা সমাধানের অংশীদার। এই কদিনে মিডিয়ায়, আড্ডায়, যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতেÑ প্রধান আলোচিত বিষয়গুলোর অন্যতম হচ্ছে ইসলামিক মৌলবাদের ওপর কংগ্রেসশনাল শুনানি। এ শুনানির পক্ষে-বিপক্ষে ব্যাপক বাদ-প্রতিবাদ চলছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ বক্তব্য প্রদানের মাধ্যমে ম্যাক ডোনাগ মূলত এই বিতর্ক টেনশনে হোয়াইট হাউসের অবস্থান জানালেন। ইসলামিক মৌলবাদের ওপর এ কংগ্রেসশনাল শুনানির যৌক্তিকতা ও নীতিগত অবস্থান নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন।

সমাজ বিশ্লেষকরা বলছেন, এ শুনানির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ মুসলিম আমেরিকানদের পৃথকভাবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সমাজ নির্মাণের মূলনীতি ‘ধর্ম-গোত্র-বর্ণ ভেদে সকলেই আমেরিকান এবং সকলের জন্যই সমান সুযোগ’ এ বাক্যটির যথার্থতা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। এর অবমাননা করা হচ্ছে। এদিকে এই শুনানি নিয়ে ক্ষোভের প্রকাশও ব্যাপক। সম্প্রতি নিউইয়র্কের টাইম স্কোয়ারে এ শুনানির নীতিগত বিরোধিতা করে কয়েক হাজার মানুষ বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।

স্বতঃস্ফূর্ত এই সমাবেশে শত শত অন্য ধর্মাবম্বীরা হাজির হয়ে স্লোগান দিয়েছেÑ ‘আমরা সবাই আজ মুসলমান। ’ ধর্মীয় সম্প্রীতির এই নজির ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে মিডিয়ায়, সমাজে। রিপাবলিকান পিটার কিংয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ শুনানিকে অনেকে ‘কিংস ক্রুসেড’ নামেও আখ্যায়িত করেছেন। করার পেছনে কারণও আছে। গত রোববার নিউজ প্যানেল সিএনএ-এর স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন অনুষ্ঠানে পিটার কিং বলেন, আমি বিশ্বাস করি না যে আমেরিকান-মুসলিমরা সন্ত্রাস দমনে বা সহিংসতা প্রতিরোধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে যথেষ্ট সহায়তা করছে।

তার এই বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা ও প্রতিবাদ করেছেন মুসলিম নেতারা। পিটার কিং বলেছেন, সন্ত্রাস দমনে আমেরিকান মুসলিমরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে আরো অনেক বেশি সহায়তা করতে পারে এবং তাদের তা করা উচিত। এর জবাবে মুসলিম ইমাম শামসে আলী বলেছেন, মুসলমানরা সব সময়ই সন্ত্রাসবিরোধী। তারা কখনই কোনো সন্ত্রাসীর পক্ষে অবস্থান নেয়নি, নেবেও না। তিন. সর্বশেষ আদমশুমারি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যা প্রায় ৩২ কোটি।

এর মধ্যে মুসলিম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা কতো তা নিয়ে মতভেদ আছে। যেহেতু যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী ধর্মীয় বিষয়টি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত সুতরাং এ বিষয়ে রাষ্ট্রের প্রকাশ্য কোনো তথ্য নেই। তবে বিভিন্ন সংস্থার সার্ভে থেকে অনুমান করা হচ্ছে, এ দেশে মুসলিম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ৫০ থেকে ৮০ লাখের মধ্যে। এই মুসলিম জনগোষ্ঠীর ২৪ শতাংশ আফ্রিকান আমেরিকান যাদেরকে নেটিভ আমেরিকান বলা যায়। ২৬ শতাংশ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বংশোদ্ভূত।

এদের মধ্যে বাংলাদেশী, ভারতীয় এবং পাকিস্তানিরা অন্তর্ভুক্ত। ২৬ শতাংশ আরবীয় বংশোদ্ভূত। আর বাকি ২৪ শতাংশ অন্যান্য। এদের মধ্যে ইউরোপিয়ন আমেরিকান, এশিয়ান-আমেরিকানও রয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের মানুষের যেমন বিভিন্ন রূপ আছে, ধর্মীয়-বর্ণগত-জাতিগত বিভক্তি আছে, তেমনি এ দেশে যারা বসবাস করছেন তাদের স্বার্থেরও একটা ঐক্য আছে।

মুসলিম, খ্রিস্টান, হিন্দু, বৌদ্ধ, ইহুদি যে কোনো ধর্মের মানুষের প্রধান চাওয়া হচ্ছে নিজেদের নিরাপত্তা। তার সন্তান নিরাপদে থাকুক, তার অর্থনৈতিক স্বার্থ, সামাজিক বা রাষ্ট্রীয় সম্মান ঊর্ধ্বে তুলে ধরা হোক। সে ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সামগ্রিক স্বার্থ আর এ দেশে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীর স্বার্থ এক ও অভিন্ন। এই প্রশ্নে যে আপোস করবে সে আসলে সভ্য-মানবগোষ্ঠীর মধ্যেই পড়ে না। আর এখানের মানুষের সকলেরই একই কথা সন্ত্রাসীর কোনো জাতি ধর্ম নেই।

এ বিষয়ে অতীত খুঁজলে দেখা যাবে, ১৯৯৬ সালে আটলান্টা অলিম্পিকে বোমা হামলা, নাইন ইলেভেন হামলা বা ২০০১ সালে অ্যানথ্রাক্স হামলা যুক্তরাষ্ট্রের সংঘটিত বড় কয়েকটি সন্ত্রাসী ঘটনা। এ সকল ঘটনার পেছনে যে সন্ত্রাসীরা জড়িত তাদের জাতিগত বা ধর্মীয় পরিচয় ভিন্ন ভিন্ন। কেউ খ্রিস্টান, কেউ মুসলিম, কেউবা অন্য ধর্মীয় বা জাতিগত পরিচয়ে পরিচিত। কিন্তু সবগুলো ঘটনাই যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থবিরোধী, যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের নিরাপত্তার ওপর হামলা। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত সবাই তাই নিজ স্বার্থেই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে।

ডিউক ইউনিভার্সিটির সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা যায় যে, যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসী ঘটনার চক্রান্ত প্রতিরোধে ৪০ ভাগ সফলতা এসেছে শুধুমাত্র আমেরিকান-মুসলিম জনগোষ্ঠীর সহায়তায়। সন্ত্রাসী টিমোথি ম্যাকভে, সিওডোর ক্যাকজিংসকি, এরিক রুডলক বা ব্র“স অ্যাওয়ার্ড, এরা কেউ মুসলিম নয়। আবার ওসামা বিন লাদেন, ফয়সাল শাজাহাদ কিংবা খালিদ আলী এম আলদোসী খিৃস্টান কিংবা ইহুদি নয়। সে বিবেচনায় বলা যায়, সন্ত্রাসীরা কোনো বিশেষ পরিচয় বহন করে না। আরো ভাবার বিষয় হচ্ছে, সন্ত্রাস সমস্যা যে কেবলমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের একার তা নয়।

এ সমস্যা মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, প্রাচ্য-পাশ্চাত্য বিশ্বের প্রায় সকল দেশের। কোন ধর্মাবম্বলী কোনো দেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ, বর্তমান সময়ে এখন তা আর মোটেই বিবেচ্য বিষয় নয়। বলা দরকার, বিভিন্ন সমীকরণ অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের জনগোষ্ঠীর প্রায় ৮১ শতাংশ খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী ২ দশমিক ৬ ভাগের মতো মুসলিম এবং ২ দশমিক ২ ভাগ ইহুদি। বিভিন্ন পরিসংখ্যানে দেখা গেছে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসী হামলায় নিহত নিরীহ মহিলা, শিশু ও পুরুষদের মধ্যে মুসলমানদের সংখ্যা বেশি। তারপরও সে বিষয়টি বেমালুম চেপে গিয়ে পিটার কিং কিভাবে এমন পক্ষপাতিত্ব করছেন, তা অনেককেই ভাবিয়ে তুলেছে।

চার. যে ধর্মের অনুসারীই হোক না কেন একজন ধর্মবিশ্বাসী মানুষের জন্য তার ধর্ম একটি সুকোমল অনুভূতি। মানুষের এই অনুভূতিকে ব্যবহার করাও সহজ। ব্যক্তিস্বার্থে ধর্মবিশ্বাসী মানুষদের এই অনুভূতি ব্যবহার করার লোকজনেরও অভাব নেই। এভাবে ধর্মকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার ঘটনাও অসংখ্য। সেটা বাংলাদেশের মতো দরিদ্র দেশই হোক আর যুক্তরাষ্ট্রের মতো অগ্রসর দেশই হোক, সত্য সব জায়গায় এক রকম।

কংগ্রেসনাল শুনানি প্রক্রিয়া তারই একটি অংশমাত্র। হোয়াইট হাউসের মুসলিম প্রশংসা বা রিপাবলিকানদের মুসলিমদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সবই ধর্ম নিয়ে রাজনীতিরই প্রকাশ। যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের প্রথম সংশোধনী এ রাষ্ট্রকে বিশ্বে একটি বিশেষ স্থানে স্থাপন করেছে। ঐ সংশোধনীতে ফেডারেল সরকার কর্তৃক কোনো ধর্মকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য কোনো আইন প্রণয়নের ক্ষমতা কেড়ে নেয়া হয়। একই সঙ্গে ঐ সংশোধনীতে সকল ধর্মের লোকদের তার নিজ নিজ ধর্ম পালন করার অবাধ স্বাধীনতা দেয়া হয়।

সুপ্রিম কোর্ট এই আইনের ব্যাখ্যায় বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রে ধর্মের ওপর কারো কর্তৃত্ব করার অধিকার নেই। এই শাসনতন্ত্রের জয়জয়কারের পরও ধর্ম নিয়ে রাজনীতি মার্কিনি সমাজকে শঙ্কিত করে তুলেছে। বিভিন্নরূপে ভিন্ন ভিন্ন দেশে মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে ব্যবহার করার চেষ্টা চলছে। ওসামা বিন লাদেনরা জেহাদের নামে ধর্মকে ব্যবহার করছে। রাজনীতিতে ওবামা বা পিটার কিং সেটা ব্যবহার করছেন সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ গড়ে তোলার নামে।

প্রথম সংশোধনীতে ধর্মকে ব্যবহার করে, কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করার সুযোগ না থাকলেও অন্যভাবে তা হচ্ছে। একটি বিশেষ ধর্মের নামে কংগ্রেসনাল শুনানিও অনুষ্ঠিত হচ্ছে। রাজনীতিকরা চাইছেন, এর পক্ষ-বিপক্ষ অবলম্বন করে ফায়দা নিজেদের ঘরে তুলতে। রিপাবলিকান কিংবা ডেমোক্রেটরা যদি সত্যিই ধর্মকে রাজনীতির ঢাল হিসেবে ব্যবহার করার প্রয়াসী হন, তবে দুর্জনেরাই বেশি উৎসাহিত হবে, কথা মনে রেখেই মার্কিনি রাজনীতিবিদদের এগুতে হবে। ১৫ মার্চ ২০১১ ------------------------------------------------------------------ দৈনিক ভোরের কাগজ/ ঢাকা/ ১৯ মার্চ ২০১১ শনিবার ছবি - লিলিয়া ব্রিক


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।