আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সামিনা চৌধুরীর কলাম,সিলিকোন বক্ষ,আল-কায়েদা এবং অন্যান্য

বিনা যুদ্ধে নাহি দিব ছাড়,সূচাগ্র মেদিনীর অধিকার.... ।

১. বিশ্বকাপ ক্রিকেট আসিলেই বাংলার ক্রিকেটমূর্খ মিডিয়ার লোকজন কিভাবে সামান্য জ্ঞান নিয়া বিশাল বিশেষজ্ঞ হইয়া যায়,তা আপনারা আমার আমার এই পোস্টে দেখিয়াছেন। এই চুদুরবুদুর যে এখনো শেষ হয় নাই,তা আজ কালের কন্ঠ নামক পেপারে ( দুর্মুখেরা বলে টিস্যুপেপার) দেখিলাম। ঘটনা কি ?? সামিনা চৌধুরি এখন ক্রিকেট নিয়া কলাম লেখা শুরু করিয়াছেন!! তাহাতে আমার কি ?? যে রাধেঁ ,সে নিশ্চয়ই আটিঁ বাধেঁ ........ ??এই নব্য ক্রিকেট বিশারদ ক্রিকেটের এত্ত বড় ফ্যান ,উনি দুটি টিকেট পাইয়াই পুচ্ছদেশে রকেটের সিলিন্ডার লাগাইয়া চট্টলায় দৌড়াইয়া গিয়াছেন ব্যাঘ্রদের সমর্থন দিতে!! সবাই বলেন সুবহানাল্লাহ !! কিন্তু নব্য এই কলামিস্ট ব্যাঘ্রদলের খেলো্য়াড় তো দুরের কথা,পেস আর স্পিনের পার্থক্যও বুঝেন না !! উনি তাহার কলামে লিখিয়াছেন....... নির্দিষ্ট সময় শুরুর ঠিক আগের মুহূর্তে মাঠজুড়ে কেমন জানি একটা নীরবতা। তখনই নাঈম ইসলাম প্রথম ওভারের প্রথম বল করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।

প্রভু !! প্রথম ওভারের বোলার শফিউলকেও সামিনা চৌধুরানী নাইম ইসলাম বানাইয়া দিয়াছেন !! নাঈম ইসলামের দৌড়ের দ্রুততার সঙ্গে সঙ্গে দর্শকদের চিৎকারের ধ্বনিও বাড়তে থাকে। সে কী চমৎকার দৃশ্য! নাইম ইসলামের দৌড়ের দ্রুততা !! আহা !! স্পিন বোলার দেখি শোয়েব আখতারের গতিতে দৌড়াইতাছেন !! সামিনা চৌধুরানী কি আজকাল গন্জিকা ধরিলেন নাকি ?? গন্জিকা সেবন-পরবর্তী লিখিত কলাম খানা দেখুন এইখানে ! ২. বাক্সের ভিতর টিকটিক শব্দ শুনিয়া পোস্টআপিসের সকলের দুশ্চিন্তা শুরু হইয়া গেলো !! গত বছরের মার্চে বোমা ফাটাইয়া ৪০ জন ব্যাক্তির মৃত্যুর ঘটনা কাহারো মন হইতে মুছিয়া যায় নাই , সুতরাং ডাকো বোমা-বিশেষজ্ঞ দলকে ,তাহারা আসিয়া বাক্স হইতে বোমা নিস্ক্রিয় করুক । ঘটনাটি ঘটিতেছিলো রুশদেশের পেট্রোজাভদস্ক শহরে,পোস্ট আপিসে আসা একখানা বক্সের বোমার ন্যায় টিকটিক শব্দ শুনিয়া আপিসের হেড-পিয়ন পাগলা ঘন্টি বাজাইয়া সকলে আপিস হইতে বাহির করা সাব্যস্ত করিলেন। বোমা বিশেষজ্ঞ দল আসিয়া বিশাল যজ্ঞ শুরু করিলো, বাক্স খুলিলো .... এবং বাক্স খুলিয়া দেখিলো....... আপন মহিমায় শব্দ করিয়া চলিতেছে একখানা ডিলডো । ধারনা করা হইতেছে ,দুর্ভাগ্যজনকভাবে ডিলডোখানা চালু হইয়া যাওয়াতে টিকটিক শব্দ হইতেছিলো ( এখন পর্যন্ত কেহই ডিলডোখানার মালিকানা দাবী করিতে আসেন নাই ) ।

আলোড়ন সৃষ্টিকারী খবরটি টেলিগ্রাফের সৌজন্যে পড়ুন এইখানে!! ৩. ওরিত ফক্স ইয়াহুদি নাসারা দেশের খুব জনপ্রিয় একজন মডেল। মডেলিং করিয়া তিনি যত না নাম কামাইয়াছেন,তাহার চাইতে বেশি নাম কামাইয়াছেন বক্ষদেশ-উন্নতকরন অস্ত্রোপচারের কারনে। ঘনঘন অস্ত্রোপচারের জন্য বিখ্যাত এই বেগানা রমনীকে ইজরায়েলদেশের কেটি প্রাইস জর্ডান বলা হইয়া থাকে ( আমরা আরেকজন বেগানার ব্যাপারে পরে আরেকদিন আলোচনা করিব) । পাবলিসিটি স্টান্টের জন্য উন্মুখ এই রমনী কিছুদিন পূর্বে একখানা অজগর লইয়া ফটোসেশন করিতেছিলেন। ফটোসেশনকে অধিক মাত্রায় এরোটিক করার উদ্দেশ্যে তিনি অজগর বেচারার মস্তক-চোষন শুরু করিলে অজগর খানার মাথা ওরিত ফক্সের হাত হইতে ছুটিয়া যায়,আর তখনই ঘটে বিপত্তি !! অজগর মহাশয় ওরিট ফক্সকে শিক্ষাদানের নিমিত্তে তাহার বাম বক্ষ কামড়াইয়া ধরেন!! সাথে সাথে একজন সহকারী আসিয়া ওরিট ফক্সের সিলিকোন নির্মিত মূল্যবান বক্ষ হইতে অজগরকে বিচ্যুত করিতে সমর্থন হইলেও ওরিট ফক্সকে হাসপাতালে নিয়া যাইতে হয়।

হাসপাতালে ওরিট ফক্সকে একখানা টিটেনাস ইন্জেকশনের বিনিময়ে সুস্থ করা গেলেও অজগর মহাশয় সিলিকোন-বিষাক্ততায় আক্রান্ত হইয়া মৃত্যুর কোলে ঢলিয়া পড়েন। মৃত্যকালে তাহার বয়স কত হইয়াছিলো তাহা জানা যায় নাই। মর্মান্তিক এই ঘটনা এইখানে প্রকাশিত হইয়াছে। এইদিকে অজগর সম্প্রদায়ের রাস্ট্রপতি ''সিলিকোন বক্ষ এবং বাঁচার উপায়'' সংক্রান্ত এক বিশেষ সেমিনারে সকল অজগরকে উপস্থিত থাকিতে নির্দেশ দিবেন বলিয়া ধারনা করা হইতেছে। ৪. নরওয়ের বালক ওয়াল্টার আইক্রেম স্কুল শেষ করিয়া বাসায় ফিরিতেছিলো।

বাসায় ফিরার পথে তাহাকে ছোট একখানা পাহাড় পার হইতে হয়,সেইদিনও ব্যতিক্রম হয়নাই। ফিরার পথে হঠাৎ তাহাকে ৪টি নেকড়ে ঘিরিয়া ধরে । ঝাড়িয়া দৌড় দেওয়ার কথা ওয়াল্টার আইক্রেমের মাথা আসিলেও পরবর্তীতে সে নিজের দুর্বল গতির কথা চিন্তা করিয়া এই অপশন বাদ দেয়। সে ধীরে সুস্থে তাহার পকেট হইতে মোবাইল বাহির করিয়া ক্রীড ব্যান্ডের ওভারকাম গান খানা ছাড়িয়া দেয়,একইসাথে নিজেও দাঁত-মুখ খিচিঁয়া গাওয়া শুরু করে। ইহাতে ভয় পাইয়া নেকড়ের দল উল্টা ঝাড়িয়া দৌড় লাগাইয়াছিলো বলিয়া এই খবরে প্রকাশ পাইয়াছে।

বালক ওয়াল্টার স্কট বিশাল শব্দের জন্য বিখ্যাত চাইনিজ মোবাইল ব্যবহার করিয়াছিলো বলিয়া ধারনা করা হইতেছে। এইদিকে নেকড়ের দল তাহাদের বোকামী বুঝিতে পারিয়া সকলেই মেটাল-সঙ্গীত শুনিবে বলিয়া ঠিক করিয়াছে,ইহাতে পরবর্তীতে ধরা খাওয়ার সম্ভাবনা কমিবে বলিয়া আশা করা যাইতেছে। ৫. জিহাদি জোশে মত্ত সকল লোকের জন্য সুখবর !! আল কায়েদা সম্প্রতি নারীদের পছন্দের কসমোপলিটান ম্যাগাজিনের অনুকরনে ''জিহাদ কসমো'' হিসাবে ৩১ পাতার একখানা পাতলা ম্যাগাজিন বাজারে ছাড়িয়াছে। ম্যাগাজিনটির নামকরন করা হইয়াছে আল শামিখা । ইহার ''রুপচর্চা'' অধ্যায়ে ফর্সা হইবার টিপস হিসাবে মহিলাদের বাহিরে যাইতে নিষেধ করা এবং ঘরের ভিতরে থাকিবার সময়ই মুখ কাপড় দিয়া আচ্ছাদিত করিয়া রাখিতে বলা হইয়াছে।

এছাড়া রুপচর্চায় মধু-নির্মিত ফেসপ্যাক ব্যবহার করা এবং মাথায় ''অত্যধিক শক্ত করিয়া তোয়ালে প্যাচানো'' নিষেধ করা হইয়াছে। পরবর্তী সংখ্যায় কিভাবে ত্বকের যত্ন নিতে হয়,এবং কিভাবে ইলেক্ট্রনিক-জিহাদ শুরু করা যায়,তাহার উপর ধারনা দেওয়া হইবে বলিয়া প্রতিশ্রুতি দেওয়া হইয়াছে। ডেইলী মেইলের সৌজন্যে খবরটি এখানে পাইবেন। বাংলার কাঠ-মোল্লারা ইহাতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করিয়া অনলাইনে ম্যাগাজিনটির একখানা কপি দাবী করিয়াছেন,তবে ইন্টারনেট ব্যবহার করিতে না জানায় তাহারা কিন্চিৎ হতাশ। তবে তাহারা শিঘ্রই ইন্টারনেট ব্যবহার শিখিবেন বলিয়া ধারনা করা হইতাছে।

বি.দ্র. প্রকাশিত সকল ঘটনার সুত্র উল্লেখ করা হইয়াছে। কোনো লিংকই এইখানে অপ্রাসঙ্গিক নহে। দূর্যোধন বিশ্বাস করে,ব্লগের সকল ইউজারের মানসিক বয়স ১৮ বা তদুর্ধ,এছাড়া দূর্যোধন হিটাকাংখী নহে ,সুতরাং হেডলাইনে (১৮+) লিখা বাদ দেওয়া হইয়াছে। কোনো ব্লগার নিজ নিজ শিশুকে দূর্যোধনের পোস্ট পড়াইতে আসিলে তাহার দায়ভার সম্পূর্নরুপে উক্ত ব্লগারের,আমার কেন??

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।