তোমাকে ভাবাবোই
সংবিধান মেনে ধর্মভিত্তিক রাজনীতিতে কোনো বাধা থাকবে না বলে জানিয়েছেন সংবিধান সংশোধনে গঠিত বিশেষ কমিটির কো চেয়ারম্যান সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। বলেন, দলের গঠনতন্ত্র সংবিধান ও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হলে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন এবং ধর্মের অপব্যবহার ও জঙ্গিবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকলে সরকার ওই দলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। বিদ্যমান রাজনৈতিক দল যারা আছে, যারা ইসির কাছে নিবন্ধিত হয়েছে তারা রাজনীতি করতে পারবে। তাদের গঠনতন্ত্র সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। সুরঞ্জিত বলেন, জঙ্গিবাদ দেশে একটি নতুন মাত্রা।
আগে রাজনৈতিক দলেও বিষয়টি ছিল না। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সংবিধানে নির্দেশনা দেওয়া হবে। আজ বুধবার কমিটির দশম বৈঠক শেষে সংসদ ভবনের মিডিয়া সেন্টারে ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। কমিটির চেয়ারম্যান সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে বুধবার সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক ও তোফায়েল আহমেদ ছাড়া ১৫ সদস্যের এ বিশেষ কমিটির বাকি সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পঞ্চম সংশোধনী নিয়ে উচ্চ আদালতের রায়ের ভিত্তিতে বাহাত্তরের সংবিধানের ৩৮ অনুচ্ছেদ পুরোপুরি বহাল করা হলে ধর্মভিত্তিক দলের রাজনীতি নিষিদ্ধ হয়ে যাবে।
কিন্তু সংবিধান সংশোধন কমিটি ধর্মভিত্তিক দলগুলোকে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়ে কিছু বিধি নিষেধ যুক্ত করার প্রস্তাব করবে। জঙ্গিবাদ ইস্যুটিও এর সঙ্গে যোগ করা হবে।
সংবিধানের ৩৮ অনুচ্ছেদ উদ্ধৃত করে গত আগস্টে আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ বলেন, রাজনৈতিক দল বা সংঘ করার অধিকার সবারই আছে। কিন্তু ধর্মীয় নামযুক্ত কোনো দল সংবিধান অনুয়ায়ী রাজনীতি করতে পারবে না। বাহাত্তরের সংবিধানের মূল চার নীতি ফিরে আসায় ধর্মভিত্তিক দলগুলো আর রাজনীতি করতে পারবে না।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও)-এর ৯০ (এইচ) ধারার (বি) উপধারায় বলা হয়েছে, সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত দলের নিবন্ধন বাতিল করা যাবে। আরপিও আরেকটি বিধান অনুযায়ী, দলীয় গঠনতন্ত্রের ধারা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হলে এবং ইসির বেধে দেওয়া সময়ে তা সংশোধন না করলেও একটি দলের নিবন্ধন বাতিল করা যেতে পারে। ইসিতে নিবন্ধিত অন্তত দশটি দল রয়েছে যারা ধর্মীয় নামযুক্ত বা ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল নামে পরিচিত। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নিবন্ধনের জন্য ১১৭টি রাজনৈতিক দল প্রথমবারের মতো নির্বাচন কমিশনে আবেদন করে। এর মধ্যে শর্ত মেনে ৩৯টি দল নিবন্ধন পেলেও ৩৮টি দল গত নির্বাচনে অংশ নেয়।
যথাসময়ে গঠনতন্ত্র সংশোধন করতে না পারায় স¤প্রতি ফ্রিডম পার্টির নিবন্ধন বাতিল করে ইসি
এ বিষয়ে গত ১ আগস্ট সিইসি জানান, সংবিধান সংশোধনের বিষয়টি পর্যালোচনায় সংসদের একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটি সিদ্ধান্ত দিলে এবং তাতে ইসির কোনো দায়িত্ব থাকলে তখন নিবন্ধন বাতিল করা হবে।
গত বছরের ২১ জুলাই সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীকে চেয়ারম্যান করে এই বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়। বিশেষ কমিটি সবার কাছে 'গ্রহণযোগ্য' হয় এমনভাবে সংবিধান সংশোধনের উদ্যোগ নেবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।