যা তুমি আগামিকাল করতে পার, তা কখনো আজ করতে গিয়ে ভজঘট পাকাবে না...
আওয়ামী লীগ সম্ভবত ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বন্ধ করতে চাইছে। আর এরই প্রথম উদ্যোগ সম্ভবত '৭২-এর সংবিধানে ফিরে যাবার উদ্যোগ।
ধর্মভিত্তিক রাজনীতি ভালো কি মন্দ সে বিচার যার যার ওপর। তবে কয়েকটি প্রশ্ন আমার মনে জাগছে।
০১.
শেখ হাসিনা এবং খালেদা জিয়া দুজনেই ইলেকশনের আগে সিলেটে হজরত শাহ জালালের মাজার জিয়ারত করেন। শেখ হাসিনা এর আগে ইলেকশনের আগে মাথায় হিজাব বেধেছেন। এই আচরণকে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বা রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার বলা যাবে কি না?
০২.
এই আচরণকে যদি ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বা রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার বলা হয়, তবে ভবিষ্যতে হাসিনা-খালেদা এমন আচরণ বাদ দেবেন কি না?
০৩.
এই আচরণকে যদি ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বা রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার বলা না হয়, তবে অন্য কোনো দলের লোকজন যদি একই কাজ করতে চায়, তবে তাতে বাধা দেয়া হবে কি না।
০৪.
এই আচরণকে যদি ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বা রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার বলা না হয়, তবে হাসিনা-খালেদা যে আচরণগুলো কেবল ইলেকশনের আগে করেন, যেমন মাজার জিয়ারত, হিজাব, দলের লোকজন নিয়ে ধর্মীয় আচার আচরণ পালন, এই কাজগুলো অন্য দলের লোকজন যদি সারা বছর পালন করতে চায়, তাতে বাধা দেয়া ঠিক কি না। (মানে হাসিনা-খালেদা যা কেবল ইলেকশনের আগে করেন, তা অন্য কেউ সারা বছর করতে পারবে না, এইটা বলা কি ঠিক?)
০৫.
ব্যক্তিগতভাবে একজন রাজনীতিকের ধর্ম পালন, দলীয় ভাবে একটি দলের লোকজনের ধর্ম পালন আর ধর্মকে রাজনীতিতে ব্যবহারের মধ্যে পার্থক্য কিভাবে সংজ্ঞায়িত করা হবে?
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।