আমরা মুসলিম জাতি এবং মনে প্রাণে ধর্মব্শ্বিাসী। ধর্ আর স্বাধীনতা চেতনা কখনই পরস্পর বিরোধী হতে পারেনা। দেশ অতন্দ্র প্রহরায় থাকা ইবাদতেরই অংশ, দেশের সার্ভভৌমত্ব রক্ষা করা ঈমানেরই অবিচ্ছেদ্য দায়িত্ব। যারা ধর্ম বা রাজনীতি কে পুজি করে এই সাধারন সত্যকে অস্বীকার করতে চায় তারা নি:সন্দেহে দেশ ও জাতির শত্রু। একটা কথা দিবালোকের মত সত্য যে বর্তমানে এই অংশের পরিমান কম হলেও অতীতে তারা ছিল শক্তিশালী এবং সক্রিয়।
ধর্মকে আজ স্বাধীনতার বিরোধী চেতনায় উপবিষ্ট করে মানবতার ধর্ম, শান্তির ধর্ম ইসলামকে করুষিত করেছে যার ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশী এক ভিন্ন ধর্মাবলম্বী বিবিসি ফোন ইন এ বলেছে ইসলাম কি করে মানবতার ধর্ম হল?
প্রশ্ন হল কেন সে এমন কথা বলার সাহস পায়? হ্যা সাহস পায় আমাদের কর্মকান্ডের ফলে। ক্ষমতাসীন সরকার যেমন ইসলাম ধর্মর উপর খড়গহস্তঠিক তেমনি বাংলার ধর্মপ্রান ১৫ কোটি মুসলমান তাদের আবেগ কে তাড়িত করেন ধর্মকে সাথে নিয়ে।
কতগুলো বিষয় নিয়ে গভীর চিন্তায় এমনটিই ধরা পড়েছে আমার ছোট্র মাথায়।
১। শাহবাগ আন্দোলনকে ভয়েস অব নেশন বলা হলেও আদৌও কি তাই ?
২।
যার নুন খাবন তার গন গাওয়াতেই ব্যস্ত থাকবেন আপনি, সরকারী নিরাপত্তায়, সরকারী আহারে সরকারী দলের বগলে থেকে আর যাই হোক না কেন সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে কোন দাবী আদায় করা যায়না।
৩। এই আন্দোলন কার বিপক্ষে?
৪। কার কাছে দাবী আন্দোলনকারী হাজার হাজার এই জনতার?
৫। ঘটাও করে প্রধান মন্ত্রীর দপ্তর ও এফবিসিসিআই এর টাকা লেনদেন কি আন্দোলনের সরুপ পরিবর্তন করেনাই?
৬।
আন্দোলনের মাঝামাঝি সময়ে থাবা বাবার হত্যাকান্ড কে আন্দোলনে টেনে নিয়ে এনে কি আন্দোলন কে ইসলাম ধর্র বিরুদ্ধে দাড় করানো হয়নাই?
৭। থাবা বাবাকে টেনে নিয়ে এসে শাহবাগে ধর্মর রীতিকে এড়িয়ে অদ্ভূত রীতিতে নাস্তিক, হিন্দু, মুসলিম মিলে জানাজা আদায় করে শাহবাগ যে অন্তত ইসলাম ধর্ম এর পক্ষে না তা জানান দিয়েছে।
৮। আমরা ব্লগাররা কমবেশী সবাই জানি যে অনেক ব্লগারই আছেন নাস্তিক যাদের সাথে এই প্লাটফর্মই আমরা লিপ্ত হয় ধর্মযুদ্ধে তবে তা হয় যক্তি দিয়ে আবেগ দিয়ে নয়। অথচ রাজীব হায়দার হত্যার পরে অনেক ব্লগাররাই প্রমান করার ব্যর্থ চেষ্টা করেছেন যে ব্লগগওলো তার লেখা নয় বরং তা তার মৃত্যুর পর সাজানো হয়েছে অথচ অতি সম্প্রতি পুলিশ বলেছে রাজীব হায়দার কে হত্যার একমাস আগ থেকেই তার ব্লগ পড়ে নর্থসাউথের পাচ শিক্ষার্থী তাকে অনুসরন করেছে তাই সকালের পূর্বসূর্য এর মত পরিস্কার যে রাজীব হায়দার এর লেখা ছিল ধর্ম বিশ্বাস এর বিরূদ্ধে।
প্রশ্ন হল একজন নাস্তিককে শাহবাগে এনে ধর্মীয় রীতিতে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করে শাহবাগ ও সরকার কি স্বত:স্ফুর্ত গনজাগরনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেনাই? যদি তা না হত তাহলে সরকারী আলেম ওলামাগন তথা ওলামালীগ নাস্তিকের শাস্তি দাবী করত না।
৯। নাস্তিকের ধর্ম অবমাননা নয় বরং ধর্মএর ব্যপারে কটুক্তির প্রতিবাদে দেমশর আলেম সমাজ বিক্ষোভ করলে সরকার অমানুষিক অত্যাচার চালায় দেশের আলেম সমাজের উপর যদিও আলেমদের বিক্ষোভ শাহবাগের বিরুদ্ধে নয় বরং শাহবাগের কতিপয় নাস্কিদের বিরুদ্ধে। তাদের উপর অত্যাচারের মাধ্যমে দেশের আমজনতাকে সরকার দাড় করিয়েছে স্বভাবসিদ্ধ দাবী যুদ্ধাপরাদের বিচারে দাবীতে ফুলে উঠা গনজাগরনের বিরূদ্ধে।
১০।
লাকী আপুর শ্লোগান আজ ও আমার মস্তিস্কে স্ফুলিংগ এর উন্মেষ ঘটায় অথচ আজও কোন আন্দোলনকারীদের মুখে ভূলে ও বলতে শুনিনি যে লাকী আপুর উপর হামলাকারী সরকারী ----- বাহিনীর বিচার করতে হবে।
১১। সরকার ইচ্ছে করে মুসলিম সমাজ কে ক্ষেপিয়ে তুলেছ্ েকেন আমরা ভুলে যাচ্ছি ধর্মীয় অনুভূতি এমন এক অনুভূতি যা মানুষের প্রতিটি স্নায়ুর সাথে মিশে আছে।
১২। লাকী আপুর কথা মনে পড়ে এখন ও যে আমরা অংক পরীক্ষার মধ্যে ইংরেজী পরীক্ষা দিতে আসিনি অথচ আজ সেই অংক আর নেই অংকের বদলে ভূত এসে চেপে বসেছে আামদের ঘাড়ে।
এক শুক্রবারের আন্দোলনে রুপ বদলে গেছে। ধর্মভিত্তিক নয় বরং জাময়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করতে হবে। দাবী যদি তাই হয় তাহলে গণজাগরন কেন? ২০০৯ থেকে তাদের নিষিদ্ধ করতে মামলা চলছেই।
১৩। এ দাবীতেও সরকারী সিদ্ধান্তের কথা যখন জানালেন প্রধানমন্ত্রী তখন কেন প্রতিবাদ হলনা? প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক গুচির চালে তিনি বললেন জামাতকে নিষিদ্ধ করতে হবে আইনি প্রক্রিয়ায়, রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ বা সংসদে নয়।
কই কেউতো প্রতিবাদ করে আল্টিমেটাম দিলেন না!
১৪। দিবে কে? আন্দেলনের তথাকথিত রাষ্ট্রীয় মুখপাত্র বিশিষ্ট রাজনীতিবীদ ও ছাত্রলীগ নেতা ইমরান এইচ সরকার ও সিদ্দিকী ণাজমূল আলম বলবেন আওয়ামী সরকারের বিরূদ্ধে?
১৫। জাতি শাহবাগকে ক্ষমা করবেনা বিশেষ করে ঢাকার জনগন। দীর্ঘ একমাস কতনা কষ্ট সহ্য করছে নগরবাসী একটা টু শব্দও করেনি ধারন করেছে হাসি মুখে এই উদ্দেশে যে জাতি কলংকমুক্ত হবে অথচ শেষ অবদি এই আন্দোলন শুধু আওয়ামী এজেন্ডা বাস্তবায়ন করায় লিপ্ত।
পরিশেষে মাননীয় সরকারপ্রধান সমীপে বলতে চাই যারা চায়নি এদেশের জন্ম হোক এদেশের নির্মল সুবাতাসে বেচে থাকার অধিকার নেই তাদের।
সে যে দলেরই হোক না কে আমাদের কাছে এই কুলাঙ্গার গুলোর এটাই পরিচয় এরা দেশাদ্রোহী, এরা রাজাকার, এরা জাতীয় শত্রু, জাতীর কলংক। হোক যত বড় রাজনীতিবীদ, যত বড় মওলানা আর যত বড় কাছের মানুষ আপনার দয়া করে এদের চিহ্নিত করে বিচার করূন। এই বিচার কে আর রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার কইরেননা। আপনি যত ভাবে এর উপযোগ গ্রহণ করবেন জনগন ততভাবেই আপনাকে জনবিচ্ছিন্ন করবে। শুধু রাজনৈতিক উদ্দ্যেশে নয় জাতিকে কলংকমুক্ত করতে আপনার দল, প্রধান বিরোধী দলসহ সকল রাজনৈতিক ক্ষমতাধর রাজাকারদের বিচার করা আপনার সরকারের দায়িত্ব।
প্রহসন নয়, প্রতিহিংসা নয় নিরপেক্ষ বিচারই শহীদদের দাবী।
মনে রাখবেন, মখা আলমগীর, মোশাররফ, কামরুল, সাকা, গোলাম আযম, মতিউর , কাদের মোল্লা এরা যত বড়ই হোক না কেন এদর ভিন্ন কোন পরিচয় নেই এই বাংলাদেশ। এদের একটাই পরিচয় এরা জাতির কলংক। যদি জাতি সুষ্ঠ বিচার না পায় তাহলে এই তিন দলকেই ছড়ে ফেলবে ডাম্পিং স্টেশনে, ভাগ্য তুলে নবে নিজেদের হাতে---- ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।