পানি সংকট রোধে ব্যবহৃত পানি
পুনঃব্যবহার পদ্ধতি নিশ্চিত করা হোক
পানির ক্রমবর্ধমান সংকট রোধে দৈনন্দিন কাজে ব্যবহৃত পানিকে পুনঃব্যবহার নিশ্চিত করা প্রয়োজন। প্রতিটি বাড়ীতে পানির পুনঃব্যবহার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা সম্ভব হলে বিদ্যমান পানির সংকট ও অপচয় বহুলাংশে হ্রাস পাবে। তাই পানি সঙ্কট মোকাবিলা ও পানির যোগান নিশ্চিত করতে সকল প্রকার পানির উৎস নদী-নালা, খাল-বিল, পুকুর ও জলাশয়ের দূষণ প্রতিরোধ ও ভরাট বন্ধের উদ্যোগ গ্রহণ প্রয়োজন। আজ নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এবং ক্যাম্পেইন ফর ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন এর যৌথ উদ্যোগে সকাল ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার সম্মুখে পানির সংকট মোবাবেলায়-পানি পুনঃব্যবহারের প্রয়োজনীয় পদপে নিন অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা এই অভিমত ব্যক্ত করেন।
বক্তারা বলেন, প্রতিদিন বিপুল পরিমান পানি টয়লেট ও অন্যান্য কাজে ব্যবহার করা হয়, যা সুয়ারেজ লাইনের মাধ্যমে নদী-নালায় চলে যাচ্ছে।
টয়লেটের পানি ও দৈনিক অন্যান্য ব্যবহার্য পানি যদি পৃথক করা যায়, তবে দৈনিক ব্যবহার্য পানি প্রতিটি বাড়ীতে পুনঃব্যবহার করা সম্ভব। ফলে নতুন পানির চাহিদা বহুলাংশে হ্রাস পাবে এবং পানির অপচয় রোধ করবে। এ ল্েয অনতিবিলম্বে ইমারাত নির্মাণ বিধিমালা সংশোধন করে প্রতিটি বাড়ীতে পানি পুনঃব্যবহার নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
বক্তারা আরো বলেন, পানির চাহিদা মিটাতে ভূ-গর্ভস্থ পানির উপর নির্ভরশীলতা বাড়ছে। বর্তমানে সারা দেশে ৯৫% ভূ-গর্ভস্থ পানি ব্যবহৃত হচ্ছে।
কিন্তু প্রতিবছর ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর আশংকাজনক হারে নেমে যাচ্ছে। ফলে শুকনো মৌসুমে আমাদের দেশে সেচের জন্য পর্যাপ্ত পানি পাওয়া যায় না। এছাড়া অত্যধিক ভুগর্ভস্থ পানি উত্তোলন, বৃষ্টিহীনতা এবং খরার মাত্রা বৃদ্ধিতে পানির স্থর ভয়াবহ পরিমাণে নেমে যাচ্ছে। নদী-নালা, খাল-বিল ও জলাশয় দূষণ, ভরাট এবং নদী তীরবর্তী এলাকা দখল হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর যেভাবে রিচার্জ হওয়ার কথা তা হচ্ছে না। শহরের অধিকাংশ স্থানে ইট, বালু, সিমেন্টের আস্তর ভূ-গর্ভস্থ পানি প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করছে।
যা পানি সংকটকে বৃদ্ধি করছে।
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা ভু-গর্ভস্থ পানির ব্যবহার হ্রাস এবং ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার বৃদ্ধির ল্েয প্রয়োজনীয় নীতি ও পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং তার যথাযথ বাস্তবায়ন করা; ব্যবহৃত পানি পুনঃবব্যবহারে নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা; পানির উৎস হিসেবে নদ-নদী, খাল-বিল ও জলাশয় রা আইন বাস্তবায়ন করা; শিল্প-কারখানার, পয়ঃবর্জ্য এবং গৃহস্থালী বর্জ্য নদী বা জলাশয়ে ফেলা বন্ধ করা; নদী, খাল, বিলসহ যে কোন ধরনের জলাশয়কে পেছনে দিয়ে স্থাপনা বা পরিকল্পনা নিষিদ্ধের ল্েয প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়ন; পুকুর, দীঘি, খাল-বিল-নদীসহ যে কোন জলাশয় ভরাট বন্ধে কার্যকর পদপে গ্রহণ; বৃষ্টির পানি সংরণ ও ব্যবহারে ব্যবস্থা করতে হবে;শহর ও নগর এলাকায় নতুন করে পুকুর, জলাধার তৈরির সুপারিশ করেন।
ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টে সহকারি প্রকল্প কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান লিটুর সঞ্চালনায় এবং পিস এর মহাসচিব ইকমা হোসেন সভাপতিত্ব অবস্থান কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন সিটিজেনস রাইটস মুভমেন্ট এর মহাসচিব তুষার রেহমান, নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ইবনুল সাঈদ রানা, ক্যাম্পেইন ফর ডেভেলপমেন্ট এর চেয়ারম্যান মশিউর রহমান রুবেল, নীতিবিশ্লেষক এডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম, সদস্য ওয়াজেদ হিরা প্রমূখ। এছাড়া বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।