আনাড়ী রন্ধন শিল্পীর ব্লগ B-)। ব্লগের বাজে-মানহীন লেখাগুলোর মাস্টার পিস দেখতে চাইলে এই ব্লগারের পোষ্ট গুলো পড়ে দেখতে পারেন। কথা দিচ্ছি, নিরাশ হবেন না। B-)
আয়ারল্যান্ডের সাথে বাংলাদেশ ম্যাচের শেষ দিকের টান-টান উত্তেজানাপূর্ণ মূহূর্তে খেলা দেখে ভাবলাম খেলা দেখা ত আসলেই মজার! পরের ম্যাচ গুলো দেখতে হবে। জীবনের প্রথম টিভির সামনে ঘটাও করে বসলাম খেলা দেখতে(এর আগে কখনও খেলা দেখিনি ভাল লাগেনা বলে)।
বাংলাদেশ-ওয়েস্টইন্ডিজ ম্যাচ। কিন্তু টাইগারদের অবস্থা দেখে
শেষমেশ ৫৮ রানেই...... জীবনের স্মরনীয় খেলা দেখার স্মৃতি হয়ে থাকবে
দুঃখে...কি আর বলব। আম্মা বলে তুই যে খেলা দেখতে বসছস তাই
এ্যানী শুনেও একই কথা...বলে এর আগে কখনও বাংলাদেশ এমন ভাবে হারে নাই
কালকে এক বিয়ের দাওয়াত ছিল। খেয়ে সেই বাসায়ই এক আন্টির বাসায় কিছুক্ষন খেলা দেখে দৌড়ে বাসায় চলে আসলাম। বেশ মজা করেই দেখছিলাম।
প্রথমে আমি আম্মা আর ডালিয়া বসেছিলাম দেখতে। পরে আব্বাও এসে যোগ দিয়েছেন আমাদের সাথে। আব্বা অবশ্য দেখি এশার পর ঘুমিয়ে পড়েছেন
আমি মাঝখানে বিরতি দিয়ে দিয়ে দেখলেও শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত-ই দেখেছি। আঃ রাজ্জাক আউট হওয়ার পরে মনে হয় গ্যালারী থেকে কিছু মানুষ চলে গেছেন কিন্তু টাইগারদের চাঙ্গা রাখার জন্যে দর্শকের কোন কিছুর কমতি ছিল না।
শেষ মুহুর্তে ভেবেছিলাম জিতটা বুঝি আর এলো না।
কোন মতেই সম্ভব না। বসে বসে দোয়া করছি আর টাইগারদের হেরে যাওয়া দেখছি। মাঝে মাঝে চার মারলে আবার খুশীতে এমন ভাবে হাসি একান-ওকান হয়ে যেতো যে বড় বড় দাঁতগুলো কোন মতেই ঢেকে রাখতে পারিনি, অবশ্য চেষ্টাও করিনি
তবে শেষ মুহুর্তে শফিউল যা দেখালো.....সত্যিই এটাও স্মরনীয় খেলা দেখার স্মৃতি হয়ে থাকবে।
অ্যায়ারল্যান্ডের সাথের ম্যাচেও শফিউল যথেষ্ট ভাল খেলেছে, গতকালকেও। কিন্তু ম্যান অব দ্যা ম্যাচটা.....আামার মনে হয়েছে ওকে অপমান-ই করা হয়েছে!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।