কাঠাল পাতার দোকান।
মাঠে এসে কাল সাকিব আল হাসানের কাছে প্রথম শুনলেন খবরটা, ‘আপনি পরের ম্যাচে খেলছেন। ’ একটু পর নেটে ব্যাটিং করতে যাওয়ার সময় কোচ জেমি সিডন্সও ডেকে বললেন, ‘আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দলে আছ তুমি। ’ মোহাম্মদ আশরাফুল তাই ২৫ ফেব্রুয়ারির অপেক্ষায়। সব ঠিকঠাক থাকলে দেশের মাটির বিশ্বকাপে ওই দিনই খেলবেন প্রথম ম্যাচ।
১৯ ফেব্রুয়ারি ভারত ম্যাচের আগেও আশরাফুল ভালোভাবেই আলোচনায় ছিলেন। একটা পর্যায়ে তো এমনও শোনা গিয়েছিল, সাত নম্বরে নাঈম ইসলামের পরিবর্তে আশরাফুল থাকবেন একাদশে। শেষ পর্যন্ত সেটা না হলেও আয়ারল্যান্ড ম্যাচের দলে অন্তত এই পরিবর্তনটা নিশ্চিত। কে বাদ যাবেন—প্রশ্নে সিডন্সের চিন্তায় কাল পর্যন্ত ‘নাঈম কিংবা মাহমুদউল্লাহ’ ঘুরপাক খেলেও জানা গেছে, বাদ পড়তে যাওয়া ক্রিকেটারটির নাম নাঈম ইসলাম হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
আশরাফুল ও শাহরিয়ারকে সিডন্স আগেই বলে দিয়েছেন, বিশ্বকাপে তাঁরা দলের ব্যাকআপ খেলোয়াড়।
হঠাৎ জরুরি প্রয়োজনেই কেবল খেলার সুযোগ পাবেন। আশরাফুল যেমন এখন সুযোগ পাচ্ছেন মূলত পাওয়ার প্লের ব্যাটিংয়ের জন্য। সাত নম্বরে ব্যাটিং করবেন, এমনটাই তাঁকে জানানো হয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে।
আশরাফুলকে নিয়ে যে রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা হচ্ছে তাতে টিম ম্যানেজমেন্টের সুস্থ চিন্তার প্রকাশ ঘটছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গত হোম সিরিজে বাদ দেওয়ার পর জিম্বাবুয়ে সিরিজের আগে বলা হলো তাঁকে অন্তত প্রথম তিনটি ম্যাচে খেলানো হবে।
অথচ সুযোগ পেলেন কেবল প্রথম ম্যাচটাতে! কানাডার বিপক্ষে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাননি। পাকিস্তানের বিপক্ষে পরের ম্যাচে একটা চার মেরে আউট হয়ে গেলেও আউট হলেন খুব ভালো একটা বলে। চার রানের ওই ইনিংস দেখে আশরাফুলকে যাচাই করারও কোনো উপায় ছিল না। এ ছাড়া প্রস্তুতি ম্যাচ নিয়ে সিডন্সের দর্শন শুনেও মনে হচ্ছিল, আশরাফুল হয়তো বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচটা খেলছেন। হলো উল্টো।
একজন ব্যাটসম্যানকে যদি প্রতিটি ম্যাচের আগেই মনে করিয়ে দেওয়া হয়, ম্যাচটা তার জন্য হয়ে যেতে পারে শেষ পরীক্ষা, এই ম্যাচে ভালো না খেললে ভবিষ্যৎ অন্ধকার, সেটা চাপ হয়ে বসে যায় বৈকি! আশরাফুল এখন সেই চাপ নিয়েই খেলছেন, খেলবেন আয়ারল্যান্ড ম্যাচেও। প্রতিটি ম্যাচেই এখন তাঁর ওপর থাকছে নিজেকে প্রমাণ করার চাপ। অন্য ব্যাটসম্যানদের বেলায় নীতি যা-ই হোক, তাঁর একটা খারাপ ইনিংস যে কোচ থেকে শুরু করে সাধারণ দর্শক কেউই মেনে নেবে না, সেটা আশরাফুলও এখন জেনে গেছেন। কে জানে, হয়তো এ কারণেই পূর্ণদ্যুতিতে দেখা যাচ্ছে না তাঁর ব্যাটটাকে। নির্ভার ব্যাটিংয়ের জন্য তো আগে প্রয়োজন নির্ভার আশরাফুলকে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।