আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশের দুই জয়ের কারিগড় শফিউল ও অন্যান্য



শেষ পর্যন্ত ইংলেন্ড এর সাথে জিতে গেল বাংলাদেশ। দুর্বল হার্টের যে কারই হার্ট এর্টাক হওয়ার কথা এমন ম্যাচ দেখে। আমার টেনশান দেখে যেমন আমার বউ বলছিল, তোমাকে দেখব না খেলা দেখব! যাই হোক, শফিউলের ম্যান আব দ্যা ম্যাচ না হওয়াটা আমি কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছি না। কারণ শফিউল একটি উইকেট, একটি ক্যাচ ও ম্যাচ বাচান ২৪ বলে ২৪ রান না করলে, কখনই এই ম্যাচ বাংলাদেশের হতো না। আয়্যারল্যান্ডের সাথের ম্যাচেও শফিউল ওই সময়ে ৪ উইকেট নিয়ে জ্বলে না উঠলে বাংলাদেশ না জিতার সম্ভবনাই বেশী ছিল।

সবচেয়ে মজার ব্যাপার ম্যাচের পরপর শফিউল ধরেই নিয়েছিল, সে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হয়ে গেছে। তাই ম্যাচের পরপরই সাক্ষাতকারে বলেছিল, আমার প্রথম ইন্টারন্যাশনাল ম্যাচে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হওয়া!পরবর্তীতে সংবাদ সন্মেলনেও ম্যান অব দ্যা ম্যাচ না হওয়াতে দু:খ করেছিল। তামিম অবশ্য তার পুরুষ্কারটি শফিউলকে সেই ম্যাচের পর দিয়ে দিয়েছিল। আজ আবার শফিউলের মন ভাঙ্গল। এমনকি ইমরুল কায়েস বলেছে আমি ভেবেছি শফিউল পাবে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ।

এখন আমাকে দিলে কি করব!!! যাই হোক আমি আশা করছি পরের ম্যাচে আরও ভাল করে শফিউল ঠিক ম্যান অব দ্যা ম্যাচ আদায় করে নিবে। এবার আশি বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং ব্যর্থতা নিয়ে। আজ কাল হয়েছে ২টা রান আউট। যার জন্য দায়ী ম্যান অব দ্যা ম্যাচ ইমরুল কায়েস। জুনায়েদ ভাল ব্যাট করছিল।

বলও আসছিল তার ব্যাটে। কিন্তু ইমরুল কায়েসের জন্য রান আউট। পরে ইমরুল নিজেও নিজের ভুলে রান আউট হলো!ইমরুল রান আউটের পর কেউ এসে উচ্চাভিলাসী সর্ট খেলে আউট হলো। কেউ বা ভাল বলে। সাকিবের আউটটা দু:খ জনক।

ওই সময় সাকিব এমন সর্ট না খেললেও পাড়ত। সবচেয়ে বড় ব্যাপার সাকিব তখন সেট হয়ে গিয়েছিল। জয় না পেলে সাকিবকে এই কারণে ভাল সমালোচনা সহ্য করতে হতো। এবার এর বিশ্বকাপে দেখছি আমাদের ব্যাটিং বিশেষ করে মিডল ওর্ডার কেমন যেনো নড়বড়ে। পরের ম্যাচের আগেই এই ব্যাপারটা ভাবার অবকাশ আছে।

প্রয়োজনে শাহরিয়ার নাফিস কে দলে আনা জেতে পারে। কিন্তু সে ক্ষেত্রে বাদ কাকে দিবে?রকিবুল ছাড়া তো কাউকে দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু রকিবুলও তো মিডল অর্ডারে বাংলাদেশের ভরসার জায়গা। আমার অবশ্য মনে হয়েছে অনবশ্যক রান নেওয়ার জন্য তাড়াহুড়া ও উইকেট বুঝে ব্যাটিং না করা টাই কাল হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে টিম মিটিং এ এই বিষয়ে আলোচনা করলেই অনেকটা সমাধানের পথ রয়েছে।

এবার আসি আশরাফুল প্রসঙ্গে। আশরাফুলকে ২য় ম্যাচ থেকে প্রথম আলোর প্ররোচনায় খেলতে নেওয়া বিরাট ভুল হয়েছে। যা আজকের ম্যাচে রিয়াজের পারফরমেন্স এর পর প্রমাণ হলো। আশা করি এমন ভুল করার আগে পরের বার থেকে দ্বিতীয়বার চিন্তা করবে বাংলাদেশ দল। সব শেষে অসাধারণ এই জয়ের জন্য বাংলাদেশ দলের প্রতিটি খেলোয়াড়কে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন ১৬ কোটী মানুষকে!


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.