আফ্রিকা ২০১১
বর্তমার বিশ্বে এই মুহুর্তে সবচাইতে আলোচিত কিংবা আলোড়িত হলো আফ্রিকা মহাদেশ। হঠাৎ করে আফ্রিকা জুড়ে মানুষ এতো গনতন্ত্রকামী হয়ে উঠলো কেন ? বিদ্রোহের ঢেউ এ উত্তর পৃর্ব আফ্রিকা টাল মাটাল।
আফ্রিকা মহাদেশে যে কটি দেশ বিশ^ রাজনীতি অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলে তার মধ্যে মিশর ও লিবিয়া অন্যতম।
উত্তর পৃর্ব আফ্রিকা আজ জ্বলছে। কারা আফ্রিকার এই অঞ্চলের মানুষ গুলোকে প্তি করে তুলছে এর পিছনে ইন্ধন কে যোগাচ্ছে ? কাদের ম্বার্থ হাসিল করার জন্য বিশ্ব মিডিয়া সেই আগুনে ঘি ঢালছে ?
আমার ব্যক্তিগত মতামত হলো এর নেপথ্যের নায়ক হলো যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল।
এই সম্পকে আমার চিন্তাধারা গুলো এই রুপ । ইসরাইলের মুল উদ্দেশ্য হলো মধ্যপ্রাচ্যের নিয়ন্ত্রন নেয়া, যে পথে বিঘœ সৃষ্টি করছে ইরান।
অন্যদিকে মার্কিন অর্থনীতি নিম্মমুখি চীন, ভারত ক্রমশ: এগিয়ে আসছে, তাই যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্য হলো অর্থনীতির চালক হওয়া। আর এই ভেঙ্গেপড়া অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার উপায় হলো মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার আরব বিশ্ব। কাজেই দুই দেশের উদ্দেশ্য পূরনের ত্রে একটাই।
এই উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য তারা মুসলিম স¤প্রদায়ের একাংশকে জঙ্গীতে পরিনত করছে। এবং সেই জঙ্গীদের প্ররোচিত করছে শাশ্বত সমাজ ব্যবস্থাকে ভেঙ্গে রাষ্ট্র মতা গ্রহণ করার জন্য। ফলে রাষ্ট্রের মধ্যে অস্থিরতা, দাঙ্গা, হাঙ্গামার উদ্ভব হচ্ছে। এবং সেই সন্ত্রাস নির্মূলে হোয়াইট হাউজ মানবতা লংঘন হচ্ছে বলে জঙ্গী নিমূলে এগিয়ে আসে এবং শাসন মতা গ্রহন করে এবং পুতুল সরকার বসিয়ে ছায়া উপনিবেশ তৈরী করে,যেমনটি ঘটেছে ইরাকে ও আফগানিস্তানে।
এবার আসা যাক মিশরের ঘটনায়।
যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্য ছিল আফ্রিকার উত্তর পৃর্ব অঞ্চলে বিদ্রোহের ঢেউ তুলে সেই ঢেউ ইরানের উপর আছড়ে ফেলার, তাতে ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের উভয়ের স্বার্থ চরিতার্থ হয়। এই নাটক সংগঠিত করার জন্য সর্ব প্রথম মঞ্চে আনয়ন করলো তিউনেশিয়াকে সে তার ভুমিকা সুচারু রুপে করতে পেরেছে। এবং যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত নায়ক পদত্যাগ করে সে বিদ্রোহ সফল করে।
মূল খেলায় যাওয়ার আগে তারা আরো একটি প্যাকটিস ম্যাচ খেললো মিশরকে নিয়ে। মিশরের প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারক যুক্তরাষ্ট্রের একজন বিশ^স্ত এজেন্ট।
সেখানে যখন বিােভ শুরু হলো হোসনি মোবারক ক্রিড়ানকের মতো আচরণ করলো। আমেরিকার কথামত বলল সেপ্টেস্বরে মতা ছাড়বে। কিন্তু অন্ধ জনগন মানতে চাইলো না যুক্তরাষ্ট্র মোবারককে সরিয়ে তারই অনুগত সেনাবাহিনীর হাতে মতা দিলো তারাও কিন্তু মোবারকের এই কথাই কলল যে, সেপ্টেম্বরে নির্বাচন হবে। তথাকথিত সমর্থক তা মেনে নিলো। এই সময় ইরান মিশরের জনগনকে নৈতিক সমর্থন দিয়েছিলো এই কারনে যে, যুক্তরাষ্ট্রের ভূত্য মোবারকের অপসরণ ইরানও চেয়েছিলো।
মিশরের জনগনের প্রতি ইরানের সমর্থনকে যুক্তরাষ্ট্র আবার অন্যভাবে কাজে লাগাতে চেয়েছে। মুল খেলাটা এখানেই খেলতে চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল।
ইরানে যখন বিদ্রোহ শুরু হতে যাচ্ছিলো তখনই ইরান সরকার তা দমন করে কঠোর ভাবে। তখন যুক্তরাষ্ট্র বলে ইরান মিশরের গনতন্ত্রের আন্দোলনকে সমর্থন করে কিছু নিজের দেশে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বিশ্বাসী নয়। হাস্যকর বটে, যাই হোক ইরান যখন সফল হলো না তখন আমেরিকা নিজের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার জন্য পুনরায় উত্তর আফ্রিকায় যেখানে বিশাল তেল ভান্ডার নিজেদের করে নিতে পারে।
অর্থ্যাৎ তারা এবার লিবিয়াতে বিদ্রোহ শুরু করালো। এক নায়ক তার গাদ্দাফী সুবিদার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সুরে সুর মিলিয়েছিলো। প্রকৃতপে গাদ্দাফী এক জন সুবিদা বাদী নায়ক তবে পশ্চিম আফ্রিকা মধ্য আফ্রিকা তার বেশ জনপ্রিয়তা ও আছে। কাজেই গাদ্দাফীর সাথে যুক্তরাষ্ট্রের লড়াইটা বেশ রক্তয়ী রুপ নিলো।
হ্যাঁ গাদ্দাফী অবশ্যই মানবতা বিরোদী কাজ করেছে এতে কোন সন্দেহ নেই।
তবে সে করতে বাধ্য হচেছ যুক্তরাষ্ট্রের কারনেই আর যুক্তরাষ্ট্র সেই চির পরিচিত রুপে আর্বিভূত হতে চাচ্ছে লিবিয়াকে উদ্ধার করার জন্য তবে যুক্তরাষ্ট্রের এই উদ্দেশ্য কতটুকু সফল হবে চীন, জার্মান, ভেনিজুয়েলা বা কিউবার কারনে সেইটি দেখার বিষয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।