আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নারীরা নারী শত্রু!



৮ মার্চ ২০১১ শততম আন্তর্জাতিক নারী দিবস। নারীরা এগুচ্ছে সামনের দিকে। আমাদের দেশে নারীরা দিন দিন তাদের অধিকার ও মর্যাদা নিয়ে সচেতন হয়ে উঠছে। প্রতিবছর আমাদের দেশেও এই দিনটি পালিত হয়। ৮ মার্চ ১৯১১ সাল থেকে দিনটি আন্তর্জাতিকভাবে নারী দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।

নারী দিবসের আজকের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো 'নারী-পুরুষের সম সুযোগ সম অধিকার, দিন বদলের অগ্রযাত্রায় উন্নয়নের অঙ্গিকার'। শ্রমিক আন্দোলনের প্রেক্ষাপটকে সামনে রেকেই আন্তর্জাতিক নারী দিবসের সূচনা হয়। দিনে ৮ ঘন্টা কাজের দাবিতে ১৮৫৭ সালের ৮ মার্চ নিউইয়র্কে শ্রমিক আন্দোলন হয়। সেদিন নিউইয়র্কের সূচ কারখানার নারী শ্রমিকরা তাদের নায্য দাবি-দাওয়া নিয়া রাস্তায় নামে। তাদের আন্দোলনে লাঠিচার্জ ও গুলি চালানো হয়।

ইউরোপ-আমেরিকার শিল্পোন্নত দেশগুলিতে তখন ৮ ঘন্টার বেশি কাজ করতে হতো নারীদের। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯১০ সালে কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত হয় সমাজতান্ত্রিক নারী আন্দোলনের দ্বিতীয় সম্মেলন। সেখান থেকে ৮ মার্চকে নারী দিবস হিসাবে ঘোষণা করা হয়। ১৯৭২ সালে জাতিসংঘ এই দিনকে স্বীকৃতি দেয় তাদের সাধারণ সভার ৩০১০ নং সিদ্ধান্ত অনুযায়ী। জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৯৭৫ সালকে নারীবর্ষ হিসাবে ঘোষণা করা হয়।

আজকে এই দিনটিতে উঠে আসবে নানা আলোচনা পর্যালোচনা। অনেক প্রশ্নের সমাধানের জন্য শপথ নেয়া হবে। আশার কথা আমাদের দেশে আজ নারীরা দেশের উন্নয়নে নারী সমাজের উন্নয়নে এগিয়ে এসেছে। নারীরা আমাদের দেশে আজ অনেক অগ্রসর। কিছু বাধা প্রতিবন্ধকতা দূর করতে পারলে তারা আরো দ্রুত যথাযথ মর্যাদার সাথে এগিয়ে যেতে পারত।

তারা তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন। মর্যাদা সম্পর্কে সচেতন। তবে নারীরা তাদের মর্যাদা রক্ষায় নিজেরা কতটুকু সচেতন? নারীরা কি তাদের অমর্যাদা বা পণ্য হওয়ার বিষয়ে প্রতিবাদী? নারীর উন্নয়নের অন্তরায় ‌'নারীর ব্যবহার'। এই বিষয়টিকে কোনোভাবেই বলা হয় না। তারা জানে কোন কোন ভাবে নারীরা ব্যবহার হচ্ছে।

সেই সব ক্ষেত্রে তারা কতটুকু সোচ্চার? নারীর সাথে পর্দার কি সম্পর্ক যদি সেই বিতর্ক ওঠে সেখানেও তারা স্পষ্ট করে তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছে নিজেদের। পর্দা কি জিনিস, নারীদের সাথে কি পর্দার বিষয়টি জড়িত, না নারীদের সাথে পর্দার বিষয়টি উন্মুক্ত? এসব প্রশ্ন উঠলেই নারীরা তুলে ধরতে পারেনি তাদের এই জরুরি বিষয়টিকে। নারীরাই নিজেদের অনেক বিষয়েই বক্তব্য দেয় না। নারীরা নারীর শ্ত্রু না বন্ধু। নারীরা নারীদের প্রতি কেমন আচরণ করে।

এই প্রশ্নটি নারীর ক্ষমতায়ন, অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার প্রশ্নে আমাদের খুব ভালো করে ভাবা উচিত। দেশে দেশে, বিশেষত তৃতীয় বিশ্ব ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে নারীরা নানাভাবে সামনে উঠে আসছে। তবে এসব দেশেই তাদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের কাহিনী বেশি করে প্রচার হয়। এখানে নির্যাতনের একটি বড় কারণ হচ্চে এসব দেশে শিক্ষার হার তুলনামূলক ভাবে অনেক কম। নারীর মর্যাদার প্রশ্নে যথাযথ জ্ঞান কম।

নারীর সম্মান সম্পর্কে অজ্ঞতা। পশ্চিমা বিশ্ব ও উন্নত দেশগুলো নারী যে অধিকার ভোগ করে তা নারীদের অনেকখানি সামনে অগ্রসর হতে সাহায্য করে। তবে সেসব দেশে নারীরা যে রকম শারীরিক ও মানসিক হয়রানির শিকার হয় তার সবটুকু প্রকাশ পায় না। অবাধ মেলামেশা আর উন্মুক্ত জীবনের ভয়াবহ দিকটিও তারা বেশ ভালো করেই জানে। তবে এসব দেশ তৃতীয় বিশ্ব ও উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সব সময় গিনিপিগ হিসেবেই ব্যবহার করে থাকে।

নিজেদেরটা ঢেকে অন্যের দিকে নজর রাখাই এদের স্বভাব। তবুও তুলনামূলকভাবে আমাদের দেশে নারীরা যেভাবে এগিয়ে আসছে তা ইতিবাচক। কিন্তু মাঝেমধ্যে দুই একটি ঘটনা নারী নির্যাতন হিসেবে যেভাবে উঠে আসে তাতে গোটা নারীর ক্ষমতায়নের বিষয়টি বাধাগ্রস্ত হয়। নারীর অধিকার আদায়ের ক্ষেত্রে যে দিকটি অবহেলা করা হয় তা হলো নারীকে কিভাবে আমরা অধিকারের নামে ব্যবহার করছি। আমরা নারীকে ক্ষমতায়ন করতে চায়।

সবাই সচেতন। কিন্তু অন্তরায় হিসেবে কিছু দিককে তুলে আনা হয়। এর মধ্যে নির্যাতন অন্যতম। নারী যখন পণ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয় তখন পুরুষরাই নারীর পণ্য ও পুঁজিবাদের নাটাই হিসেবে ব্যবহারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়। অথচ দুর্ভাগ্য নারীরা নারীর পণ্য হিসেবে ব্যবহার করাতে প্রতিবাদী হয়ে ওঠে না।

যেটুকুই বা প্রতিবাদ হয় তাও আবার ক্ষীণকণ্ঠে। চাপা দিয়ে দেয়া হয় তা বিভিন্ন ভাবে। নারীরাই যদি প্রগতির নামে অপব্যবহার ও পুঁজিবাদের মুনাফার পণ্য না হওয়ার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতো তাহলে নারীরাই লাভবান হতো। এই দিকটিকে অন্ধকারে রেখেই নারীকে সামনে তুলে ধরছে বিশেষ গোষ্ঠী। নারীরা সংঘবদ্ধ হলে, নারী নির্যাতনও অনেকখানি সেক্ষেত্রে কমে আসতো।

একদিকে নারীকে ব্যবহার করা হচ্ছে অন্যেদেকে নারীকে উন্মুক্ত করে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে পণ্য হওয়ার জন্য। দুই বিপরীত প্রান্তের দূরত্ব কমছে না বাড়ছে। এই দিকটি সচেতন নারী সমাজ যদি উপেক্ষা করে তাহলে নারী নির্যাতন সমাজ থেকে কতদিনে কমবে বা বন্ধ হবে তা বলা যায় না। তারা নিজেদের উলঙ্গ ব্যবহারের বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিবাদী নয়। তারা পণ্য করার বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ করতে পারেনি।

নারীর নির্যাতনের জন্য অশ্লীলতা, বেহায়াপনা দায়ী। এই দিকটিকে যেমন ঢেকে রাখা হয়ে তেমনি এড়িয়েও চলা হয়। পুরুষরা যখন প্রগতির নামে নারীকে নিয়ে ব্যবসা করে সেখানেও নারীকে কতটুকু প্রতিবাদী হতে দেখা যায়। মাতৃত্ব আর মমত্ববোধের সর্বোৎকৃষ্ট মর্যাদায় আসীন নারী সমাজ তাদেরকে কলুষ-কালিমায় যুক্ত করার বিরুদ্ধে কতটুকু নিজেদের তুলে ধরতে পেরেছে। দায়বদ্ধতার নামে আংশিক বিষয় নিয়ে লাফালাফির ফল তো আংশিকই হয়।

উল্টো বাকিটুকুর অভাবে ফাঁকফোকর দিয়ে খারাপ উপাদান ভালোটুকুকেও নষ্ট করে দেয়। নারীর প্রকৃত মর্যাদা, অধিকার, মমত্ব, মাতৃত্ব এসব বিষয়কে বাস্তবে দূরে সরিয়ে রেখে নারীর ক্ষমতায়ন বাস্তবসম্মত হয় না। নারীর প্রকৃত অধিকার কি তাই তো অনেক ক্ষেত্রে নারীর পরিষ্কার করে তুলে ধরতে পারেনি, সচেতন করে তুলে ধরতে পারেনি। যে সব নারী নিজেদের ভোগ বিলাস, আরাম আয়েশ, আমোদ ফূর্তির জন্য নিজেদের নিয়োজিত রাখে তারা সুন্দর, সুস্থ, স্বাভাবিক নারী সমাজকে বিপদে ঠেলে দেয়। এরাই সুন্দরের বিরুদ্ধে যে শত্রুতায় লিপ্ত সে বিষয়ে কি নারী সমাজ সচেতন।

যারা ভালো চিন্তা ও মানসিকতা রাখে তাদের এই সকল নারীরাই তো বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখায়। নারীকেই নারীর বন্ধু হতে হবে। তারা যেন অপব্যবহার না হতে পারে সে বিষয়টি তাদের মধ্যে পরিষ্কার ধারণা থাকতে হবে। নারীকেই আগে নারীর বন্ধু হিসেবে এগিয়ে আসতে হবে। তাদের বুঝতে হবে কে তাদের শক্র কে তাদের বন্ধু।

পুরুষরা তাদের সাথে কেন বন্ধুত্বের হাত বাড়ায়, কতটুকু বাড়ায়, বাড়ায়, কিভাবে বাড়ায়, কেন বাড়ায়? এসব বিষয় তাদের জানতে হবে। এসব বিষয় তাদের সুষ্পষ্ট ধারণা দিয়ে অধিকারের বিষয়ে আরো সচেতন ভাবে এগিয়ে আসতে হবে। শত্রু-মিত্র, কর্মকাণ্ড, কর্মপ্রক্রিয়া, প্রগতি-অপ্রগতি, অন্তরা ইত্যাদি বিষয়কেই সামগ্রিক অর্থে নারী সমাজের উন্নয়নে বিশেষ বিবেচনার জন্য সামনে আনতে হবে। নারীর উন্নয়ন অগ্রগতির জন্য সবা নারীকেই সচেতন হতে হবে। না হলে তা একপেশে চিন্তার দ্বারা পরিচালিত হলে একপেশে সাফল্যই পাওয়া যাবে।

৮ শততম আন্তর্জাতিক নারী দিবস। নারীরা এগুচ্ছে সামনের দিকে। আমাদের দেশে নারীরা দিন দিন তাদের অধিকার ও মর্যাদা নিয়ে সচেতন হয়ে উঠছে। প্রতিবছর আমাদের দেশেও এই দিনটি পালিত হয়। ৮ মার্চ ১৯১১ সাল থেকে দিনটি আন্তর্জাতিকভাবে নারী দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।

নারী দিবসের আজকের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো 'নারী-পুরুষের সম সুযোগ সম অধিকার, দিন বদলের অগ্রযাত্রায় উন্নয়নের অঙ্গিকার'। শ্রমিক আন্দোলনের প্রেক্ষাপটকে সামনে রেকেই আন্তর্জাতিক নারী দিবসের সূচনা হয়। দিনে ৮ ঘন্টা কাজের দাবিতে ১৮৫৭ সালের ৮ মার্চ নিউইয়র্কে শ্রমিক আন্দোলন হয়। সেদিন নিউইয়র্কের সূচ কারখানার নারী শ্রমিকরা তাদের নায্য দাবি-দাওয়া নিয়া রাস্তায় নামে। তাদের আন্দোলনে লাঠিচার্জ ও গুলি চালানো হয়।

ইউরোপ-আমেরিকার শিল্পোন্নত দেশগুলিতে তখন ৮ ঘন্টার বেশি কাজ করতে হতো নারীদের। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯১০ সালে কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত হয় সমাজতান্ত্রিক নারী আন্দোলনের দ্বিতীয় সম্মেলন। সেখান থেকে ৮ মার্চকে নারী দিবস হিসাবে ঘোষণা করা হয়। ১৯৭২ সালে জাতিসংঘ এই দিনকে স্বীকৃতি দেয় তাদের সাধারণ সভার ৩০১০ নং সিদ্ধান্ত অনুযায়ী। জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৯৭৫ সালকে নারীবর্ষ হিসাবে ঘোষণা করা হয়।

আজকে এই দিনটিতে উঠে আসবে নানা আলোচনা পর্যালোচনা। অনেক প্রশ্নের সমাধানের জন্য শপথ নেয়া হবে। আশার কথা আমাদের দেশে আজ নারীরা দেশের উন্নয়নে নারী সমাজের উন্নয়নে এগিয়ে এসেছে। নারীরা আমাদের দেশে আজ অনেক অগ্রসর। কিছু বাধা প্রতিবন্ধকতা দূর করতে পারলে তারা আরো দ্রুত যথাযথ মর্যাদার সাথে এগিয়ে যেতে পারত।

তারা তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন। মর্যাদা সম্পর্কে সচেতন। তবে নারীরা তাদের মর্যাদা রক্ষায় নিজেরা কতটুকু সচেতন? নারীরা কি তাদের অমর্যাদা বা পণ্য হওয়ার বিষয়ে প্রতিবাদী? নারীর উন্নয়নের অন্তরায় ‌'নারীর ব্যবহার'। এই বিষয়টিকে কোনোভাবেই বলা হয় না। তারা জানে কোন কোন ভাবে নারীরা ব্যবহার হচ্ছে।

সেই সব ক্ষেত্রে তারা কতটুকু সোচ্চার? নারীর সাথে পর্দার কি সম্পর্ক যদি সেই বিতর্ক ওঠে সেখানেও তারা স্পষ্ট করে তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছে নিজেদের। পর্দা কি জিনিস, নারীদের সাথে কি পর্দার বিষয়টি জড়িত, না নারীদের সাথে পর্দার বিষয়টি উন্মুক্ত? এসব প্রশ্ন উঠলেই নারীরা তুলে ধরতে পারেনি তাদের এই জরুরি বিষয়টিকে। নারীরাই নিজেদের অনেক বিষয়েই বক্তব্য দেয় না। নারীরা নারীর শ্ত্রু না বন্ধু। নারীরা নারীদের প্রতি কেমন আচরণ করে।

এই প্রশ্নটি নারীর ক্ষমতায়ন, অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার প্রশ্নে আমাদের খুব ভালো করে ভাবা উচিত। দেশে দেশে, বিশেষত তৃতীয় বিশ্ব ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে নারীরা নানাভাবে সামনে উঠে আসছে। তবে এসব দেশেই তাদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের কাহিনী বেশি করে প্রচার হয়। এখানে নির্যাতনের একটি বড় কারণ হচ্চে এসব দেশে শিক্ষার হার তুলনামূলক ভাবে অনেক কম। নারীর মর্যাদার প্রশ্নে যথাযথ জ্ঞান কম।

নারীর সম্মান সম্পর্কে অজ্ঞতা। পশ্চিমা বিশ্ব ও উন্নত দেশগুলো নারী যে অধিকার ভোগ করে তা নারীদের অনেকখানি সামনে অগ্রসর হতে সাহায্য করে। তবে সেসব দেশে নারীরা যে রকম শারীরিক ও মানসিক হয়রানির শিকার হয় তার সবটুকু প্রকাশ পায় না। অবাধ মেলামেশা আর উন্মুক্ত জীবনের ভয়াবহ দিকটিও তারা বেশ ভালো করেই জানে। তবে এসব দেশ তৃতীয় বিশ্ব ও উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সব সময় গিনিপিগ হিসেবেই ব্যবহার করে থাকে।

নিজেদেরটা ঢেকে অন্যের দিকে নজর রাখাই এদের স্বভাব। তবুও তুলনামূলকভাবে আমাদের দেশে নারীরা যেভাবে এগিয়ে আসছে তা ইতিবাচক। কিন্তু মাঝেমধ্যে দুই একটি ঘটনা নারী নির্যাতন হিসেবে যেভাবে উঠে আসে তাতে গোটা নারীর ক্ষমতায়নের বিষয়টি বাধাগ্রস্ত হয়। নারীর অধিকার আদায়ের ক্ষেত্রে যে দিকটি অবহেলা করা হয় তা হলো নারীকে কিভাবে আমরা অধিকারের নামে ব্যবহার করছি। আমরা নারীকে ক্ষমতায়ন করতে চায়।

সবাই সচেতন। কিন্তু অন্তরায় হিসেবে কিছু দিককে তুলে আনা হয়। এর মধ্যে নির্যাতন অন্যতম। নারী যখন পণ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয় তখন পুরুষরাই নারীর পণ্য ও পুঁজিবাদের নাটাই হিসেবে ব্যবহারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়। অথচ দুর্ভাগ্য নারীরা নারীর পণ্য হিসেবে ব্যবহার করাতে প্রতিবাদী হয়ে ওঠে না।

যেটুকুই বা প্রতিবাদ হয় তাও আবার ক্ষীণকণ্ঠে। চাপা দিয়ে দেয়া হয় তা বিভিন্ন ভাবে। নারীরাই যদি প্রগতির নামে অপব্যবহার ও পুঁজিবাদের মুনাফার পণ্য না হওয়ার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতো তাহলে নারীরাই লাভবান হতো। এই দিকটিকে অন্ধকারে রেখেই নারীকে সামনে তুলে ধরছে বিশেষ গোষ্ঠী। নারীরা সংঘবদ্ধ হলে, নারী নির্যাতনও অনেকখানি সেক্ষেত্রে কমে আসতো।

একদিকে নারীকে ব্যবহার করা হচ্ছে অন্যেদেকে নারীকে উন্মুক্ত করে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে পণ্য হওয়ার জন্য। দুই বিপরীত প্রান্তের দূরত্ব কমছে না বাড়ছে। এই দিকটি সচেতন নারী সমাজ যদি উপেক্ষা করে তাহলে নারী নির্যাতন সমাজ থেকে কতদিনে কমবে বা বন্ধ হবে তা বলা যায় না। তারা নিজেদের উলঙ্গ ব্যবহারের বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিবাদী নয়। তারা পণ্য করার বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ করতে পারেনি।

নারীর নির্যাতনের জন্য অশ্লীলতা, বেহায়াপনা দায়ী। এই দিকটিকে যেমন ঢেকে রাখা হয়ে তেমনি এড়িয়েও চলা হয়। পুরুষরা যখন প্রগতির নামে নারীকে নিয়ে ব্যবসা করে সেখানেও নারীকে কতটুকু প্রতিবাদী হতে দেখা যায়। মাতৃত্ব আর মমত্ববোধের সর্বোৎকৃষ্ট মর্যাদায় আসীন নারী সমাজ তাদেরকে কলুষ-কালিমায় যুক্ত করার বিরুদ্ধে কতটুকু নিজেদের তুলে ধরতে পেরেছে। দায়বদ্ধতার নামে আংশিক বিষয় নিয়ে লাফালাফির ফল তো আংশিকই হয়।

উল্টো বাকিটুকুর অভাবে ফাঁকফোকর দিয়ে খারাপ উপাদান ভালোটুকুকেও নষ্ট করে দেয়। নারীর প্রকৃত মর্যাদা, অধিকার, মমত্ব, মাতৃত্ব এসব বিষয়কে বাস্তবে দূরে সরিয়ে রেখে নারীর ক্ষমতায়ন বাস্তবসম্মত হয় না। নারীর প্রকৃত অধিকার কি তাই তো অনেক ক্ষেত্রে নারীর পরিষ্কার করে তুলে ধরতে পারেনি, সচেতন করে তুলে ধরতে পারেনি। যে সব নারী নিজেদের ভোগ বিলাস, আরাম আয়েশ, আমোদ ফূর্তির জন্য নিজেদের নিয়োজিত রাখে তারা সুন্দর, সুস্থ, স্বাভাবিক নারী সমাজকে বিপদে ঠেলে দেয়। এরাই সুন্দরের বিরুদ্ধে যে শত্রুতায় লিপ্ত সে বিষয়ে কি নারী সমাজ সচেতন।

যারা ভালো চিন্তা ও মানসিকতা রাখে তাদের এই সকল নারীরাই তো বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখায়। নারীকেই নারীর বন্ধু হতে হবে। তারা যেন অপব্যবহার না হতে পারে সে বিষয়টি তাদের মধ্যে পরিষ্কার ধারণা থাকতে হবে। নারীকেই আগে নারীর বন্ধু হিসেবে এগিয়ে আসতে হবে। তাদের বুঝতে হবে কে তাদের শক্র কে তাদের বন্ধু।

পুরুষরা তাদের সাথে কেন বন্ধুত্বের হাত বাড়ায়, কতটুকু বাড়ায়, বাড়ায়, কিভাবে বাড়ায়, কেন বাড়ায়? এসব বিষয় তাদের জানতে হবে। এসব বিষয় তাদের সুষ্পষ্ট ধারণা দিয়ে অধিকারের বিষয়ে আরো সচেতন ভাবে এগিয়ে আসতে হবে। শত্রু-মিত্র, কর্মকাণ্ড, কর্মপ্রক্রিয়া, প্রগতি-অপ্রগতি, অন্তরা ইত্যাদি বিষয়কেই সামগ্রিক অর্থে নারী সমাজের উন্নয়নে বিশেষ বিবেচনার জন্য সামনে আনতে হবে। নারীর উন্নয়ন অগ্রগতির জন্য সবা নারীকেই সচেতন হতে হবে। না হলে তা একপেশে চিন্তার দ্বারা পরিচালিত হলে একপেশে সাফল্যই পাওয়া যাবে।

০৮। ০৩। ২০১১

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।