নিজে শিখি ও অপরকে জানাই
এক রাজা তার রাজ্যময় ঘোষণা করে দিলেন , যে ব্যক্তি তাকে আজব ঘটনা শুনাতে পারবে তার সাথে তিনি তার রূপবতী, গুণবতী রাজকন্যাকে বিয়ে দিবেন । সাথে আরও পাবেন অগাধ সম্পত্তি । ঘোষণা শুনে সবাই যেন চাঁদ হাতে পেল । রাজ্যের লোকের আপ্রাণ চেষ্টা কি করে রাজাকে হতবাক করা যায় ? তারা রাজাকে নানামুখী রুপকথার রহস্যময় গল্প শোনাতে লাগল কিন্তু কোন গল্পই রাজাকে অবাক করতে পারেনা, তিনি যে গল্পই শোনেন , বলেন এটা জানি বা এটা শুনেছি, এত অনেক পুরান ইত্যাদি ইত্যাদি । কেহই তাকে খুশি করতে পারল না, রাজ্য জুড়ে একথা রটে গেল ।
হঠাৎ এক রাখাল এল রাজাকে গল্প শোনাতে । অনেক গল্প শুনিয়েও যখন কোন কাজ হলনা তখন বলল আর কোন গল্প নয় এখন আপনার এখানে আসার সময় পথের মাঝে যা দেখেছি সেই ঘটনাটাই বলব । রাখাল বলল, পথের মাঝে দুইটা ঘর দেখতে পেলাম যার একটির মাঝে শত শত নারী কিন্তু কেউ কথা বলছে না! একদম নিসচুপ! সেখানে যেন কবরস্থানের নীরবতা বিরাজ করছে! অপর পক্ষে আরেকটা ঘরে শত শত পুরুষ কিন্তু কেউ চুপ নেই সবাই কলাহলে মত্ত । রাজা বললেন, হুম , এটা আজব গল্প বটে ! যেখানে দুইজন নারী একত্রিত হলে কথার ফুলঝুরি ফোটে সেখানে এক ঘর নারী অথচ কোন কথা নেই ! হ্যাঁ, তুমিই সেই ব্যক্তি যে আমার রাজকন্যাকে পাবার যোগ্যতম ।
আপনারা দেখে থাকবেন, ঘরে ছোট ছোট ইঁদুর,এলাকায় এদের হলুই বলে যাদের প্রথম ও প্রধান কাজ হল বিভিন্ন জিনিস কেটে কুটোকুটি করা ।
এটা আমাদের কাছে বিরক্তিকর হলেও এটাই তাদের জীবন বাঁচানর পথ । কেননা, তাদের দাঁত নিয়মিত বড় হয় ঠিক আমাদের নখ বা চুলের মত । আমরা নখ না কাটলে যেমন অনেক কাজে বিঘ্ন ঘটবে তেমনি তারা না কাটলে তাদের দাঁত বড় হয়ে না খেতে পেরে মারা যাবে । এজন্যই দিন কিবা রাত তারা ঐ কাজেই বেশি ব্যস্ত থাকে । বাঁচতে হবে তো !
এক সায়েন্স জার্নালে পড়লাম, পুরুষের চেয়ে নারীর ল্যারিনক্স বা স্বরযন্ত্র বা কণ্ঠনালী স্বাভাবিকভাবেই একটু উপরে ।
তারা নিরব থাকলে ঐ স্বরযন্ত্রে (যা থাইরয়েড গ্রন্থির উপরে অবস্থিত) সুড়সুড়ি লাগে কিন্তু কথা বললে আরামবোধ করে । এজন্যই পুরুষের চেয়ে বেশি কথা বলে তারা । অবশ্য এটা প্রায় অবচেতনভাবেই হয় বলে নারীরা ধরতে পারেনা ।
একটু লক্ষ্য করলে দেখবেন, আপনার প্রিয়জন সেটা হোক আপনার মা, বোন বা স্ত্রী যখন আপনার সাথে কথা বলে কথার মাঝে একটা কথা একাধিকবার বলে । যেমন – সকালে খেয়েছেন কিনা? শরীরের যত্ন নিচ্ছেন কিনা ? কি দিয়ে খেয়েছেন? কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা ইত্যাদি ।
পরিশেষে পুরুষদের জন্য কথা হল নারীদের এই গঠনকে মেনে নিয়েই আপনাকে চলতে হবে নইলে সংঘাত আসন্ন । আল্লাহ আপনাকে দুইটা কান দিয়েছেন বেশি শুনতে আর একটা মুখ দিয়েছেন কম বলতে । যে সংসারে শ্রোতা স্বামীর চেয়ে বক্তা স্বামী হয় সেখানে প্রতিদিন সকালে সংসদ বসে !
তাই আবারও বলছি, ভালো শ্রোতা হউন, সবার ভালোবাসা পাবেন জীবনে । বড়দের ভালোবাসা লাভের পন্থা এটাই । আপনার দাদু আপনাকে বেশি ভালবাসে কারন আপনি তার কথা বেশি শোনেন বলে।
যদিও, আমরা খুব কম লোকই ঠিকমত শুনি বা শুনতে পছন্দ করি । আমরা কেন জানি লেকচার মারতে বেশি পছন্দ করি , শুনতে নয় । একারণেই শোনাশুনির অভাবে হাতাহাতি হয় !
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।