কি এমন লিখেছিলেন সাকিব যে আগামিতে তার কলাম লেখার উপরই নিষেধ করে দেয়া হলো???? গণতান্তিক এই দেশে সাকিব কি তার মনের কথাগুলাও খুলে বলতে পারবেন না??? হতে পারে যে তার ব্যক্তব্য অসার এবং বিতর্কিত কিন্তু লেখনির জবাবতো লেখার মাধ্যমেই দেয়া শ্রেয়। তার লেখাতে যদি কেউ আহত হন বা মানহানি ঘটে থাকে তবে এর জন্য তিনিও তার পাল্টা বক্তব্য তুলে ধরতে পারতেন। তা না করে কেন প্রশাসনিক ক্ষমতার বহি:প্রকাশ ঘটানো হলো??? এর আগে আমরা সিরিজ চলার সময়ই অধিনায়ক হিসেবে সুমন, আশরাফুল এবং মাশরাফির কলাম পরেছি কই তখনতো কোন সমস্যা হয়নি। নাকি তারা জানতেন কিভাবে সত্যকে ধামাচামা দিয়ে উপরওলাকে সন্তুষ্ট করে লিখতে হয় যা সাকিবের অজানা। যদি বিসিবি সেই রকম লেখাই সাকিবের থেকে আশা করে থাকে তাহলে আমি বলবো সেমন লেখা যাতে সাকিব নাই লিখে।
এর চেয়ে কলম বিরতিই শ্রেয়।
পাঠকদের কাছে দ্রুতই দারুণ জনপ্রিয় হয়ে ওঠা সাকিব আল হাসানের কলাম এই বিশ্বকাপে আর না-ও পৌঁছাতে পারে পাঠকদের কাছে। বাংলাদেশ দলের অধিনায়কের একান্ত আবেগ আর অনুভূতির কথাগুলোও অন্তত তাঁর কলাম থেকে জানার উপায় হয়তো থাকছে না। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) বিশ্বকাপ চলার সময় দলের ১৫ ক্রিকেটারকে আর কলাম না লেখার নির্দেশ দিয়েছে, আর সেটি আজ সোমবার তাঁদের জানিয়ে দিয়েছেন মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।
বিসিবি কেন এই সিদ্ধান্ত নিল সেটি ব্যাখ্যা করা হয়নি।
ধারণা করা হচ্ছে, পরশু প্রথম আলোর প্রথম পাতায় ‘এখনো সব শেষ হয়ে যায়নি’ শিরোনামের কলামটি প্রকাশিত হওয়ার প্রেক্ষাপটেই এই সিদ্ধান্ত।
সাকিবের কলাম প্রথম আলোর সর্বাধিক পঠিত খবর হিসেবে বরাবরই শীর্ষে থাকে। পরশুর কলামটিতেই যেমন প্রকাশযোগ্য মন্তব্য আছে ১৯২টি। যে মন্তব্যগুলোয় সিংহভাগ পাঠকই সাকিবের লেখনীর প্রশংসা করে সহমত প্রকাশ করেছেন। ক্রিকেটারদের সঙ্গে বোর্ডের চুক্তিতেও কলাম লেখা প্রসঙ্গে কোনো শর্ত নেই।
খবরের সোর্স
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।