বেশিরভাগ কাজ অসম্পূর্ণ রেখেই সোমবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের স্বাধীনতাস্তম্ভটি উদ্বোধন করা হয়েছে। প্রায় একযুগ ধরে আটকে থাকা প্রকল্পটি পুরোপুরি শেষ হতে আরো ১ বছরেরও বেশি সময় লাগবে। এছাড়া মূল স্তম্ভটি নির্মাণের কাজ এখনো শুরুই হয়নি।
আওয়ামী লীগের গত শাসনামলে ১৯৯৮ সালে এক সময়ের রেসকোর্স ময়দান অর্থাৎ বর্তমানের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের একাংশে স্বাধীনতাস্তম্ভ নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। চারদলীয় জোট সরকারের পুরো সময়টাতে এ প্রকল্পের কাজ থমকে থাকে।
পরে বর্তমান সরকারের সময়ে এসে বাড়তি প্রায় ১৬৫ কোটি টাকা বরাদ্দ নিয়ে আবার কাজ শুরু হয়। তবে এবারও কাজে ধীরগতি দেখা দেয়।
প্রকল্প বাস্তবায়নকারী মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও গণপূর্ত অধিদপ্তর বলছে, ৬০% কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
তবে খাতা-কলমে যা শেষ, বাস্তবে তা অনেকটাই অসম্পূর্ণ। স্বাধীনতাস্তম্ভের মূল আকর্ষণ ১৫০ ফুট উঁচু কাঁচের স্তম্ভটিই এখনো নির্মিত হয়নি।
এছাড়া ওয়ার্কওয়ের কাজও বাকি রয়েছে।
এ অবস্থাতেই সোমবার এটি উদ্বোধনের পর সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে
স্বাধীনতাস্তম্ভে নির্মিত ভূগর্ভস্থ জাদুঘরটিও খুলে দেয়া হয়েছে।
তবে এখনো মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক কোনো ভুক্তি এখানে স্থান পায়নি। এর দেয়ালগুলো আপাতত কিছু আলোকচিত্র দিয়ে সাজানো হয়েছে।
অনুষ্ঠান শেষে একটি নতুন শিশুপার্ক তৈরির পরিকল্পনার কথা জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একটি নতুন শিশুপার্ক তৈরি করে বর্তমান শিশু পার্কটি বন্ধ করে দেয়া হবে।
এর আগে স্বাধীনতাস্তম্ভ নিয়ে প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০ জানুয়ারি এ প্রকল্পের বিশেষজ্ঞ কমিটির ৬ সদস্য পদত্যাগ করেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।