আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

৫০০০ কোটি টাকায় কমছে কম ১২৫ কোটি কেজি মোটা চাল পাওয়া যায়। ক্যাসিনো খেললে তাতে কি পাওয়া যায়?

নৌকা আর ধানের শীষে ভোট দিয়ে সোনার বাংলার খোয়াব দেখা আর মান্দার গাছ লাগিয়ে জলপাইর আশা করা একই! বিস্ময়ের ব্যাপার হল দিনের পর দিন আমরা তাই করছি!!
সরকার আরেকটি গাঁজাখুড়ি, স্বৈরাচারী ও বেইনসাফী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আইসিবির নেতৃত্বে সোনালী, জনতা ...বিডিবি ইত্যাদি আধা বা পুরা 'দেউলিয়া' প্রতিস্টানকে বলেছে ৫০০০ কোটি টাকার ফান্ড গঠন করে তার আধাটা শেয়ার বাজারে, আধাটা মানিমার্কেটে খাটাতে। গালভরা একটা নামও ইতোমধ্যে স্থির হয়েছে 'বাংলাদেশ ফান্ড। ' খোলাসা করে বললে বলা যায়, পরিকল্পিত/অপরিকল্পিত নানান কারণে ৩০০০ টাকার কিছু মুলা গত ছ মাসে ৮০০০ টাকায় উঠেছে। চালাক চতুররা চুড়ার মগডালে মুলাগুলা বিক্রি করে ভেগে গেছে।

আর তারপর ক্রমস এটার পতন ঘটেছে। এখন ৫০০০ এর চক্করে ঘুরপাক খাচ্ছে। অনিবার্য কারণেই শত শত মুলাব্যাপারী এতে লাভ করেছে, আর হাজার হাজার করেছে লস। তারা হতাশ। বিমর্ষ।

মিছিল করছে। খবরের জন্য সদা হা-পিত্যেশ করা টিভি চ্যানেলগুলো তা গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করছে এবং সন্ধ্যা নামতে না নামতে জ্বালাময়ী টক-শো শুরু হচ্ছে। সম্ভবত: নীতিনির্ধারক মহল এতে বিচলিত। জনরোষ ঠেকানো ও সামনের ইলেকশনে নিজেদের মূল্যবান পশ্চাৎদেশ রক্ষারজন্য কিছু একটা করা যায় কিনা......গোছের একটা কাজ করেছে। এবং সেটা হল আমার আপনার কস্টার্জিত আয়ের ভাগ বা ট্যাক্সের টাকা থেকে এতগুলো টাকা 'পানিতে' ঢালার মিশনে নেমেছে।

আমরা এটার নিন্দা করি। দরকার হলে হাইকোর্টে রীট করা যায় কিনা তাও ভাবছি। কেননা সরকারকে মানুষ ট্যাক্স দেয় গরীব মানুষের উন্নয়ন ও সামগ্রিক কল্যানমূলক কাজের জন্য। শেয়ার ব্যবসা করার জন্য না! বলা হয়েছে, স্ব স্ব ব্যংকগুলোকে (জনতা, সোনালী, শিল্প..) নিজেদের বোর্ডে তা পাশ করে সরকারের 'সম্মতি' নিতে। অর্থাৎ বুঝাই গেল, এসব সাক্ষীগোপাল বোর্ড ও ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের ক্ষমতা।

বাংলাদেশে এক অদ্ভুৎ বস্তু চালু হয়েছে সরকারী মালিকানাধীন কোম্পানি। এসব কম্পানির ১০০% মালিকানা সরকারের। আর যদু, মদু রাম, সাম যে কাউকে সরকার তার প্রতিনিধি হিসেবে পাঠায়। গোড়ায় গলদ বিধায় এরা কোন কাজ পারেওনা, পারলেও করেনা! আর দিনান্তে ইত্যাকার মাথাভারি, চোর ছ্যাচ্ছড়ে ভর্তি, লোকসানী এসব কোম্পানির পুঁজি আসে ঐ রাজস্ব থেকেই। যা আমার আপনার পকেট থেকে কেটে নেয়া! পয়সার যোগানদার জনগণ টেরও পায়না- তার অর্থ কোন গর্তে পড়ে! তেমনি একটি প্রতিস্টান বাংলাদেশ শিল্প ব্যাংক ও শিল্প ঋন সংস্থা।

উদ্যোগ নিবে জনতা, টাকা দিবে সরকার এ মূলমন্ত্র থেকে এ দুটি মৃত গাধার জন্ম। ঠিকই কিছু চতুর জনতা উদোগ নিয়েছ, যথেস্ট টাকা সরকার থেকে তা মেরেও দিয়েছে, দোকানদার থেকে সিআইপি শিল্পপতি হয়েছে। আর ঐ সংস্থা দুটি ঢাকা শহরে দুটি উচুঁ বিল্ডিং করে ফ্লোর ভাড়া দিচ্ছে। বেচে থাকার সর্বশেষ অবলম্বন হিসেবে। এহেন রুগ্ন ব্যাংক নাকি শেয়ার ব্যবসায় টাকা খাটাবে।

যাহোক ফি বছর সরকার তথা জনগন থেকে টাকা 'ভিখ' মাগা এসব আর্থিক প্রতিস্টানের যত দ্রুত অবসায়ন হয় ততই জাতির মংগল। নীতিগত ভাবে শেয়ারবাজার পূঁজিবাজার। কারো পূঁজির আকাল পড়লে এ বাজার থেকে বিনাসুদে, কখনোই ফেরৎ না দেয়ার 'মহা সুবিধা'য় তা সংগ্রহ করতে পারে। আলহামদুলিল্লাহ বাংলাদেশ পূঁজির যোগানদাতার ভীড়ে হিমসিম খাচ্ছে। এদের মাত্রাতিরিক্ত ভীড়েই বাজারের এ দশা! সরকারের কাজ নীতি, আইন প্রনয়ন ও বাস্তবায়নের মধ্যেই সীমিত থাকার কথা।

তার সীমা ডিঙিয়ে ব্যবসায় নামতে চাওয়া অন্যায়। ইনফেক্ট তজ্জন্য তাদের রেফারেন্ডাম নেয়া উচিৎ। সম্প্রতি শেয়ারবাজারে সূচক ধ্বস হয়নি, হয়েছিল বল্গাহীন উল্থান। সুতরাং কিলিয়ে কাঠাঁল পাকার মত বা বেলুনে আবারো বাতাস দেয়ার মত এসব বাড়তি টাকা বিনিয়োগ ঐ বল্গাহীনতাকেই আস্কারা দেয়া!!!
 


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.