আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জয়ের স্বাদ পেতে মরিয়া কেনিয়া-কানাডা

প্রতিটা মানুষেরই জীবনের কোনো না কোনো সময়ে একবারের জন্য হলেও পাখি হওয়ার ইচ্ছে জাগে। ‘পাখি যদি হতাম আমি, ঘুরতাম সারা বিশ্ব রে!’ -ছড়াকাররা এমন করে পাখি হওয়ার বাসনা প্রকাশ করেছেন। সে বাসনা ছড়িয়ে গেছে আমাদের প্রাণেও। পাখি হয়ে সারা বিশ্ব ঘুরে দেখার বাসনা থেকেই

চলছে দশম বিশ্বকাপ। আজ মুখোমুখি এ-গ্রুপের দুটো দল।

উপমহাদেশে তো বটেই পুরো বিশ্বেই দল দুটোর ম্যাচ নিয়ে তেমন আগ্রহ থাকার কথা নয়। আইসিসির সহযোগী দুদেশের মুখোমুখি ক্রিকেট লড়াই কোনো উত্তেজনার বার্তা কিংবা বিশেষ কোনো গুরুত্ব বহন করে না ক্রিকেটের সর্বোচ্চ পর্যায়ে বিচরণকারীদের কাছে। অথচ আজকের মুখোমুখি দুদল কেনিয়া-কানাডার কাছে ম্যাচটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ এবং উত্তেজনাকর। সেই সঙ্গে মুখোমুখি লড়াইয়ে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণেরও তাগাদা থাকছে দুদলের। দশম বিশ্বকাপে দুদলই খেলছে যাচ্ছেতাই ক্রিকেট।

কানাডা তবু পাকিস্তানকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল, কিন্তু কেনিয়ার পারফরমেন্স দেখে মনে হচ্ছে যেন ক্রিকেট খেলাতে তাদের কোনো আগ্রহ নেই। কানাডা দলটি অনেক পুরোনো। ইতিহাসের দ্বিতীয় বিশ্বকাপেই অংশগ্রহণ ছিল তাদের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেই শুরু কানাডার। অথচ দলটা এখনো অপেশাদার।

বহুজাতিক ক্রিকেটারে ভরা এক দল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটও খেলেছে খুবই স্বল্প। বিশ্বকাপে তাদের সাফল্য একটিই। এবং সেটা নিয়ে গর্ব করতে পারে তারা। ২০০৩-এ বাংলাদেশকে ৬০ রানে হারিয়ে বিশ্বকাপে প্রথম জয়ের স্বাদ পেয়েছিল তারা।

এখন পর্যন্ত একমাত্র জয়ের সে স্বাদে নতুন স্বাদ যোগ হতে পারত গত ম্যাচে পাকিস্তানকে হারাতে পারলে। আফ্রিদির অতিমানব হয়ে ওঠার কারণে সে স্বাদ গ্রহণ থেকে বঞ্চিত হয়েছে কানাডা। আজ আবার সুযোগ সামনে। কেনিয়ার বিপক্ষে জিতে বিশ্বকাপে দীর্ঘদিনের জয় খরা কাটাতে চায় কানাডা। পাকিস্তানের বিপক্ষে পারফরমেন্স বাড়তি প্রেরণা ও বিশ্বাস যোগাচ্ছে উত্তর আমেরিকার এ দলটিকে।

১৯৯৬-এ বিশ্বকাপে প্রথম অংশগ্রহণ করেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছিল কেনিয়া। অল্প কিছুদিনের ভেতরেই বেশ সমীহ জাগানিয়া দলে পরিণত হয়েছিল কেনিয়া। ২০০৩ বিশ্বকাপে এক পা দু পা করে পৌঁছে গিয়েছেল সেমিফাইনালে। ক্রিকেট বিশ্বে নতুন চমক হিসেবে আবির্ভূত কেনিয়া ২০০৩ বিশ্বকাপের পর থেকে একটু একটু করে হারিয়ে যেতে যেতে এখন সেই কেনিয়া বিশ্ব ক্রিকেটের রুগ্নতম সদস্য। কেনিয়ার ক্রিকেটের অপার সম্ভাবনা থাকলেও সে দেশের ক্রিকেটে এখনো আসে নি পেশাদারিত্ব।

সঙ্গে সরকারের বিশেষ নজর না থাকায় কেনিয়ার ক্রিকেট আজ অতল গর্ভে বিলীন হবার আশঙ্কায়। এসব কিছু নিয়ে আজ মোটেও মাখা ঘামাতে চান না কামান্ডে বাহিনী। আজ জিতে উচ্ছ্বাসে মেতে উঠতে চায় আফ্রিকানরা। দুদলের জন্যই ম্যাচটা গুরুত্বর্পূ। এ-গ্রুপে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে অবস্থান দুদলের।

নেট রানরেটে কানাডার অবস্থান কেনিয়ার উপরে। কানাডা ম্যাচটা জিতে কেনিয়ার উপরেই নিজেদের রাখতে চায়। আর কেনিয়া চায় নিজেদের একধাপ উপরে তুলে নিতে। ম্যাচটা তাই বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। দুদলের মুখোমুখি লড়াইয়ে অবশ্য এগিয়ে আছে কেনিয়া।

১২ ম্যাচের লড়াইয়ে কেনিয়ার জয় ৭টিতে আর কানাডার ৪টিতে। অপর ম্যাচটি পরিত্যক্ত। এ পরিসংখ্যান অবশ্য তেমন কোনো পার্থক্য নির্দেশ করে না। সম পর্যায়ের লড়াই-ই হবে দুদলের। আজ নিজের সমর্থ্যের প্রয়োগ যে দল যত বেশি করতে পারবে ম্যাচ শেষে জয়ের উল্লাসে মেতে উঠবে তারাই।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.