পত্রিকার সংবাদ। আরডিএর কোষাধ্যক্ষ বহু কোটি টাকা আত্নসাত করে স¤প্রতি গোপনে দু’কোটি টাকা ফেরত দিয়েছে। যার কাছে ফেরত দিয়েছে সে দয়া পরবশ হয়ে পুলিশকে জানায়নি। স্পষ্টতই এ বিপুল পরিমান টাকা আত্নসাত অন্যদের যোগসাজসে করা হয়েছে। এর মানে হচ্ছে আত্নসাতের এ ঘটনায় জড়িত চোরের সংখ্যা একাধিক।
দূর্নীতিতে সারা দেশ ছেয়ে গেছে। পত্রপত্রিকার পাতা খূললে সেটা বুঝা যায়। নিজের জীবনের অভিজ্ঞতায় সেটা জানা যায়। দেশে এমন কজন লোক আছেন যারা জাতিকে পথ প্রদর্শন করবেন, করছেন অথচ সত্য বা মিথ্যা যাই হোক না কেন তাদের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ নেই। হাজার হাজার কোটি টাকা দেশে থেকে বিদেশে পাচারের অভিযোগও রয়েছে কোন কোন লোকের বিরুদ্ধে।
এটা নিশ্চিত যে এ ধরনের অভিযুক্তদের বেশিরভাগই কোন না কোনভাবে আর্থিক দূর্নীতিতে জড়িত। এছাড়া গুরুজনদের পদাংক অনুসরন করে সাধারন পেশাজীবী, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, চাটার দল এবং যেখানে যার সুযোগ আছে সেখানেই তারা নানারকমের দূর্নীতি করে যাচ্ছেন এবং যেহেতু এরা পদাংক অনুসরনকারী সুতরাং তাদের হেফাজতের দায়িত্ব পদাংক ধারনকারীরা নেবেন এতে আশ্চর্যের কিছু নেই। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বছরে একটা রিপোর্ট বের করে আরামের নিশ্বাস ফেলেন। প্রকৃতপক্ষে তাদের করার কিছু নেই। তারা ঠুটো জগন্নাথের মত।
আমার কষ্টের কারন হচ্ছে এসব চোর ছ্যাচোড়দের থাকা খাওয়ার খরচের আমাদের ক্ষুদ্র আয় হতে বহন করতে হয়। এরা যারা দিনকয়েকের জন্য জেলখানায় যান, খাওয়া দাওয়া করেন, চিকিৎসা সুবিধা পান তাদের এইসব খরচ আমি বা আমরা কেন বহন করব?
এবিষয়ে আমার একটা প্রস্তাব আছে। যারা প্রমাণিত চোর ছ্যাচোড় এবং নানারকমের অপকর্মের কারনে জেলে রয়েছে, বংগবন্ধু আন্তর্জাতিক মিলনায়তনে তাদের জন্য একটা সমাবর্তন উৎসব করা হোক এবং সেখানে কৃতকর্মের শ্রেণী মোতাবেক তাদেরকে সনদপত্র দেওয়া হোক। এখানে একটা শর্ত থাকবে যে এই সনদপত্র সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বাসায় সহজে দেখা যায় এমন জায়গায় রাখতে হবে, যাতে তাদের সন্তানসন্ততি, আত্নীয়স্বজন এবং যারা তাদের বাড়িতে আসবেন তারা যেন সহজে সেটা দেখতে পান এবং জানতে পারেন যে এই লোকটি জাতীয় চোর।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।