মানসিক চাপে ভোগেন না এমন কোনো মানুষ নেই। কিন্তু অনেকেই এই চাপ মোকাবিলা করতে পারেন না। এর প্রভাব ফেলে শরীরে ও মনে, দেখা দেয় নানা রোগ। তাই মানসিক চাপে বা টেনশনে পড়লে দ্রুত তা থেকে বের হয়ে আসার চেষ্টা করুন। এ ক্ষেত্রে নিচের পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করতে পারেন:
১. লম্বা করে শ্বাস নিন নাক দিয়ে, কয়েক সেকেন্ড ধরে রাখুন, শ্বাস ছাড়ুন মুখ দিয়ে।
প্রশ্বাসের সময় তলপেট প্রসারিত করুন। চোখ বন্ধ করে এ পদ্ধতি প্রয়োগ করুন, অনেকটা স্বস্তি অনুভব করবেন। রক্তচাপ কমবে, পেশি বিশ্রাম পাবে, উদ্বেগ-দুশ্চিন্তা প্রশমিত হবে।
২. মন ভালো করার অন্যতম কার্যকর উপায় হচ্ছে প্রিয় গানে মগ্ন হওয়া। তা ক্লাসিক, রবীন্দ্র, নজরুল, আধুনিক, ব্যান্ড বা সিনেমার গান যেকোনো কিছুই হতে পারে।
৩. বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে আড্ডা দিন। বেড়াতে যান বন্ধু বা আত্মীয়স্বজনের বাসায়। স্থানের পরিবর্তন মনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
৪. সুনিদ্রা মানসিক চাপ কমিয়ে দেয়। ঘুম না এলে গল্পের বই পড়তে পড়তে বা গান শুনতে শুনতে ঘুমান।
তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ইচ্ছেমতো ঘুমের ওষুধ খাবেন না।
৫. শুধু শরীর সুস্থ রাখাই নয়, ব্যায়াম মানসিক চাপ কমাতেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।
৬. মানসিক চাপে থাকলে অনেকেই ঝুঁকে পড়েন মাদকের দিকে। এতে কোনো উপকারই হয় না বরং শারীরিক ও মানসিক স্থায়ী ক্ষতি হয়। তাই ধূমপান ও মাদককে ‘না’ বলুন।
মানসিক চাপে শরীরের ক্ষতি
মাথা
খিটখিটে মেজাজ, মনঃসংযোগের ঘাটতি, অনিদ্রা
ত্বক
ত্বকের নানা সমস্যা, যেমন: ব্রণ
হাড়ের সংযোগস্থল ও মাংসপেশি
যন্ত্রণা, চাপ ও হাড়ক্ষয়
হূৎপিণ্ড
রক্তচাপ, হূদ্স্পন্দন ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে
পাকস্থলী
পেটব্যথা, বমিভাব ও ওজনের ওঠানামা
অন্ত্র
বদহজম, ডায়রিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য
(সংগৃহীত) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।