অনুবাদ করতে ভালবাসী । তবে অনুবাদে ভাত আছে বলে মনে হয় না। facebook ও Mail এ আমি ঃ-sampad1987@yahoo.com
ভেবে বলুনত আমরা আমাদের এই পৃথিবীকে কততুকু জানি? উত্তর ঃ- অনেক কিছুই জানি না। খোদা তালা আমাদের এই পৃথিবীটাকে কত সুন্দর ভাবেই না সাজিয়েছেন, তার বর্ননা কি কখনো দেয়া সম্ভব? আজ আপনাদের নিয়ে যাচ্ছি আফ্রিকা মহাদেশের এমন সব রহস্যময় জায়গায় যেগুলো দেখার পর আপনারা কিছুসময়ের জন্য বিস্বয়ে হাড়িয়ে যাবেন।
জ্বীনি(djini) মসজিদ , মালিঃ-
শুধু আফ্রিকায় নয় সারা বিশ্বে যতগুলো মাটি নির্মিত প্রাচীন মসজিদ রয়েছে তাদের মদ্ধে সবচেয়ে বড়,সুন্দর ও গুরুত্বপুর্ন হল এই মসজিদ ।
হ্যা এই জ্বিনি মসজিদটি কাদামাটির ইট দিয়ে নির্মিত একটি মসজিদ, কাদামাটি দিয়ে নির্মিত হলেও এই মসজিদ যে কত সুন্দর তা এই সামান্য বর্ননা বা একটি ছবি দিয়ে প্রকাশ করা যাবেনা। সুদানিয় সাহেলিয়ান সংস্কৃতির স্তাপত্যশিল্পের অনন্য সুন্দর নিদর্শন এই মসজিদ কে দেখতে হলে আপনাদের যেতে হবে মালিতে। এটি মালির সবচেয়ে প্রাচীন নগরী জ্বিনীতে অবস্থিত। এই মসজিদটি সর্বপ্রথম স্থাপন করা হয় ১২০০ সালে। স্থাপনের সময়ে এর আকৃতি এমন ছিলনা।
তার পর বিভিন্ন সময় এর সংস্কার করা হয় । এর সবচেয়ে ব্যাপক সংস্কারটী সাধন করা হয় ১৯০৭ সালের দিকে। যাইহোক বর্তমানে এই মসজিদ টি এতই সংরক্ষিত যে অমুসলিমরা এই ভিতরে প্রবেশ করতে পারেনা। এর কারনও আছে, ১৯৯৬ সালের দিকে একজন ফ্রেঞ্চ মসজিদের পাশে কিছু অস্লিল ফোটোসেসন করে যা পরবর্তিতে ধর্মীয় নেতাদের প্রবল সমালোচনার মুখে পরে। তার পর অমুস্লিমদের এর ভিতরে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়।
তবে অমুস্লিম পর্যটকরা বাহির থেকে একে দেখতে পারে। sahara ( 2005) মুভিতে এই মসজিদটির অংশবিশেষ দেখানো হয় । যাইহোক, জ্বিনি শহর জ্বিনি মসজিদ এবং তার চারপাশের এলাকা ১৯৮৮ সাল থেকে বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্তর্গত।
গোলাপী হ্রদ (lake Retba) সেনেগাল ঃ
সর্বপ্রথম আমি নেটে যখন এটাকে দেখলাম তখন তাকে ফোটোসপের রঙ্গীন কারুকাজ বলে ধরে নিয়েছিলাম , প্রথম দেখায় হয়ত আপ্নারাও তাই ভাববেন। কিন্তু না , এই লেকের পানির রঙ আসলেই গোলাপী।
আর একে দেখতে হলে আপনাদের যেতে হবে সেনেগালে। সেনেগালে এর অবস্থান ডাকার থেকে ৫৩ কিলোমিটার উত্তরে। কেপ ভার্ত উপদ্বীপে প্রকৃতির এক অপার সৃষ্টি হল এই রেতবা গোলাপী লেক। অনেক জায়গায় একে স্ট্রবেড়ী লেক বলেও ডাকা হয়।
এই গোলাপী লেকটি সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে অনেক নিচে তাই এর পানির লবনাক্ততার পরিমান অনেক বেশি আর সুর্যের তাপমাত্রাও অনেক বেশি।
পানির এই লবনাক্ততার কারন হিসাবে ধরা হয় এই পানির মাঝে সৃষ্ট এক ধরনের ব্যাক্টিরিয়া কে, ঋতু থেকে ঋতুতে এই লেকের গোলাপী আভা ভিন্ন ভিন্ন রুপ ধারন করে মাঝে মাঝে এটি টকটকে লাল হয়ে যায়। যাই হোক , অতিরিক্ত লবনাক্ত তার কারনে এই লেকের পাশে বেশ কিছু লবন কারখানা স্থাপীত হয়েছে। বিশ্বের ভ্রমন পীয়াসু মানুষের কাছে না শুধু , সমগ্র সেনেগালের মানুষের কাছেও এই লেক একটি স্বপ্নের জায়গা।
কান্না রত পাথর (crying stone llesi) :-
গভীর কাকামাঙ্গা(kakamega) জঙ্গলের মদ্ধদিয়ে যখন একজন পর্যটক হাটতে থাকে তখন মানুষরুপি বিশাল এক পাথর তার পথরোধ করে দাড়ায়। পর্যটকরাও মন্ত্রমুগ্ধের মত তাকিয়ে থাকে কান্নারত এই পাথরের দিকে।
কি আশ্চর্য হয়েছেন? হা আশ্চর্য হবারই কথা , চোখের সামনে কান্নারত মানুশ আকৃতির এই বিশাল পাথর দেখে যেকেউই আশ্চর্য হবেন। কিন্তু এটাই হল কাকামাঙ্গা জংগলের বিখ্যাত লিসি পাথর। কেন এই পাথর মানুশ আকৃতির আর কেনই সে সবসময় কাঁদতে দেখাযায় তা সকলের কাছে অজানা। লোক কথা থেকে জানা যায় যে এই পাথরের কান্না প্রবাহ কখনো থামেনি। বেশি কাদলে যেমন চোখের নিচে দাগ পরে যায় ঠিক তেমনি এই পাথরের অনবরত কান্না তার নিচে সবুজ দাগ ফেলেছে।
তবে বিজ্ঞানীরা এই ব্যাখ্যা মানতে নারাজ । বিজ্ঞানীদের মতে এই পাথরের কান্নার রহস্য লুকিয়ে আছে পাথরটির মাথার নিচে। এর মাথার নিচে রয়েছে একটি পানির চেম্বার, বর্ষাকালে যখন প্রচুর বৃষ্টি হয় তখন এই চেম্বারটি পানিতে পরিপুর্ন হয়ে পরে আর এই পানি যখন উপছে পরে তখনই মনে হয় যে সে কাঁদছে । আর সারাবছর পানি প্রবাহ ধরে রাখার জন্য চেম্বারে পর্যাপ্ত পানি জমা থাকে। এই কাকামাঙ্গা বন আরো একটি কারনে জনপ্রিয়, আর সেটা হল এর মাঝে উড়তে থাকা হাজার হাজার রকমের প্রজাপতি।
শ্বেত মরুভুমি(The white desert)মিশরঃ-
সম্ভবত হিন্দি ছবি “কাভি খুশি কাভি গাম” এর একটা গানে আমি সর্বপ্রথম শ্বেত মরুভুমি বা The white desert দেখি। যখন দেখি তখন মনে হয়েছিল এটা অবাস্তব। কারন মরুভুমি আবার সাদা কিভাবে হয়! কিন্তু যখন The white desert সম্পর্কে যানতে পারি তখন আর বিস্বয়ের সীমা থাকলনা।
চোখ ধাধানো সাদা এই মরুভুমির এতিহাস থেকে জানা যায় যে ঐতিহাসীক যুগের পুর্বে সাহারা মরুভুমি যখন পানির নিছে ডুবে ছিল তখন তার একটি অংশে খরিমাটি জমতে থাকে। আস্তে আস্তে যখন এই জায়গা টি সমুদ্রপৃষ্টের উপরে চলে আসে তখন জমেথাকা খরিমাটির ভান্ডার সাহারা মরুভুমির মাঝে অপুর্ব সুন্দর এই শ্বেত মরুভুমির সৃষ্টি করে।
মিসরের ফারাফ্রা মরুদ্যানের এই অঞ্ছলটি তাই তাই প্রকৃতির এক অপুর্ব সৃষ্টি। এটী ফারাফ্রা অঞ্চলের ৪৫ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত। তার পাশে রয়েছে ব্লাক ডেসার্ট ও ক্রিস্টাল মাউন্টেইন।
দা বিগ হোল (The big hole)সাউথ আফ্রিকা ঃ
প্রথমে বলি এটা একটা বড় গর্ত । ভাল কথা! এবার বলি এই গভীরতা ১০৯৭ বা ৩৫৯৯ ফিট ।
তাও ঠিক আছে। কিন্তু এখন যদি বলি এর এই বিশাল গর্ত টি মানুষের তৈরি!!! এখন আর বিশ্মিত না হয়ে উপায় নেই । হ্যা বন্ধুরা বিশাল এই গর্তটি মানুষের হাতে তৈরি। এর এই গর্তটি দেখতে হলে যেতে হবে সাউ্থ আফ্রিকায়। এটি একটি পরিত্যাক্ত হীরার খনী।
সর্বপ্রথম এই খনি থেকে হীরা আবিষ্কার করা হ্য ১৮৭১ সালের দিকে। তার পর আস্তে আস্তে এর জনপ্রিয়তা চারিদিকে ছরিয়ে পরতে থাকে ও দলে দলে মাইনার রা এখানে আসতে থাকে। শুধু মাত্র হাত ও শাবলের মাদ্ধমে তারা কালো মাটি থেকে বের করে আনে অমুল্য সোনা। ৪৩বছরের মদ্ধে প্রায় ৫০০০০হাজার লোক এখানে আসে আর প্রায় ৩০০০কেজি হীরা এখান থেকে উত্তলন করা হয়। এই পরিমান হীরা বের করে আনতে তাদের প্রায় ২২ মিলিয়ন টন মাটি ও পাথর খনন কররে হয়।
বন্ধ হবার আগে ১৯১৪সালের দিকে এই খনি চরম বিপদজনক হয়ে পরে । দুর্ঘটনায় অনেক শ্রমিক হতাহত হতে থাকে। শেষ পর্যন্ত অবস্থা এমন এক পর্যায়ে এসে পৌছায় যে কতৃপক্ষ এটিকে বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়। যাইহোক , খনি এবং খনি সংলগ্ন এলাকাটি এখন মেজর টূরিষ্ট সাইট। খনিটি যেখানে অবস্থিত তার পাশেই রয়েছে এই খনির শ্রমিকদের কবরস্তান।
কতৃপক্ষ এখন এটাকে বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করছে।
আফ্রিকার চোখ (eye of Africa/sahara.)মৌরিতানিয়া ঃ-
দাপ্তরিক ভাবে একে একটি চুনাপাথরের কাঠামো বলা হলেও এটি মুলত আফ্রিকার বা সাহারার চোখ বলে সবচেয়ে বেশি পরিচিত। আফ্রিকার এই চোখ টি মৌরিতানিয়ায় অবস্থিত। সাহারা মরুভুমি এম্নিতেই অনেক রহস্যময় আর এই রহস্যময়তাকে বহুগুন বাড়িয়ে তুলেছে এই চোখ। প্রায় ৫০ কিমি ব্যপ্ত এই বৃত্যাকার কাঠামো টি মহাশুন্য থেকে স্পষ্ট দেখা যায়।
একে যেভাবেই ব্যাখ্যা করা হয় না কে এর চতুর্দিকে সমান বৃত্যগুলো সবসময় বিজ্ঞনীদের রহস্যে আবৃত্ব করে রেখেছে। কিছুকিছূ বিজ্ঞানী এর নিখুত বৃত্তাকার অবস্থাকে গ্রাহানু পুঞ্জের আঘাত বলে বিবেচনা করেছেন। আবার অনেকে এক আগ্নেয়গিড়ির উথানের ফল বলেও ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তবে অনেকে একে আগ্নেয়গিরি ফল বলে মনে করেন না । কারন চোখের অংশ গুলোতে তারা তেমন কোণো আগ্নেয়শিলার অস্তিত্ব খুজে পায় নি।
তবে মজার ব্যাপার হল অনেক বিজ্ঞানী এর সাথে হাড়ীয়ে যাওয়া শহর টাইটানের অনেক মিল খুজে পেয়েছেন। তবে যাই হোক , বৃত্তাকার চুনাপাথরে তৈরি সুন্দর এই চোখটি যে প্রকৃতির এক আশ্চর্য খেয়াল তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
চিঙ্গুইতি (Adrar region Mauritania )ঃ
মোউরিতানিয়া , নামটা শোনার সাথে সাথেই আমাদের চোখে দুর্বিক্ষপিড়িত একটা দেশের ছবি ভাসে উঠে। কিন্তু এই দেশটিরই ছিল সমৃদ্ধ অতীত যার উৎকৃষ্ট উদাহরন হল এই চিঙ্গুইটি (কাসার kasr) এর ধ্বংশাবেশ। kasr এর বাংলা হল মধ্যযুগীয় বানীজ্যের কেন্দ্রবিন্দু।
মৌরিতানিয়ার উত্তর দিকে অবস্থিত এই ধ্বংশাবশেস টি দাড়িয়ে আছে প্রাচীন মৌরিতানিয়ার সমৃদ্ধ অতিতের সাক্ষি হয়ে। এটা শুধু মাত্র ব্যাবসায়ের কেন্দ্রবিন্দুই ছিলনা এটা ছিল ধর্মীয় তির্থযাত্রিদের মিলনস্থল। উ ইকিপিডিয়াতে এর গুরুত্ব জানতে গিয়ে দেখতে পারলাম , মরুভুমি সাহারার শুস্ক মাটিতে এই শহরটি গরে উঠেছিল ৭৭৭ সালে এবং জনপ্রিয় ছিল ১০০০সাল পর্যন্ত। মরুভুমীর মদ্ধদিয়ে পরিচালিত হওয়া বানীজ্যীক পথগুলর মিলন স্থল ছিল এই চিঙ্গুইটি। বহুদুর পথ ধরে হেটে আসা মক্কাগামী তির্থ যাত্রি ও উটবাহী যাযাবরদের কাছে এই শহর ছিল খুবি জনপ্রিয়।
ধিরে ধিরে শহরটি সাহিত্য ও ধর্মচর্চার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে পরে। ১৩০০ সতকের মাঝে এটি রক্ষনশিল মুসলমানদের বিশেষ করে সুন্নি দের ধর্মচর্চার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে পরে। এই শহর এর মাঝে ভ্রমন করলে দেখা যায় কালের সাক্ষী হয়ে টিকে আছে বিশাল বিশাল ভবন লাইব্রেরী ও প্রাচীর। এগুলোই আজ প্রকাশ করে বর্তমানের দারিদ্র ও দুর্বিক্ষ পিড়িত মৌরিতানীয়ার বর্নীল অতীত।
ডানাকিল ডিপ্রেসন।
(Danakil depression) :-
আচ্ছা ,এমন একটি জায়গা কল্পনা করুন যেখানকার নদীগুলো মৃত ,পাথরের ফাক দিয়ে বের হয়ে আসছে টগবগে ফুটন্ত গরম পানি আর মাটি থেকে ছিদ্রের মাদ্ধমে গড়ীয়ে গড়ীয়ে বের হয়ে আসছে ধোয়ার কুন্ডলী । !! আচ্ছা এবার কল্পনা করুন বিসাল কোন মাঠ যেখানে মাটি নেই আছে লবনের পাহার, আছে উজ্জ্বল হলুদ রঙের সালফারের পুকুর , মাটি থেকে অনবরত বের হয়ে আসছে লাভা। এবার শেষ বারের মত কল্পনা করুন এমন একটি জায়গা যেখানে কিছুক্ষন পর পর ভুমিকম্প নাড়া দিচ্ছে !!! এবার সবগুলো কল্পনা এক করুন এবং আমাকে বলুন, যে জায়গাটি কল্পনা করেছেন তা কি হতে পারে। ???? হ্যা, জায়গাটি নরক বা দোজোখ ছাড়া কিছু হতে পারেনা এবং এমন জায়গা পৃথিবীতে থাকতেই পারেনা। কিন্তু এই ধরনের পরিবেশ পৃথিবীতেই সম্ভব।
এই দুর্গম ভয়ঙ্কর ও বৈরি জায়গাটী হল (Danakil depression। এটাকে দেখতে হলে যেতে হবে ইথিওপিয়াতে। এটা এমন একটি জায়গা যেখানে সারাবছরের গড় তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, এবং গ্রিষ্ম কালে থাকে গরে ৫৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা প্রায়ই ৬৩ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে ফলে একে প্রিথিবীর সবচেয়ে গরম জায়গা বলে গন্য করা হয়। দাঙ্কিলি ডিপ্রেসন হল প্রিথিবীর সবচেয়ে নিচু জায়গা। এই জায়গার এইরুপ পরিবেশ কেন তার কারন হিসেবে বিজ্ঞানীরা এখানকার মাটির নিচের টিঊটনিক প্লেট গুলোর সংঘর্ষকে দায়ী করেছেন।
যাইহোক এই বৈরি পরিবেশের মাঝেও থেমে নেই জীবনের জয়গান, এখানে বাস করে এমন একটি উপজাতি যারা হাজার বছর ধরে দাঙ্কিলিতে সাহসীকতার সাথে বেঁচে আছে । বৈরি ও দুর্গম পরিবেশের জন্য national geography একে cruelest part of the world বলে ব্যখ্যা করেছে। এটার আরেক নাম হল আফার ডিপ্রেসন।
Leke Nyos(খুনী লেক)kemeroon:-
প্রকৃতি আমাদের পৃথিবী কে দিয়েছে অপুর্ব সুন্দর কিছু জায়গা ঠিক তেমনি দিয়েছে ভয়ঙ্কর কিছু জায়গা। আর সেই রকম একটি জায়গা হল মৃত্যু হ্রদ বা killer lake. এটি camaroon এ অবস্থিত।
এর আসল নাম Nyos হলেও স্থানীয় ভাবে এটি খুনী হ্রদ নামেই পরিচিত। এটি একটি মৃত আগ্নেয়গিড়ির জ্বালামুখে অবস্থিত। এটি লাভায় পরিপুর্ন থাকলেও এর উপরে রয়েছে গভীর পানি আর এর মধ্য দিয়ে ধিরে ধিরে নির্গত হচ্ছে কার্বনডাই-অক্সাইড। পর্বতের এই অংশ টি ওক পর্বতমালার অন্তর্গত যা ক্যামেরুন এর উত্তর পশ্চিম অঞ্চলে অবস্থিত। এটার নাম মৃত্যু হ্রদ কারন ১৯৮৬ সালের দিকে এর থেকে কার্বন ডাইঅক্সাইডের এক সুবিশাল বুদ্বুদ বের হয় যা সালফার এবং হাইড্রোজেন সঙ্গে মিশে বায়ুমন্ডলে মিশে যায়।
সর্বমোট ১.৬ টন পরিমান এই গ্যাস চারিদিকে ছড়িয়ে যায়। এর বিস্তারের পরিমান ছিল কেন্দ্র থেকে প্রায় ২৩ কিলোমিটার। আর এই বিষাক্ত গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে দুই ঘন্টায় প্রায় ১৭০০ জন মানুষ ও ৩৫০০ গবাদী পশু মারা যায়। যারা বেচে ছিল তাদেরকেও দির্ঘমেয়াদি কষ্টকর পার্শপ্রতিক্রিয়া যেমন ক্ষত, টিস্যু পোড়া এবং শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতা প্রভৃতিতে ভুগতে হয়েছিল।
ঠিক এইরকমই অনেক সুন্দর ও রহস্যময় জায়গা পৃথিবীর চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।
ব্লগের ক্ষুদ্র পড়িসরে এদের সম্পুর্ন বর্ণনা করা সম্ভব হবেনা। তারপরও চেষ্টার শেষ নেই। আপনাদের ভালোলাগলে ভবিষ্যতে আরো লেখার চেষ্টা করব।
***** বিদ্রঃ-অনুবাদে ভুল থাকিলে ও গুরুত্বপুর্ন তথ্যের ঘাটতি থাকিলে সকলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। ******
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।