আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পেশাদার খুনি তারেক

যুবলীগের (দক্ষিণ) নেতা রিয়াজুল হক খান হত্যার ঘটনায় র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার ও পরে ‘ক্রসফায়ারে’ নিহত জাহিদ সিদ্দিকী ওরফে তারেক একজন পেশাদার খুনি। শুধু রিয়াজুল নন, ঢাকা শহরে ২৫-৩০টি হত্যার ঘটনায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন তিনি।  র‌্যাব-১-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল কিসমত হায়াত প্রথম আলোকে বলেন, ‘তারেক একজন সিরিয়াল কিলার। এ ব্যাপারে আমরা বেশ কিছু তথ্য পেয়েছি। ’তারেকের গ্রামের বাড়ি সিলেটের হবিগঞ্জে।

চার ভাই ও চার বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। বাবা আবদুল হাই। গ্রামের বাড়ি সিলেটে হলেও তাঁর জন্ম ও বেড়ে ওঠা মতিঝিলের এজিবি কলোনিতে। তারেকের শৈশব, কৈশোর, যৌবন ও রাজনৈতিক জীবন খুব কাছ থেকে দেখা এমন কয়েকজন নেতা-কর্মী প্রথম আলোকে বলেন, নব্বইয়ের দশকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি বিপুল সান্যালের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নেওয়ার মধ্য দিয়েই তারেকের রাজনৈতিক পথচলা শুরু। সে সময় বিপুলের পক্ষে ছিলেন রিয়াজুল।

ওই সময় পুরো মতিঝিল এলাকার অপরাধজগৎ নিয়ন্ত্রণ করতেন বিএনপি-সমর্থক সন্ত্রাসী ইখতিয়ার, জিসানসহ আরও কয়েকজন। ইখতিয়ার ও জিসান ছিলেন মতিঝিলের সাবেক ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপির কমিশনার শাহনেওয়াজ শাহীনের সহযোগী। তাঁদের কারণে তারেক, বিপুল ও রিয়াজুল শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতিত হতেন, নিগৃহীত হতেন। রাজনৈতিকভাবেও তাঁরা পিছিয়ে ছিলেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এ নির্যাতন ও নিগ্রহ থেকে বাঁচতে তারেক আশ্রয় নেন মিরপুরের তৎকালীন শীর্ষ সন্ত্রাসী কালা জাহাঙ্গীরের কাছে।

সেই সূত্রে তারেকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে ভারতে পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাদত, তাজসহ আরও কয়েকজনের সঙ্গে। তারেকের কাজই ছিল এ তিন সন্ত্রাসীর বিরোধীদের চিহ্নিত করে হত্যা করা। ২০০১ সালের দিকে তারেক মিরপুরের গুদারাঘাটের বাসিন্দা সন্ত্রাসী টিপুকে এলিফ্যান্ট রোডে একটি রেস্তোরাঁয় গুলি করে হত্যা করেন। এরপর বিএনপির নেতা হাবিবুর রহমান মণ্ডল, পোস্তগোলার কমিশনার শাহাদত, মিরপুরের কমিশনার নিউটনসহ বেশ কয়েকজনকে হত্যা করেন তিনি। নাম প্রকাশ না করে মতিঝিলের এজিবি কলোনির একজন রাজনৈতিক নেতা বলেন, এভাবে খুন করতে করতে পারদর্শী ও ক্ষমতাবান হয়ে উঠেছিলেন তারেক।

অন্যদিকে মতিঝিল এলাকার অপরাধজগতের নিয়ন্ত্রণকারী ইখতিয়ার, জিসানসহ কয়েকজন দুই পুলিশ কর্মকর্তা হত্যার আসামি হন। তাঁরা দেশের বাইরে পালিয়ে যান। আর বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাইরে চলে যান ইখতিয়ার ও জিসানের আশ্রয়দানকারী কমিশনার শাহনেওয়াজও। এই সুযোগে তারেক মতিঝিলের অপরাধজগৎ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। জড়িয়ে পড়েন একের পর এক হত্যাকাণ্ডে।

 র‌্যাব কর্মকর্তা কিসমত হায়াত বলেন, ‘আমরা অতীতের বিভিন্ন আলোচিত হত্যার ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করছি। ইতিমধ্যে কিছু হত্যাকাণ্ডে তারেকের জড়িত থাকার ব্যাপারে তথ্য এসেছে। আরও আসছে। আমরা তদন্ত চালিয়ে যাব। ।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.