আমার সোনার বাংলা
বিশ্বকাট ক্রিকেটের প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে হেরে যাওয়ার পর শ্রক্রবার আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের বিজয় ছিল বহু কাঙ্খিত। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে আয়ারল্যান্ডের কাছে হেরেছিল বাংলাদেশ। সেক্ষেত্রে লাখ লাখ ক্রিকেটপ্রেমী এ বিজয়কে অনেকটা প্রতিশোধ হিসেবে বিবেচনা করেছে। তবে মনে রাখতে হবে, আয়ারল্যান্ড এখনও টেষ্ট খেলুড়ে দেশের মর্যাদা পায়নি এবং আন্তর্জাতিক ম্যাচে তাদের সাফল্য বাংলাদেশের তুলনায় অনেক কম। বাংলাদেশ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জয় পেলেও সব ক্ষেত্রে আশানুরুপ ভালো খেলেছে বলা যাবে না।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং নিয়ে পুরো ৫০ ওভর ব্যাট করতে না পারা এবং সব উইকেট হারিয়ে মাত্র ২০৫ রান সংগ্রহ মোটেও বাংলাদেশের সাফল্যোর প্রমান বহন করে না। সত্যের খাতিরে বলতেই হয়, বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং লাইনআপ এদিন ব্যর্থ হয়েছে পরোপুরি। লো-স্কোরিং ম্যাচে যদি কোন কারনে সাফল্য না পেতেন বাংলাদেশী বোলাররা অথবা আয়ারল্যান্ডের খেলোয়াররা আরেকটু ধৈর্য ধরে খেলতেন, তাহলে কী ফল দাঁড়াত বলা কঠিন। মাঠে রুদ্ধশ্বাসে অপেক্ষমান হাজার হাজার সমর্থন এবং এর বাইরেও অগনিত দর্শক-শ্রোতা, যারা উন্মূখ হয়ে বসেছিলেন টিভি স্ক্রিন ও রেডিওর সামনে, তাদের কিন্তু এক সময় মনে হয়েছিল, বিজয়টা বোথহয় হাত ফসকে বেরিয়ে গেল। তবে সব ভাল যার শেষ ভাল তার।
হোমগ্রাউন্ডের আনুকূল্য এবং বিশাল সমর্থনগোষ্ঠীর প্রত্যাশাকে বিজয়ের উল্লাসে পরিনত করতে চেষ্টার ত্রুটি করেননি আমাদের বোলাররা। অথচ এ বোলারদেরই কঠোর সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল ভারতের কাছে পরাজয়ের পর। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে কাঙ্খিত বিজয়ের পর শুক্রবার রাতে উল্লাসে মেতে উঠেছিল নগরবাসী। এটা দল তথা দেশের প্রতি তাদের ভালোবাসারই প্রকাশ। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের কাছে মানুষের প্রত্যাসা যে আরও বেশি, এতে সন্দেহ নেই।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বিজয়ে আপাতত কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা টিকে রইল বাংলাদেশের। এজন্য আর প্রসাদের কিছু নেই খেলোয়ারদের। সামনে আরও বড় ক্রিকেট শক্তিকে মোকাবেলা করতে হবে তাদের। ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং সর্বোপরি টিম স্পিরিট - সব ক্ষেত্রেই আরও ভাল করার, আরও দক্ষতা ও সাফল্যের স্বাক্ষর রাখতে হবে বাংলাদেশ দলকে। বিশ্বজৃড়ে ছড়িয়ে থাকা লক্ষ-কোটি বাঙ্গালীর স্বপ্নের প্রত্যাশা পূরনে নিরন্তর কঠোর পরিশ্রমের বিকল্প নেই।
আমরা বাংলাদেশ দলের সাফল্য কাননা করি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।