আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ব্যাড লাক বাংলাদেশ......................



বিশ্বকাপের উত্তেজনায় সারা বাংলাদেশ। বাংলাদেশ দলকে সবাই শুভেচ্ছা জানাচ্ছে...গুড লাক বাংলাদেশ। ক্রিকেট খেলা কী শুভেচ্ছায় হয়, মাঠে খেলতে হয় এক-দুই-তিন-চার কিংবা ছয় মেড়ে রানের বন্যা করতে হয়। উইকেট নিতে হয় , অর্পূব ফিল্ডিং করে রান আউট করতে হয়। আর কোচকে খেলেয়ারদের মানসিকভাবে আত্মবিশ্বাসে জাগিয়ে তুলতে হয়।

আসলে বাংলাদেশের কপাল খারাপ। তাই ব্যাড লাক বাংলাদেশ। কোচের অতি উতসাহে মাশরাফি বাদ। গতকাল শোয়েব আকতার কত সুন্দর বলই না করলো। অথচ পাকিস্তানের কোচ ওয়াকার ইউনূস শোয়েবের ফিটনেস নিয়ে সমালোচনা করেছেন তীব্র ভাষায় কিন্তু বাদ দেননি পক্ষান্তরে শোয়েব তার ফিটনেস প্রমাণের সুযোগও পেলেন।

বাংলার মোক্ষম অস্ত্র মাশরাফি এখন সুস্থ এবং ফিট অবস্থায় টিভি সেটের সামনে খেলা দেখে। আরে সেহাগকে আউট করতে হরে বাহিরে বল ফেলে ভিতরে ডুকালেই লেকা চুকে যায়। মাশরাফি কয়েকবারই এ অস্ত্র প্রয়োগ করে সেহাগের উইকেট উপড়ে ফেলেছে আর সাকিব এক্সপেস রুবেল আর নবাগত শফিউল এমনকি সাকিব-রাজ্জাক-ছক্কা নাঈমরা কিছুই করবার পারে নাই। ভারতের সাথে হয়নি তো কি হয়েছে পরের ম্যাচে ঘুড়িয়ে দাড়াঁবে বাংলাদেশ! আসলে কি তাই। দেখুন বিশ্বকাপ খেলা শুরুর সাথে সাথেই বাংলাদেশের একাদশের কী অদ্ভুদ পরিবর্তন।

রাকিবুর খেলে ৬ নম্বর পজিশনে!!!! বাংলাদেশ তালঘোল পাকিযে ফেলেছে। আর হা পাওয়ার প্লেতে কী খেলাই না দেখালো!! এক রানের বন্যা.........! একজন কোচ সব পারেন। যেমন পারেন মাশরাফিদের ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে তেমনি পারেন আশরাফূলদের বারবার সুযোগ দিয়ে পূর্ণবাসন করতে!! অথচ এই কোচই অভিযোগ করেছিলেন যে বাংলাদেশের সাংবাদিকরা নাকি বিসিবির টাকা খেয়ে আশরাফূলের পক্ষে লেখেন। সেই আশরাফুলের প্রতি তার এত দরদ কৈ থেকে আইলো। আমরা আশরাফুল কে প্রায় হারিয়ে ফেলেছি তারপর মাশরাফি এবং মাশরাফির পর কে? আশরাফুল আবার আমাদের মাঝে ফিরে আসুক বিষ্ময় বালক হিসেবে।

গুড লাক আশরাফুল। যদিও আমি আশরাফুলের ভক্ত নই। তুবও নাই মামার চেয়ে কানা মামা অনেক ভালো। শাহরিয়ার নাফিজ তো পানিতে ভাসমান কাঠের মতো ডুবে আর ভাসে। ওর জন্য সত্যিই আপসোস হয়।

দলে জায়গা পাবার জন্য ওকে নিজের সহযোদ্ধাদের সাথেও সংগ্রাম করতে হয়। আবার প্রতিপক্ষের সাথেও লড়তে হয়....এতো চাপ নিয়ে কিভাবে যে ক্রিকেট হয় সেটা গাদা কোচ কী বুঝে? পাওয়ার প্লে মেকার অলক কাপালি কে যে প্রয়োজন ছিল তা আবারও প্রমাণিত। সব মিলিয়ে বিশ্বকাপ আসরে বাংলাদেশ দলের টীম স্পীডটা দেখা যাচ্ছে না। অনেকটা উপড়ে উপড়ে .......যে কৃত্রিম।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।